ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা, ৫৭ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ৬

  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আবাসন কোম্পানি নাফকো’র বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫৭ লাখ টাকাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মহসিন মুন্সি, মাজাহারুল ইসলাম, রেজাউল করিম, তৈয়ব, হুমায়ুন কবির ও নূর মোহাম্মদ ওরফে নতু। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাকছুদের রহমান। তিনি বলেন, ধানমন্ডির ৪/এ সড়কে একটি ১০তলা ভবন নির্মাণ করছে নাফকো। পৌনে চার কোটি টাকায় ওই ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও অষ্টম তলা কিনতে চুক্তিবদ্ধ হন ধানমন্ডির বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। পরে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দেন ওই ক্রেতা। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “গত ৮ অক্টোবর নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির ডিএমডি ও এমডি ফোন করে হারুনুর রশিদকে সন্ধ্যার পরে তাদের মিরপুর অফিসে যেতে বলেন, সন্ধ্যার পর তাকে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। তখন ক্রেতা হারুনুর রশিদ ডিএমডি ফয়সাল শেখকে বকেয়া টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যেমে দিতে চাইলে নগদ টাকা নিয়ে যেতে বলেন।” উপকমিশনার মাকছুদের বলেন, “কথা অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে মিরপুর ৫ নম্বর রোডের ৯/২ নম্বর বাসায় নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির অফিসে পরিবারের অন্য সদস্যসহ ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দুইটি ব্যাগে করে নিয়ে যান। “এ সময় হারুনুর রশিদের কাছে থাকা সাদা শপিং ব্যাগের ভেতরে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি কার পার্কিং থেকে হারুনকে ৬ তলার অফিস কক্ষে নিয়ে যান।” হারুনের স্ত্রী বাকি ৪০ লাখ টাকা একটি ব্যাগে করে নিয়ে অফিসের নিচতলায় কার পার্কিংয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর অবস্থান করছিলেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর। তিনি বলেন, “হারুনকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিসে বসে কথা বলার সময় হঠাৎ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ব্যক্তি মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় পিস্তল সদৃশ্য বস্তু দিয়ে গুলি করা ভয় দেখিয়ে মারধর করে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় ও পাশের রুমে আটকে রাখে। “পরবর্তীতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কার পার্কিংয়ে থাকা হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা আরো ৪০ লাখ টাকা কেড়ে নেয়। এছাড়া হারুনের স্ত্রীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।” সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরে হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিস কক্ষের পাশের রুমে হারুনের সঙ্গে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। তাদের চিৎকারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি দরজা খুলে দিলে তারা রুম থেকে বের হন। মিরপুর থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় বুধবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। পবর্তীতে ঢাকার বিভন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ও তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।” অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাফকো ডেভেলপারের পরিচালক শেখ ফরহাদ বলেন, “একটা ঝামেলার কথা শুনেছি। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। বিস্তারিত জানি না।”

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা, ৫৭ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ৬
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আবাসন কোম্পানি নাফকো’র বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫৭ লাখ টাকাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মহসিন মুন্সি, মাজাহারুল ইসলাম, রেজাউল করিম, তৈয়ব, হুমায়ুন কবির ও নূর মোহাম্মদ ওরফে নতু। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাকছুদের রহমান। তিনি বলেন, ধানমন্ডির ৪/এ সড়কে একটি ১০তলা ভবন নির্মাণ করছে নাফকো। পৌনে চার কোটি টাকায় ওই ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও অষ্টম তলা কিনতে চুক্তিবদ্ধ হন ধানমন্ডির বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। পরে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দেন ওই ক্রেতা। