ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নারী নিগ্রহের দাপট যন্ত্রণার জাঁতাকলে

  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: নারী নিপীড়ন সমাজ ব্যবস্থার গভীরে প্রোথিত এক ধারাবাহিক অপকর্ম। তা যুগ-যুগান্তরের অসাম্য-বৈষম্যের ক্ষতচিহ্নও বটে। অথচ সৃষ্টির ঊষালগ্ন থেকে এমন তারতম্যের শিকার সমসংখ্যক কন্যা, জায়া, জননীকে সেভাবে উত্ত্যক্ত না করার দৃশ্যই ইতিহাসের বরমাল্য। সেখানে প্রথম থেকেই নারী জাতির আধিপত্য বিস্তার ঐতিহাসিকও সমাজবিজ্ঞানীদের লেখায় বিধৃত, স্বীকৃত। আর পরিবার হিসেবে শুরুতেই মাতৃতান্ত্রিকতার আধিপত্য আদি সমাজ ও সভ্যতার নিয়ামক।
অবাধ স্বেচ্ছাচার আর দলগত বিয়ে পিতৃপরিচয়ের কোনো সুযোগই ছিল না। দৃশ্যমান সরাসরিভাবে দৃষ্টি আকর্ষিত হয় মায়ের গর্ভ থেকেই সন্তানের জন্ম। সঙ্গত কারণে মাকেই চেনা যেত জন্মদাত্রী হিসেবে। তাই গোত্র প্রধান এবং পারিবারিক আধিপত্য ও ছিল নারীর নিয়ন্ত্রণে। সে তো সভ্যতা সূর্য উদয়ের আরও আগের ইতিবৃত্ত। বিয়ে নামক সামাজিক বন্ধন তৈরির বহু আগের ঘটনা পরম্পরায় নারীর এমন সামাজিক অধিকার, স্বীকৃতি মেনে নিয়েই সভ্যতা সূর্য তার যথার্থ কাল, সময় সম্প্রসারণে দুনিয়াকে নব দ্যুতির অনন্য আলোক দেখাতেও অনেকটা পশ্চাদগামী হয়।
নারীপ্রধান যুগের অবসান এককভাবে নারী-পুরুষের বিয়েবন্ধন আবদ্ধে নতুন সময়ের অভ্যুত্থান নাকি নারীদের ঐতিহাসিক পরাজয়। তাও বিধৃত হয় সমাজবিজ্ঞানী এঙ্গেলসের ‘রাষ্ট্র, পরিবার ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব’ বিখ্যাত গবেষণামূলক গ্রন্থে। এর শুরু নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গানের ‘আদিম সমাজ’ বইটির নব-উদ্ভাবনে। একক বিয়েতে পিতার পরিচয় যখন নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত হলোÑ সেখান থেকেই শুরু নারীর পরাজয়, বিপন্নতা আর দুঃসহ জীবন যাপনের হরেক অনৈতিক মাত্রা।
অধিকার আর ন্যায্য সম্মান নাকি সমসংখ্যক নারী সভ্যতা সূর্যের মধ্য গগনেও ফিরে না পাওয়া ইতিহাসের নিতান্ত দুর্বিপাক। তাই সভ্যতার পরম উৎকর্ষের বরমাল্যে বিশ্ব যেখানে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর সেখানে নারী নিগ্রহের দাপট আর নৃশংসতায় সমসংখ্যক পতিত হচ্ছে যন্ত্রণার জাঁতাকলে। তাই দেশের যত্রতত্র, গণমাধ্যমের নিত্য সংবাদে উঠে আসছে নারী নিপীড়নের হরেক বিপর্যয় আর কঠিন বাতাবরণ। বাংলাদেশের নারীর প্রতি অধিকার আদায়ে সোচ্চার সংগঠন মহিলা পরিষদ সম্প্রতি এক প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে উদাত্ত কণ্ঠে আওয়াজ তুলল নারী সহিংসতা নাকি একবিংশ শতাব্দীর উন্নয়নের কালো দাগ।
নিয়ত নারী নিগ্রহের করুণ চিহ্ন শুধু নেতাকর্মীদের নয়; হতচকিত, উদ্বিগ্ন আর উৎকণ্ঠিত করে দেশের আপামর নারীকে। এমন প্রশ্নও উঠছেÑ ‘নারী তুমি কোথায় নিরাপদ?’ সেটি ক্ষুদ্র পারিবারিক আলয় থেকে বৃহত্তর সামাজিক আঙিনার সর্বত্র বিরাজমান। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একজন শিশুকন্যা; নাকি বৈষম্যের প্রথম শিকার হয় তার নিভৃত পারিবারিক আলয় থেকে। আর সেটি নাকি করেন জন্মদাত্রী মা।
