ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

ভারতে ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে নিহত বেড়ে ২০

  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আর বৃষ্টিতে ভূমিধস হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় দুই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং কয়েকটি বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে অনেক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গুজরাটে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া দমকা বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ কারণে সেখানে ভূমিধস দেখা দেয়।
গুজরাটের উপকূলীয় শহর দিউয়ের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত বেড়েছিল। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার।
গুজরাটের উপকূলীয় ১২টি জেলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪০০ হাসপাতাল রয়েছে। আর অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে ৪১টি। এসব হাসপাতাল ও অক্সিজেন প্ল্যান্টে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেন, রাজ্যের এক হাজার কোভিড-১৯ হাসপাতালে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭৪৪টি স্বাস্থ্যসেবা দল মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবহনযোগ্য ১৭৪টি আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৬০০টি।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে মহারাষ্ট্রে। এ রাজ্যে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে নয়জন। গতকাল সেখানে বৃষ্টি শুরুর পর হাসপাতালের প্রাঙ্গণে যেসব কোভিড-১৯ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, তাঁদের ‘নিরাপদ স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মুম্বাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫৮০ কোভিড-১৯ রোগীকে ফিল্ড হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে কেরালা রাজ্যেও। সেখানে মারা গেছে সাতজন। এ রাজ্যে কমপক্ষে দেড় হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ভারতে ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে নিহত বেড়ে ২০

আপডেট সময় : ১১:০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আর বৃষ্টিতে ভূমিধস হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় দুই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং কয়েকটি বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে অনেক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গুজরাটে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া দমকা বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ কারণে সেখানে ভূমিধস দেখা দেয়।
গুজরাটের উপকূলীয় শহর দিউয়ের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত বেড়েছিল। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার।
গুজরাটের উপকূলীয় ১২টি জেলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪০০ হাসপাতাল রয়েছে। আর অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে ৪১টি। এসব হাসপাতাল ও অক্সিজেন প্ল্যান্টে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেন, রাজ্যের এক হাজার কোভিড-১৯ হাসপাতালে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭৪৪টি স্বাস্থ্যসেবা দল মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবহনযোগ্য ১৭৪টি আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৬০০টি।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে মহারাষ্ট্রে। এ রাজ্যে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে নয়জন। গতকাল সেখানে বৃষ্টি শুরুর পর হাসপাতালের প্রাঙ্গণে যেসব কোভিড-১৯ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, তাঁদের ‘নিরাপদ স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মুম্বাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫৮০ কোভিড-১৯ রোগীকে ফিল্ড হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে কেরালা রাজ্যেও। সেখানে মারা গেছে সাতজন। এ রাজ্যে কমপক্ষে দেড় হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।