ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ বছর চান ৪৭ শতাংশ ভোটার

  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৯৭ শতাংশ ভোটার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থাশীল। এই সরকারের মেয়াদ তিন বছর বা তার বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। আর ৫৩ শতাংশ মনে করেন, এই সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত।
বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় জরিপ ২০২৪: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ৯-১৯ সেপ্টেম্বর দেশের ৮টি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট ১ হাজর ৮৬৯ জনের ওপর জরিপটি করা হয়। উত্তরদাতাদের বৃহত্তম অংশ (৬৩%) মধ্যবয়সী (২৮-৫০ বছর)। ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭ বছর)। ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের ওপরে। এ ছাড়া জরিপের উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ শহরাঞ্চলের। ৪৬ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আকরাম হোসেন জরিপের তথ্য ও ফলাফল উপস্থাপন করেন। ফলাফলে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ৭২ শতাংশ ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন।
উত্তরদাতাদের ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না-এমন বিধান করাকে সমর্থন করে। ৪৬ শতাংশ মনে করেন, উল্লেখযোগ্য সাংবিধানিক পরিবর্তন প্রয়োজন। সংবিধানে ছোটখাটো সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন ৩৫ শতাংশ। আর ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন করে লেখা সংবিধানের পক্ষে মত দিয়েছেন। বাকি ৩ শতাংশ সংবিধানে পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই বলে মত দেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ব্যাপক আস্থা ও আকাশচুম্বী প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে, যা এই জরিপেও উঠে এসেছে। এর বিপরীতে এই প্রত্যাশার ব্যবস্থাপনা করাটাই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।
বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, আগেও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু তার সুফল পাওয়া যায়নি। এর বড় কারণ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় গিয়ে সেসব বাস্তবায়ন না করলে সবই হবে প-শ্রম। রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণতান্ত্রিক হতে হবে। বদিউল আলম মজুমদার আশা প্রকাশ করেন, সংস্কার কমিশনগুলো সুপারিশ দেওয়ার পর সরকার হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। এরপর হয়তো একটি রোডম্যাপ ও নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হবে। এসআইপিজির উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম. আমিনুজ্জামান বলেন, ৯৭ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা রেখেছে। সরকারকে বুঝতে হবে, তাদের সংস্কার করার সুযোগ রয়েছে। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ বলেন, মানুষের মধ্যে অনেক আস্থা ও আকাশচুম্বী প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এই প্রত্যাশার অর্থ হলো, সরকারের দায়িত্ব। মানুষ ভরসা করতে চায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ বছর চান ৪৭ শতাংশ ভোটার

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৯৭ শতাংশ ভোটার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থাশীল। এই সরকারের মেয়াদ তিন বছর বা তার বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। আর ৫৩ শতাংশ মনে করেন, এই সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত।
বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় জরিপ ২০২৪: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ৯-১৯ সেপ্টেম্বর দেশের ৮টি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট ১ হাজর ৮৬৯ জনের ওপর জরিপটি করা হয়। উত্তরদাতাদের বৃহত্তম অংশ (৬৩%) মধ্যবয়সী (২৮-৫০ বছর)। ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭ বছর)। ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের ওপরে। এ ছাড়া জরিপের উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ শহরাঞ্চলের। ৪৬ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আকরাম হোসেন জরিপের তথ্য ও ফলাফল উপস্থাপন করেন। ফলাফলে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ৭২ শতাংশ ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন।
উত্তরদাতাদের ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না-এমন বিধান করাকে সমর্থন করে। ৪৬ শতাংশ মনে করেন, উল্লেখযোগ্য সাংবিধানিক পরিবর্তন প্রয়োজন। সংবিধানে ছোটখাটো সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন ৩৫ শতাংশ। আর ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন করে লেখা সংবিধানের পক্ষে মত দিয়েছেন। বাকি ৩ শতাংশ সংবিধানে পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই বলে মত দেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ব্যাপক আস্থা ও আকাশচুম্বী প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে, যা এই জরিপেও উঠে এসেছে। এর বিপরীতে এই প্রত্যাশার ব্যবস্থাপনা করাটাই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।
বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, আগেও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু তার সুফল পাওয়া যায়নি। এর বড় কারণ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় গিয়ে সেসব বাস্তবায়ন না করলে সবই হবে প-শ্রম। রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণতান্ত্রিক হতে হবে। বদিউল আলম মজুমদার আশা প্রকাশ করেন, সংস্কার কমিশনগুলো সুপারিশ দেওয়ার পর সরকার হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। এরপর হয়তো একটি রোডম্যাপ ও নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হবে। এসআইপিজির উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম. আমিনুজ্জামান বলেন, ৯৭ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা রেখেছে। সরকারকে বুঝতে হবে, তাদের সংস্কার করার সুযোগ রয়েছে। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ বলেন, মানুষের মধ্যে অনেক আস্থা ও আকাশচুম্বী প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এই প্রত্যাশার অর্থ হলো, সরকারের দায়িত্ব। মানুষ ভরসা করতে চায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।