আশাহত এক চরম দুঃসংবাদ। শিশুকন্যাটি নাকি তার সহোদর ভাইয়ের সঙ্গে যে বৈষম্যের শিকার হয় সেটি বোঝাও নাকি তার অসাধ্য। এটা সামাজিক নীতি-সংস্কার যাই হোক না কেন। তবে এমন নীতি সংস্কারের লিখিত কোনো বিধি ব্যবস্থার অনুপস্থিতি উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ন্যায্যতাও দেয় না। পরবর্তীতে শুরু হয় বিয়ের পিঁড়িতে বসা। সেটা বিবাহ অত্যাচার বললে বেশি বলা হয় না। কন্যা শিশুটি পরে বাল্যবিয়ের দৃষ্টিকটু জাঁতাকলে। পরবর্তীতে অকাল মাতৃত্বের আর এক অসংহত দুর্বিপাক তো বটেই। অনেক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে এক শিশুর গর্ভে আর এক ক্ষুদ্র শিশু লালন করা হচ্ছে।
এমন সব দুর্বিষহ কাহিনী চিত্র নতুন কিছু নয়। চলে আসা অসহনীয় এক অপসংস্কার। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে তরুণ ছাত্র সমাজ যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সফল, উদ্দীপ্ত আর উজ্জীবিত। সেখানে বৈষম্যপীড়িত সমসংখ্যক নারীর বিষয়টি নতুনভাবে সাড়া জাগাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। বৈষম্য নিরোধ কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রীদের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান ও অঙ্গীকারে লিঙ্গ বৈষম্যকেও সমতার আঙ্গিকে নিয়ে আসা পরিস্থিতির ন্যায্যতা।
একজন নারী আশা-আকাক্সক্ষার স্বপ্নের জাল বুনে স্বামীর সংসার করতে যায়। অচেনা মানুষ আর পরিবেশ সামলাতেও তাকে অনেক সময় পার হয়ে আসতে হয়। ততদিনে কত অত্যাচার, লাঞ্ছনা, গঞ্জনায় কন্যা বধূটিকে যে মাত্রায় নাজেহাল হতে হয় তেমন বিদগ্ধ সচিত্র প্রতিবেদন হরহামেশাই প্রচার মাধ্যমের কলেবর বৃদ্ধি আর বিষণœ করে তোলে। মহিলা পরিষদের বহুবার প্রতিবাদী কণ্ঠে আওয়াজ তোলা সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কঠিন প্রত্যয়।
নতুন মাত্রায় জাগিয়ে তোলা বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশের জন্য যৌক্তিক এবং অপরিহার্য। মানুষের অধিকারে জীবন চালানোর প্রাপ্য সম্মান সব নাগরিকের ন্যায্য দাবি। সেখানে নারী-পুরুষ অবান্তরই শুধু নয়, অযাচিত, অহেতুক এবং অন্যায্যতাও দাবি করে। যার যতখানি প্রাপ্য অধিকার, সম্মান, স্বাধীনতাÑ সবই রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত। সামাজিক বিধি মোতাবেক ও ন্যায্যত। সেখানে ফারাক কিংবা তারতম্য অযৌক্তিক, অপ্রাসঙ্গিক এবং ন্যায় নীতিবহির্ভূত। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন সমতার ভিত্তিতে যে বাংলাদেশের নবযাত্রাকে স্বাগত জানায় সেখানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদও বাহুল্য মাত্র।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নারী নিগ্রহের দাপট যন্ত্রণার জাঁতাকলে

