ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

দেরিতে হলেও স্বাস্থ্যকর জীবন শুরু করা উপকারী

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ভাবছেন বয়স হয়ে গেছে, এখন আর এসব করে কী হবে! তবে গবেষণা বলছে উল্টো কথা! জীবনে দেরিতে হলেও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করলে সুস্থতার পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব। ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’য়ে প্রকাশিত চীনের ‘ফুডান ইউনিভার্সিটি’র পুষ্টি বিভাগের ‘স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের করা এই পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক গবেষণা চালানো হয় ৮০ থেকে তদুর্ধ্ব বয়সি ৫ হাজার ২শ’ ২২ জনের ওপর। এরপর গবেষকরা এদের মধ্যে যাদের বয়স ১শ’ হয়েছে তাদেরকে বাছাই করে জীবনযাপনের ধরন হিসেবে শূন্য থেকে ছয় পর্যন্ত মান নির্ধারণ করেন। মান নির্ধারণের জন্য প্রতিদিন শরীরচর্চা, ধূমপান, অ্যালকোহল, খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতা, ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়। দেখা গেছে, গড়ে যারা পাঁচ থেকে ছয় মানের মধ্যে ছিলেন, তারা বলতে গেলে শতবর্ষের অধিকারী। আর যাদের মান ছিল শূন্য থেকে দুইয়ের মধ্যে, তারা ক্ষণ জীবন পার করেছেন। গবেষকদের বরাত দিয়ে ‘হার্ভার্ড হেল্থ প্রকাশনায়’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের জন্য তিনটি অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হল- খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ধূমপান না করা। শতবর্ষীরা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সবজি, ফল, মাছ, মটরশুঁট এবং চা গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি দৈনিক শরীরচর্চা করা- যেমন হাঁটতেন বা দৌড়াতেন। এছাড়া ধূমপান করতেন না। মনে রাখতে হবে গবেষণাটি সম্পৃক্ততা মূলক। কারণ উদঘাটন এখানে করা হয়নি। তারপরও গবেষকরা পরামর্শ দেন, বয়স বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে দীর্ঘমেয়াদে উপকারই মিলবে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

দেরিতে হলেও স্বাস্থ্যকর জীবন শুরু করা উপকারী

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ভাবছেন বয়স হয়ে গেছে, এখন আর এসব করে কী হবে! তবে গবেষণা বলছে উল্টো কথা! জীবনে দেরিতে হলেও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করলে সুস্থতার পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব। ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’য়ে প্রকাশিত চীনের ‘ফুডান ইউনিভার্সিটি’র পুষ্টি বিভাগের ‘স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের করা এই পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক গবেষণা চালানো হয় ৮০ থেকে তদুর্ধ্ব বয়সি ৫ হাজার ২শ’ ২২ জনের ওপর। এরপর গবেষকরা এদের মধ্যে যাদের বয়স ১শ’ হয়েছে তাদেরকে বাছাই করে জীবনযাপনের ধরন হিসেবে শূন্য থেকে ছয় পর্যন্ত মান নির্ধারণ করেন। মান নির্ধারণের জন্য প্রতিদিন শরীরচর্চা, ধূমপান, অ্যালকোহল, খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতা, ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়। দেখা গেছে, গড়ে যারা পাঁচ থেকে ছয় মানের মধ্যে ছিলেন, তারা বলতে গেলে শতবর্ষের অধিকারী। আর যাদের মান ছিল শূন্য থেকে দুইয়ের মধ্যে, তারা ক্ষণ জীবন পার করেছেন। গবেষকদের বরাত দিয়ে ‘হার্ভার্ড হেল্থ প্রকাশনায়’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের জন্য তিনটি অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হল- খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ধূমপান না করা। শতবর্ষীরা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সবজি, ফল, মাছ, মটরশুঁট এবং চা গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি দৈনিক শরীরচর্চা করা- যেমন হাঁটতেন বা দৌড়াতেন। এছাড়া ধূমপান করতেন না। মনে রাখতে হবে গবেষণাটি সম্পৃক্ততা মূলক। কারণ উদঘাটন এখানে করা হয়নি। তারপরও গবেষকরা পরামর্শ দেন, বয়স বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে দীর্ঘমেয়াদে উপকারই মিলবে।