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “গত ৮ অক্টোবর নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির ডিএমডি ও এমডি ফোন করে হারুনুর রশিদকে সন্ধ্যার পরে তাদের মিরপুর অফিসে যেতে বলেন, সন্ধ্যার পর তাকে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। তখন ক্রেতা হারুনুর রশিদ ডিএমডি ফয়সাল শেখকে বকেয়া টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যেমে দিতে চাইলে নগদ টাকা নিয়ে যেতে বলেন।” উপকমিশনার মাকছুদের বলেন, “কথা অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে মিরপুর ৫ নম্বর রোডের ৯/২ নম্বর বাসায় নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির অফিসে পরিবারের অন্য সদস্যসহ ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দুইটি ব্যাগে করে নিয়ে যান। “এ সময় হারুনুর রশিদের কাছে থাকা সাদা শপিং ব্যাগের ভেতরে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি কার পার্কিং থেকে হারুনকে ৬ তলার অফিস কক্ষে নিয়ে যান।” হারুনের স্ত্রী বাকি ৪০ লাখ টাকা একটি ব্যাগে করে নিয়ে অফিসের নিচতলায় কার পার্কিংয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর অবস্থান করছিলেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর। তিনি বলেন, “হারুনকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিসে বসে কথা বলার সময় হঠাৎ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ব্যক্তি মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় পিস্তল সদৃশ্য বস্তু দিয়ে গুলি করা ভয় দেখিয়ে মারধর করে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় ও পাশের রুমে আটকে রাখে। “পরবর্তীতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কার পার্কিংয়ে থাকা হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা আরো ৪০ লাখ টাকা কেড়ে নেয়। এছাড়া হারুনের স্ত্রীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।” সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরে হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিস কক্ষের পাশের রুমে হারুনের সঙ্গে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। তাদের চিৎকারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি দরজা খুলে দিলে তারা রুম থেকে বের হন। মিরপুর থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় বুধবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। পবর্তীতে ঢাকার বিভন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ও তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।” অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাফকো ডেভেলপারের পরিচালক শেখ ফরহাদ বলেন, “একটা ঝামেলার কথা শুনেছি। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। বিস্তারিত জানি না।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা, ৫৭ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ৬

আপডেট সময় : ০৭:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আবাসন কোম্পানি নাফকো’র বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫৭ লাখ টাকাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মহসিন মুন্সি, মাজাহারুল ইসলাম, রেজাউল করিম, তৈয়ব, হুমায়ুন কবির ও নূর মোহাম্মদ ওরফে নতু। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাকছুদের রহমান। তিনি বলেন, ধানমন্ডির ৪/এ সড়কে একটি ১০তলা ভবন নির্মাণ করছে নাফকো। পৌনে চার কোটি টাকায় ওই ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও অষ্টম তলা কিনতে চুক্তিবদ্ধ হন ধানমন্ডির বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। পরে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দেন ওই ক্রেতা। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “গত ৮ অক্টোবর নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির ডিএমডি ও এমডি ফোন করে হারুনুর রশিদকে সন্ধ্যার পরে তাদের মিরপুর অফিসে যেতে বলেন, সন্ধ্যার পর তাকে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। তখন ক্রেতা হারুনুর রশিদ ডিএমডি ফয়সাল শেখকে বকেয়া টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যেমে দিতে চাইলে নগদ টাকা নিয়ে যেতে বলেন।” উপকমিশনার মাকছুদের বলেন, “কথা অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে মিরপুর ৫ নম্বর রোডের ৯/২ নম্বর বাসায় নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির অফিসে পরিবারের অন্য সদস্যসহ ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দুইটি ব্যাগে করে নিয়ে যান। “এ সময় হারুনুর রশিদের কাছে থাকা সাদা শপিং ব্যাগের ভেতরে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি কার পার্কিং থেকে হারুনকে ৬ তলার অফিস কক্ষে নিয়ে যান।” হারুনের স্ত্রী বাকি ৪০ লাখ টাকা একটি ব্যাগে করে নিয়ে অফিসের নিচতলায় কার পার্কিংয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর অবস্থান করছিলেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর। তিনি বলেন, “হারুনকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিসে বসে কথা বলার সময় হঠাৎ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ব্যক্তি মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় পিস্তল সদৃশ্য বস্তু দিয়ে গুলি করা ভয় দেখিয়ে মারধর করে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় ও