ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

নিরাপত্তাহীনতা থাকে না বিয়ে করলে

  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিয়ে নারী ও পুরুষের জীবনের এমন একটি ধাপ। সেখানে একে অন্যের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালোবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি। এর মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তবে বিয়ে নিয়ে অনেকের মধ্যেই এমন ভ্রান্ত ধারণা আছে, বিয়ে মানেই শুধু দাম্পত্য কলহ কিংবা বিচ্ছেদ!
খেয়াল করলে দেখবেন, অনেকেই আছেন যারা বিবাহিত জীবনে সুখী। যদিও বা অনেকেই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান, তার মানে এই নয় যে আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটবে; বরং বিয়ে করলে আপনি বিভিন্নভাবে লাভবান হবেন। তা হলোÑ
মানিয়ে নেওয়া শেখা: বাকি জীবনটুকু যার সঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতি আপনি করছেন তার সঙ্গে বিয়ের পর এক ছাদের তলায় বসবাস করতে গিয়ে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। বিয়ের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করেন দম্পতি। শুধু একে অন্যের দোষ না ধরে বরং সঙ্গীর প্রতিভাও খুঁজে বের করেন দম্পতিরা। একে অন্যের স্বপ্নকে সমর্থন করার সময় দু’জনে মানিয়ে নিতে শেখেন বিবাহিতরা।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়া: বৈবাহিক বন্ধনে জড়ালে আপনি একজন আজীবন সঙ্গী পাবেন। একা থাকার চেয়ে একজন সঙ্গী থাকলে তার সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা, আবেগ, অনুভূতি, চিন্তাভাবনা ও মতামত শেয়ার করা যায়। শুধু তাই নয়; আপনার বিজয় উদযাপন করার জন্য, কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য ও জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতেও প্রয়োজন হয় একজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর।
যত্নশীল হওয়া: আপনার সঙ্গী যদি যত্নশীল হন তাহলে দেখবেন বিয়ের পর ঠিকই তার প্রেমে আপনি মজবেন। নারী-পুরুষ সবাই চায় তার সঙ্গী যেন যত্নশীল হয়! একজন যত্নশীল স্বামী-স্ত্রী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। মনে রাখবেন বিয়ে করলে আপনিও পেতে পারেন একজন সঙ্গী, যিনি আপনার প্রতি হবেন যত্নশীল।
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা: বিয়ের মাধ্যমে আপনি ব্যক্তিগত জীবনে নিরাপত্তা পেতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষই প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সঙ্গী ছেড়ে চলে যেতে পারেন ভেবে ভয় পান। এক্ষেত্রে বিয়ে করলে আর এই ভয় থাকবে না! আসলে ভালোবাসার সম্পর্কের শেষ পরিণতিই তো বিয়ে। এ জন্য বিয়ের মাধ্যমে সবাই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেন। তাই বিয়ের পর আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় না।
বেঁচে থাকার সম্ভাবনা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। বিয়ের মাধ্যমে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে তা হলো দীর্ঘজীবী হওয়া যায়, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। একই সঙ্গে হতাশা কমে, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে, এমনকি ক্যানসার হলেও সারভাইভ বা বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে শুধু বিবাহিত হলেই যে এসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে তা নয়; বিবাহিত জীবনে আপনি সুখী কি না তার ওপর নির্ভর করবে আপনার সুস্বাস্থ্য। স্ট্রেসপূর্ণ ও অসুখী বিবাহিতরা আবার একজন অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে খারাপ স্বাস্থ্যের অধিকারী হন। বিয়ের স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর বেশিরভাগই বিবাহিত নারীদের তুলনায় পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি স্পষ্ট।
অভিভাবক হওয়া: বিয়ের মাধ্যমে আপনি অভিভাবকত্বও উপভোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সন্তানদের ভালো করে লালন-পালন করা খুবই জরুরি। একটি সন্তানকে আরও ভালোভাবে বড় করতে আপনাকে ও আপনার স্ত্রী উভয়কেই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিরাপত্তাহীনতা থাকে না বিয়ে করলে

