নিজস্ব প্রতিবেদক : চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ কবর দেওয়া হয়েছে প্রমাণ করতে বিএনপির কাছে লাশের ছবি, না হলে কবরের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষা (টেস্ট) করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, পরশু বিএনপি মহাসচিব চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, জিয়াউর রহমানের লাশ মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে এবং তারা খুঁজে পেয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই, জাতির কাছে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এখন তাকে জবাব দিতে হবে, সেই লাশের ছবি কোথায়, সাধারণ একটা মানুষেরও তো ছবি থাকে। তিনি তো রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুযায়ী তাদের সবকিছুর ছবি ধারণ করা থাকে। জিয়াউর রহমানে লাশ পেলেন, ছবিটা দয়া করে দেখান। তিনি বলেন, এই (চন্দ্রিমা উদ্যানে) কবর কার, আমার মতে এটা কোনো মতেই জিয়াউর রহমানের নয়। যদি হয় তবে প্রমাণ করুন। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তা (লাশের ছবি) যদি নাও থাকে বিজ্ঞানকে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না। ডিএনএ টেস্ট করলে পাওয়া যাবে যদি ওখানে (কবরে) কিছু থেকে থাকে। ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ হয়, জাতির কাছে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইব। যদি মিথ্যা কথা বলে থাকি, অন্য কোনো দ- দিলে সেটাও মাথা পেতে মেনে নেবো। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, সেখানে তার (জিয়াউর রহমান) লাশ নেই। মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি আরও একটি কথা বলতে চাই। সেটি হলো মহাসচিব বলেছেন, আমি জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণের কথা বলেছি। তবে আমি বলতে চাই যে কথাটি আসলে আংশিক সত্য, পুরোপুরি সত্য নয়। বিষয়টি হচ্ছে আমি জাতীয় সংসদে একাধিকবার বলেছি সংসদের নকশাকার বাইরে যা কিছু আছে, তার সবকিছুই আমাদের অপসারণ করা উচিত। কেননা এটি বিশ্বের মধ্যে একটি অনন্য নিদর্শন। আমি নকশার বাইরে সবকিছুই অপসারণ করতে বলেছি। সেখানে অন্যান্যের কবরও আছে। শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের কবরকে নির্দেশ করে বলা নয়। মুক্তিযুদ্ধ সংসদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। এসময় বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।