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

নারী ও শিশু ডেস্ক: নারী নিপীড়ন সমাজ ব্যবস্থার গভীরে প্রোথিত এক ধারাবাহিক অপকর্ম। তা যুগ-যুগান্তরের অসাম্য-বৈষম্যের ক্ষতচিহ্নও বটে। অথচ সৃষ্টির ঊষালগ্ন থেকে এমন তারতম্যের শিকার সমসংখ্যক কন্যা, জায়া, জননীকে সেভাবে উত্ত্যক্ত না করার দৃশ্যই ইতিহাসের বরমাল্য। সেখানে প্রথম থেকেই নারী জাতির আধিপত্য বিস্তার ঐতিহাসিকও সমাজবিজ্ঞানীদের লেখায় বিধৃত, স্বীকৃত। আর পরিবার হিসেবে শুরুতেই মাতৃতান্ত্রিকতার আধিপত্য আদি সমাজ ও সভ্যতার নিয়ামক।
অবাধ স্বেচ্ছাচার আর দলগত বিয়ে পিতৃপরিচয়ের কোনো সুযোগই ছিল না। দৃশ্যমান সরাসরিভাবে দৃষ্টি আকর্ষিত হয় মায়ের গর্ভ থেকেই সন্তানের জন্ম। সঙ্গত কারণে মাকেই চেনা যেত জন্মদাত্রী হিসেবে। তাই গোত্র প্রধান এবং পারিবারিক আধিপত্য ও ছিল নারীর নিয়ন্ত্রণে। সে তো সভ্যতা সূর্য উদয়ের আরও আগের ইতিবৃত্ত। বিয়ে নামক সামাজিক বন্ধন তৈরির বহু আগের ঘটনা পরম্পরায় নারীর এমন সামাজিক অধিকার, স্বীকৃতি মেনে নিয়েই সভ্যতা সূর্য তার যথার্থ কাল, সময় সম্প্রসারণে দুনিয়াকে নব দ্যুতির অনন্য আলোক দেখাতেও অনেকটা পশ্চাদগামী হয়।
নারীপ্রধান যুগের অবসান এককভাবে নারী-পুরুষের বিয়েবন্ধন আবদ্ধে নতুন সময়ের অভ্যুত্থান নাকি নারীদের ঐতিহাসিক পরাজয়। তাও বিধৃত হয় সমাজবিজ্ঞানী এঙ্গেলসের ‘রাষ্ট্র, পরিবার ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব’ বিখ্যাত গবেষণামূলক গ্রন্থে। এর শুরু নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গানের ‘আদিম সমাজ’ বইটির নব-উদ্ভাবনে। একক বিয়েতে পিতার পরিচয় যখন নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত হলোÑ সেখান থেকেই শুরু নারীর পরাজয়, বিপন্নতা আর দুঃসহ জীবন যাপনের হরেক অনৈতিক মাত্রা।
অধিকার আর ন্যায্য সম্মান নাকি সমসংখ্যক নারী সভ্যতা সূর্যের মধ্য গগনেও ফিরে না পাওয়া ইতিহাসের নিতান্ত দুর্বিপাক। তাই সভ্যতার পরম উৎকর্ষের বরমাল্যে বিশ্ব যেখানে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর সেখানে নারী নিগ্রহের দাপট আর নৃশংসতায় সমসংখ্যক পতিত হচ্ছে যন্ত্রণার জাঁতাকলে। তাই দেশের যত্রতত্র, গণমাধ্যমের নিত্য সংবাদে উঠে আসছে নারী নিপীড়নের হরেক বিপর্যয় আর কঠিন বাতাবরণ। বাংলাদেশের নারীর প্রতি অধিকার আদায়ে সোচ্চার সংগঠন মহিলা পরিষদ সম্প্রতি এক প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে উদাত্ত কণ্ঠে আওয়াজ তুলল নারী সহিংসতা নাকি একবিংশ শতাব্দীর উন্নয়নের কালো দাগ।
নিয়ত নারী নিগ্রহের করুণ চিহ্ন শুধু নেতাকর্মীদের নয়; হতচকিত, উদ্বিগ্ন আর উৎকণ্ঠিত করে দেশের আপামর নারীকে। এমন প্রশ্নও উঠছেÑ ‘নারী তুমি কোথায় নিরাপদ?’ সেটি ক্ষুদ্র পারিবারিক আলয় থেকে বৃহত্তর সামাজিক আঙিনার সর্বত্র বিরাজমান। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একজন শিশুকন্যা; নাকি বৈষম্যের প্রথম শিকার হয় তার নিভৃত পারিবারিক আলয় থেকে। আর সেটি নাকি করেন জন্মদাত্রী মা।