পাশের রুমে আটকে রাখে। “পরবর্তীতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কার পার্কিংয়ে থাকা হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা আরো ৪০ লাখ টাকা কেড়ে নেয়। এছাড়া হারুনের স্ত্রীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।” সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরে হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিস কক্ষের পাশের রুমে হারুনের সঙ্গে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। তাদের চিৎকারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি দরজা খুলে দিলে তারা রুম থেকে বের হন। মিরপুর থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় বুধবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। পবর্তীতে ঢাকার বিভন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ও তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।” অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাফকো ডেভেলপারের পরিচালক শেখ ফরহাদ বলেন, “একটা ঝামেলার কথা শুনেছি। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। বিস্তারিত জানি না।”

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা, ৫৭ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ৬
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আবাসন কোম্পানি নাফকো’র বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫৭ লাখ টাকাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মহসিন মুন্সি, মাজাহারুল ইসলাম, রেজাউল করিম, তৈয়ব, হুমায়ুন কবির ও নূর মোহাম্মদ ওরফে নতু। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাকছুদের রহমান। তিনি বলেন, ধানমন্ডির ৪/এ সড়কে একটি ১০তলা ভবন নির্মাণ করছে নাফকো। পৌনে চার কোটি টাকায় ওই ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও অষ্টম তলা কিনতে চুক্তিবদ্ধ হন ধানমন্ডির বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। পরে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দেন ওই ক্রেতা। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “গত ৮ অক্টোবর নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির ডিএমডি ও এমডি ফোন করে হারুনুর রশিদকে সন্ধ্যার পরে তাদের মিরপুর অফিসে যেতে বলেন, সন্ধ্যার পর তাকে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। তখন ক্রেতা হারুনুর রশিদ ডিএমডি ফয়সাল শেখকে বকেয়া টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যেমে দিতে চাইলে নগদ টাকা নিয়ে যেতে বলেন।” উপকমিশনার মাকছুদের বলেন, “কথা অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে মিরপুর ৫ নম্বর রোডের ৯/২ নম্বর বাসায় নাফকো ডেভেলপার কোম্পানির অফিসে পরিবারের অন্য সদস্যসহ ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দুইটি ব্যাগে করে নিয়ে যান। “এ সময় হারুনুর রশিদের কাছে থাকা সাদা শপিং ব্যাগের ভেতরে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি কার পার্কিং থেকে হারুনকে ৬ তলার অফিস কক্ষে নিয়ে যান।” হারুনের স্ত্রী বাকি ৪০ লাখ টাকা একটি ব্যাগে করে নিয়ে অফিসের নিচতলায় কার পার্কিংয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর অবস্থান করছিলেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর। তিনি বলেন, “হারুনকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিসে বসে কথা বলার সময় হঠাৎ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ব্যক্তি মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় পিস্তল সদৃশ্য বস্তু দিয়ে গুলি করা ভয় দেখিয়ে মারধর করে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় ও পাশের রুমে আটকে রাখে। “পরবর্তীতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কার পার্কিংয়ে থাকা হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা আরো ৪০ লাখ টাকা কেড়ে নেয়। এছাড়া হারুনের স্ত্রীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।” সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরে হারুনের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ড্রাইভারকে ডিএমডি ফয়সাল শেখের অফিস কক্ষের পাশের রুমে হারুনের সঙ্গে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। তাদের চিৎকারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি দরজা খুলে দিলে তারা রুম থেকে বের হন। মিরপুর থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তা মাকছেদুর বলেন, “এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় বুধবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। পবর্তীতে ঢাকার বিভন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ও তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।” অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাফকো ডেভেলপারের পরিচালক শেখ ফরহাদ বলেন, “একটা ঝামেলার কথা শুনেছি। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। বিস্তারিত জানি না।”