আপডেট সময় : ০৬:২৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিয়ে নারী ও পুরুষের জীবনের এমন একটি ধাপ। সেখানে একে অন্যের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালোবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি। এর মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তবে বিয়ে নিয়ে অনেকের মধ্যেই এমন ভ্রান্ত ধারণা আছে, বিয়ে মানেই শুধু দাম্পত্য কলহ কিংবা বিচ্ছেদ!
খেয়াল করলে দেখবেন, অনেকেই আছেন যারা বিবাহিত জীবনে সুখী। যদিও বা অনেকেই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান, তার মানে এই নয় যে আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটবে; বরং বিয়ে করলে আপনি বিভিন্নভাবে লাভবান হবেন। তা হলোÑ
মানিয়ে নেওয়া শেখা: বাকি জীবনটুকু যার সঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতি আপনি করছেন তার সঙ্গে বিয়ের পর এক ছাদের তলায় বসবাস করতে গিয়ে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। বিয়ের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করেন দম্পতি। শুধু একে অন্যের দোষ না ধরে বরং সঙ্গীর প্রতিভাও খুঁজে বের করেন দম্পতিরা। একে অন্যের স্বপ্নকে সমর্থন করার সময় দু’জনে মানিয়ে নিতে শেখেন বিবাহিতরা।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়া: বৈবাহিক বন্ধনে জড়ালে আপনি একজন আজীবন সঙ্গী পাবেন। একা থাকার চেয়ে একজন সঙ্গী থাকলে তার সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা, আবেগ, অনুভূতি, চিন্তাভাবনা ও মতামত শেয়ার করা যায়। শুধু তাই নয়; আপনার বিজয় উদযাপন করার জন্য, কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য ও জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতেও প্রয়োজন হয় একজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর।
যত্নশীল হওয়া: আপনার সঙ্গী যদি যত্নশীল হন তাহলে দেখবেন বিয়ের পর ঠিকই তার প্রেমে আপনি মজবেন। নারী-পুরুষ সবাই চায় তার সঙ্গী যেন যত্নশীল হয়! একজন যত্নশীল স্বামী-স্ত্রী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। মনে রাখবেন বিয়ে করলে আপনিও পেতে পারেন একজন সঙ্গী, যিনি আপনার প্রতি হবেন যত্নশীল।
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা: বিয়ের মাধ্যমে আপনি ব্যক্তিগত জীবনে নিরাপত্তা পেতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষই প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সঙ্গী ছেড়ে চলে যেতে পারেন ভেবে ভয় পান। এক্ষেত্রে বিয়ে করলে আর এই ভয় থাকবে না! আসলে ভালোবাসার সম্পর্কের শেষ পরিণতিই তো বিয়ে। এ জন্য বিয়ের মাধ্যমে সবাই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেন। তাই বিয়ের পর আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় না।
বেঁচে থাকার সম্ভাবনা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। বিয়ের মাধ্যমে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে তা হলো দীর্ঘজীবী হওয়া যায়, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। একই সঙ্গে হতাশা কমে, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে, এমনকি ক্যানসার হলেও সারভাইভ বা বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে শুধু বিবাহিত হলেই যে এসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে তা নয়; বিবাহিত জীবনে আপনি সুখী কি না তার ওপর নির্ভর করবে আপনার সুস্বাস্থ্য। স্ট্রেসপূর্ণ ও অসুখী বিবাহিতরা আবার একজন অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে খারাপ স্বাস্থ্যের অধিকারী হন। বিয়ের স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর বেশিরভাগই বিবাহিত নারীদের তুলনায় পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি স্পষ্ট।
অভিভাবক হওয়া: বিয়ের মাধ্যমে আপনি অভিভাবকত্বও উপভোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সন্তানদের ভালো করে লালন-পালন করা খুবই জরুরি। একটি সন্তানকে আরও ভালোভাবে বড় করতে আপনাকে ও আপনার স্ত্রী উভয়কেই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে।