নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘দুর্নীতির’ মাধ্যমে কার্যতালিকায় মামলা তোলার অভিযোগ ওঠার পর হইচইয়ের মধ্যে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চে বিচারকাজ হয়নি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের কোর্টে এ ঘটনা ঘটে। দ্বৈত এই ফৌজদারি বেঞ্চে মঙ্গলবার শুনানির জন্য আট শতাধিক মামলা কার্যতালিকায় ছিল। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল আগাম জামিনের মামলা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, “সকালে কোর্ট ওঠার পর মেনশন করার সময় ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান জ্যেষ্ঠ বিচারকের উদ্দেশে বলেন– ‘আই বেগ অ্যাপলজি মাই লর্ড, আপনার আদালতের বেঞ্চ অফিসাররা ঘুষ নিয়ে কার্যতালিকায় মামলা তুলেছেন। যারা টাকা না দিয়ে মামলা জমা দিয়েছেন, তাদের মামলা ঠিকমত দৈনিক কার্যতালিকায় দেননি। এতে অসংখ্য আইনজীবী বঞ্চিত হয়েছেন।” অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, “জ্যেষ্ঠ বিচারক তখন উত্তেজিত হয়ে ওই আইনজীবীকে তুই-তোকারিসহ নানা অশালীন ভাষায় গালাগাল দেন। “তিনি বলেন, ‘আমি বারের নেতা ছিলাম। তোমাকে কে সাহস দিয়েছে আমার আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলতে। আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব, তোকে থাপ্পড় দিয়ে পুলিশে দেব’।”
ওই সময় পেছন থেকে আইনজীবীরা চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করলে এক পর্যায়ে বিচারকরা এজলাস থেকে নেমে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন আইনজীবী বলেন, “এই বেঞ্চের বিওরা টাকা নিয়ে কজ লিস্টে (কার্যতালিকা) মামলা তোলেন। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার লেনদেন হয়।” এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই কোর্টে গিয়ে বেঞ্চ অফিসারদের কাউকে পাওয়া যায়নি। বিচারকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক বিচারপ্রার্থীকে আদালত প্রাঙ্গণে হতাশ হয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। আগাম জামিন নিতে আসা প্রাণকৃষ্ণ ম-ল বলেন, তিনিসহ ১১ জন খুলনা থেকে এসেছেন একটি নাশকতা মামলায় জামিন নিতে। তার মামলা ছিল ৪২৩ নম্বরে। বুধবার শুনানি হবে কিনা জানেন না। তার আইনজীবীও এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। ২০১৮ সালের একটি ঘটনায় গত ২৪ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করা হয়।
হাই কোর্টে বেঞ্চ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ, বিচারকরা নেমে গেলেন এজলাস থেকে
জনপ্রিয় সংবাদ