আশাহত এক চরম দুঃসংবাদ। শিশুকন্যাটি নাকি তার সহোদর ভাইয়ের সঙ্গে যে বৈষম্যের শিকার হয় সেটি বোঝাও নাকি তার অসাধ্য। এটা সামাজিক নীতি-সংস্কার যাই হোক না কেন। তবে এমন নীতি সংস্কারের লিখিত কোনো বিধি ব্যবস্থার অনুপস্থিতি উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ন্যায্যতাও দেয় না। পরবর্তীতে শুরু হয় বিয়ের পিঁড়িতে বসা। সেটা বিবাহ অত্যাচার বললে বেশি বলা হয় না। কন্যা শিশুটি পরে বাল্যবিয়ের দৃষ্টিকটু জাঁতাকলে। পরবর্তীতে অকাল মাতৃত্বের আর এক অসংহত দুর্বিপাক তো বটেই। অনেক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে এক শিশুর গর্ভে আর এক ক্ষুদ্র শিশু লালন করা হচ্ছে।
এমন সব দুর্বিষহ কাহিনী চিত্র নতুন কিছু নয়। চলে আসা অসহনীয় এক অপসংস্কার। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে তরুণ ছাত্র সমাজ যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সফল, উদ্দীপ্ত আর উজ্জীবিত। সেখানে বৈষম্যপীড়িত সমসংখ্যক নারীর বিষয়টি নতুনভাবে সাড়া জাগাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। বৈষম্য নিরোধ কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রীদের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান ও অঙ্গীকারে লিঙ্গ বৈষম্যকেও সমতার আঙ্গিকে নিয়ে আসা পরিস্থিতির ন্যায্যতা।
একজন নারী আশা-আকাক্সক্ষার স্বপ্নের জাল বুনে স্বামীর সংসার করতে যায়। অচেনা মানুষ আর পরিবেশ সামলাতেও তাকে অনেক সময় পার হয়ে আসতে হয়। ততদিনে কত অত্যাচার, লাঞ্ছনা, গঞ্জনায় কন্যা বধূটিকে যে মাত্রায় নাজেহাল হতে হয় তেমন বিদগ্ধ সচিত্র প্রতিবেদন হরহামেশাই প্রচার মাধ্যমের কলেবর বৃদ্ধি আর বিষণœ করে তোলে। মহিলা পরিষদের বহুবার প্রতিবাদী কণ্ঠে আওয়াজ তোলা সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কঠিন প্রত্যয়।
নতুন মাত্রায় জাগিয়ে তোলা বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশের জন্য যৌক্তিক এবং অপরিহার্য। মানুষের অধিকারে জীবন চালানোর প্রাপ্য সম্মান সব নাগরিকের ন্যায্য দাবি। সেখানে নারী-পুরুষ অবান্তরই শুধু নয়, অযাচিত, অহেতুক এবং অন্যায্যতাও দাবি করে। যার যতখানি প্রাপ্য অধিকার, সম্মান, স্বাধীনতাÑ সবই রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত। সামাজিক বিধি মোতাবেক ও ন্যায্যত। সেখানে ফারাক কিংবা তারতম্য অযৌক্তিক, অপ্রাসঙ্গিক এবং ন্যায় নীতিবহির্ভূত। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন সমতার ভিত্তিতে যে বাংলাদেশের নবযাত্রাকে স্বাগত জানায় সেখানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদও বাহুল্য মাত্র।