ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

বয়স ৩২ বছরের মধ্যেই গড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ

  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়স মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কেউ ক্যারিয়ার গোছাতে ব্যস্ত, কেউ কেউ বিয়ে করে সংসারজীবনেও ঢুকে যান। মোট কথা, এই বয়সে সবার দৃষ্টি থাকে একটা সুখী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল জীবনের দিকে। তবে এসব অর্জন তো সহজ কিছু নয়। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বেলায় এ বয়সে মানুষ প্রচুর ভুল করে। অনেকে সবকিছুর চাপ সামলাতে হিমশিম খান, হারিয়ে ফেলেন আত্মবিশ্বাস। পরিণতিতে জীবন হয়ে ওঠে তিক্ত। তাই পালন করতে হবে কয়েকটি কাজ। তা হলোÑ
স্বাস্থ্যের যত্ন: জীবনে সাফল্য অর্জন করতে চাইলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকা জরুরি। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যায়। আর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়ামের জুড়ি নেই। এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত শরীরের যত্ন তো নিতেই হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মানসিক চাপ। অবশ্য এসব কাজ কেউ রাতারাতি করতে পারে না। সময় লাগে। বারবার অনুশীলন করে অভ্যাসে পরিণত করতে হয়। এটা একবার অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পাবেন।
নিজের জন্য শেখা: পড়ালেখা শুধু ডিগ্রি অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। শিক্ষা অর্জন করে একদিন বড় চাকরি করতে হবে, তাই পড়ালেখা করি—এমন মনোভাব থাকলে এখনই নিজেকে বদলান। শুধু ভালো চাকরির জন্য নয়, নিজের জন্য শিখুন। নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করুন। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যায়। আপনিও নিজেকে বদলান। যেমন নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হোন, নিয়মিত বই পড়ুন। শুধু পেশাগত জীবনে উন্নতি করার জন্য অনলাইন কোর্স করলেই হবে না। বই পড়ে নিজেকে উন্নত করুন। এই সাধারণ বিষয়গুলো পেশাদার বিশ্বে আপনার জন্য একটা শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। এসবই আপনাকে অনেকের মধ্যে আলাদা করতে পারবে।
সম্পর্ক দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলা: মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করেই সুখী। ব্যতিক্রমও আছে। কেউ দাবি করতে পারেন যে তিনি সঙ্গ ছাড়া সুখী ও পরিপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবে প্রত্যেকেরই সঙ্গ দরকার হয়। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া জীবন পরিপূর্ণ হয় না। তাই সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। এটাকে আপনি বিনিয়োগ বলতে পারেন। বেশি বেশি মানুষের সঙ্গে পরিচিত হলে, ভালো সম্পর্ক গড়ে তুললে আপনার একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। ভবিষ্যতে এটা আপনার সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। পেশা ও ব্যক্তিগত উভয় জীবনে এ সম্পদ কাজে লাগবে। তাই আশপাশের যত মানুষের সঙ্গে সম্ভব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
অর্থ বিনিয়োগ করতে শেখা: সম্ভাবনাময় খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে শিখুন। ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা ও স্বাধীনতা অর্জন করতে চাইলে এখনই অর্থ বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। এতে অল্প সময়ে আপনার অর্থ বৃদ্ধি পাবে। উপার্জন করার পাশাপাশি তা বিনিয়োগ করা সহজ নয়। এর জন্য চাই বোঝাপড়া। ফলে হুট করে কোথাও বিনিয়োগ করে চোখ বুজে বসে থাকবেন, তা যেন না হয়। ব্যাংকে বা ঘরে টাকা জমা রেখে তেমন সুফল মেলে না। তাই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে এবং আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে অর্থ বিনিয়োগ করতে শিখুন।
ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়া: অনেকেই একটা চাকরি পাওয়ার পর তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। কোনো রকমে চাকরিটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু যারা ভবিষ্যৎ আরও উন্নত করতে চান, তারা এক জায়গায় থেমে থাকেন না। ভালো চাকরি পেলেও নিজেকে আরও উন্নত করা চেষ্টা করতে থাকেন। যেখানে নিজের কমতি আছে, সেখানেই উন্নতি করার চেষ্টা করেন তারা। নতুন নতুন কোর্স করে আরও শেখেন। এতে নিজের ক্যারিয়ার যেমন সচল থাকে তেমনি কর্মস্থলও উপকৃত হয়। যেখানে চাকরি করছেন, সেখানেও আপনার আরও উন্নতি প্রয়োজন। তা ছাড়া নতুন আরও অনেক চাকরি তো আপনার জন্য আছেই। তাই নিজেকে যতা সম্ভব উন্নত করুন এবং নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যান।
সূত্র: সিএনবিসি

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বয়স ৩২ বছরের মধ্যেই গড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ

আপডেট সময় : ১০:৩৪:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়স মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কেউ ক্যারিয়ার গোছাতে ব্যস্ত, কেউ কেউ বিয়ে করে সংসারজীবনেও ঢুকে যান। মোট কথা, এই বয়সে সবার দৃষ্টি থাকে একটা সুখী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল জীবনের দিকে। তবে এসব অর্জন তো সহজ কিছু নয়। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বেলায় এ বয়সে মানুষ প্রচুর ভুল করে। অনেকে সবকিছুর চাপ সামলাতে হিমশিম খান, হারিয়ে ফেলেন আত্মবিশ্বাস। পরিণতিতে জীবন হয়ে ওঠে তিক্ত। তাই পালন করতে হবে কয়েকটি কাজ। তা হলোÑ
স্বাস্থ্যের যত্ন: জীবনে সাফল্য অর্জন করতে চাইলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকা জরুরি। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যায়। আর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়ামের জুড়ি নেই। এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত শরীরের যত্ন তো নিতেই হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মানসিক চাপ। অবশ্য এসব কাজ কেউ রাতারাতি করতে পারে না। সময় লাগে। বারবার অনুশীলন করে অভ্যাসে পরিণত করতে হয়। এটা একবার অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পাবেন।
নিজের জন্য শেখা: পড়ালেখা শুধু ডিগ্রি অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। শিক্ষা অর্জন করে একদিন বড় চাকরি করতে হবে, তাই পড়ালেখা করি—এমন মনোভাব থাকলে এখনই নিজেকে বদলান। শুধু ভালো চাকরির জন্য নয়, নিজের জন্য শিখুন। নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করুন। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যায়। আপনিও নিজেকে বদলান। যেমন নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হোন, নিয়মিত বই পড়ুন। শুধু পেশাগত জীবনে উন্নতি করার জন্য অনলাইন কোর্স করলেই হবে না। বই পড়ে নিজেকে উন্নত করুন। এই সাধারণ বিষয়গুলো পেশাদার বিশ্বে আপনার জন্য একটা শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। এসবই আপনাকে অনেকের মধ্যে আলাদা করতে পারবে।
সম্পর্ক দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলা: মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করেই সুখী। ব্যতিক্রমও আছে। কেউ দাবি করতে পারেন যে তিনি সঙ্গ ছাড়া সুখী ও পরিপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবে প্রত্যেকেরই সঙ্গ দরকার হয়। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া জীবন পরিপূর্ণ হয় না। তাই সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। এটাকে আপনি বিনিয়োগ বলতে পারেন। বেশি বেশি মানুষের সঙ্গে পরিচিত হলে, ভালো সম্পর্ক গড়ে তুললে আপনার একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। ভবিষ্যতে এটা আপনার সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। পেশা ও ব্যক্তিগত উভয় জীবনে এ সম্পদ কাজে লাগবে। তাই আশপাশের যত মানুষের সঙ্গে সম্ভব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
অর্থ বিনিয়োগ করতে শেখা: সম্ভাবনাময় খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে শিখুন। ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা ও স্বাধীনতা অর্জন করতে চাইলে এখনই অর্থ বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। এতে অল্প সময়ে আপনার অর্থ বৃদ্ধি পাবে। উপার্জন করার পাশাপাশি তা বিনিয়োগ করা সহজ নয়। এর জন্য চাই বোঝাপড়া। ফলে হুট করে কোথাও বিনিয়োগ করে চোখ বুজে বসে থাকবেন, তা যেন না হয়। ব্যাংকে বা ঘরে টাকা জমা রেখে তেমন সুফল মেলে না। তাই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে এবং আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে অর্থ বিনিয়োগ করতে শিখুন।
ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়া: অনেকেই একটা চাকরি পাওয়ার পর তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। কোনো রকমে চাকরিটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু যারা ভবিষ্যৎ আরও উন্নত করতে চান, তারা এক জায়গায় থেমে থাকেন না। ভালো চাকরি পেলেও নিজেকে আরও উন্নত করা চেষ্টা করতে থাকেন। যেখানে নিজের কমতি আছে, সেখানেই উন্নতি করার চেষ্টা করেন তারা। নতুন নতুন কোর্স করে আরও শেখেন। এতে নিজের ক্যারিয়ার যেমন সচল থাকে তেমনি কর্মস্থলও উপকৃত হয়। যেখানে চাকরি করছেন, সেখানেও আপনার আরও উন্নতি প্রয়োজন। তা ছাড়া নতুন আরও অনেক চাকরি তো আপনার জন্য আছেই। তাই নিজেকে যতা সম্ভব উন্নত করুন এবং নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যান।
সূত্র: সিএনবিসি