ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

নতুন ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

  • আপডেট সময় : ১১:২২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

অনেকেই আজকাল নতুন ফোন কেনার সময় পুরনো ফোনটি বিক্রি করে দেন বা ফোনটি বদলে নেন। পুরনো ফোন বদলে নতুন ফোন কেনার সময় কিছু বিষয় জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সঠিক ফোন বেছে নেওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে পুরনো ফোন বিক্রির বা বদলানোর আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
যদি ফোনে ব্যক্তিগত তথ্য থেকে যায় ডিলিট না করেন তা হলে কিন্তু পরে বড় বিপদ হতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য ভুল হাতে চলে গেলে তা দিয়ে আজকাল কী কী করা সম্ভব সেই বিষয়ে কম-বেশি সবারই জানা আছে। তাই পুরোনো মোবাইল বদলানোর আগে এই কাজগুলি অবশ্যই করে রাখুন।
বাজেট নির্ধারণ করা: ফোন কেনার আগে বাজেট নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় অতিরিক্ত ফিচার দেখে বেশি খরচ করা হয়ে যায়। তাই কী ফিচার চান এবং তার মূল্য কত হতে পারে, তা আগে ঠিক করে নিন।
ফিচার প্রয়োজনীয়তা বোঝা: আপনার কি ধরনের ফিচার দরকার তা বোঝা জরুরি। ক্যামেরা ভালো চাই, না কি ব্যাটারির ব্যাকআপ বেশি দরকার? প্রসেসর কেমন হবে বা কতটা স্টোরেজ প্রয়োজন- এই বিষয়গুলোও ঠিক করে নিন। ফোনের র‌্যাম, স্টোরেজ, ক্যামেরার মেগাপিক্সেল, ব্যাটারি ক্ষমতা, ডিসপ্লের রেজোলিউশন, ইত্যাদি দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন: অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস হলো দুটি প্রধান অপারেটিং সিস্টেম। আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে অভ্যস্ত হন তবে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিন। তবে আইফোন ব্যবহার করতে চাইলে নতুন আইওএস সম্পর্কে আগে একটু ধারণা নিয়ে নিন।
ক্যামেরার গুণগত মান: ফোনের ক্যামেরা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। শুধু মেগাপিক্সেলের দিকে না তাকিয়ে, ক্যামেরার সেন্সর, লেন্সের মান, ফোকাসিং এবং কম আলোতে ছবি তোলার ক্ষমতা যাচাই করে নিন।
স্টোরেজ ক্ষমতা: আপনার ছবি, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণের জন্য ফোনে পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা দরকার। আজকাল বেশিরভাগ ফোনে ৬৪জিবি থেকে ২৫৬জিবি বা তার বেশি স্টোরেজ থাকে। এছাড়া মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করে কি না, তাও দেখুন।
ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং সুবিধা: ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন হবে, তা যাচাই করা জরুরি। বড় ব্যাটারির ফোনে চার্জ দীর্ঘস্থায়ী হয়। পাশাপাশি দ্রুত চার্জিং সুবিধা (ফাস্ট চার্জিং) আছে কি না, সেটাও দেখে নিন।
দাম ও বিক্রয় পরবর্তী সেবা: বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেলের ফোনের দাম তুলনা করুন। এছাড়া বিক্রয় পরবর্তী সেবা যেমন ওয়ারেন্টি, সার্ভিস সেন্টারের সুযোগ-সুবিধা কেমন, তা দেখে নিন।
ব্যবহারকারীর রিভিউ ও রেটিং পড়ুন: নতুন ফোন কেনার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নিন। এতে ফোনের পারফরম্যান্স, সমস্যা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই বিষয়গুলো মনে রেখে নতুন ফোন কিনলে আপনি একটি মানসম্মত ফোন পাবেন, যা আপনার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

আপডেট সময় : ১১:২২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনেকেই আজকাল নতুন ফোন কেনার সময় পুরনো ফোনটি বিক্রি করে দেন বা ফোনটি বদলে নেন। পুরনো ফোন বদলে নতুন ফোন কেনার সময় কিছু বিষয় জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সঠিক ফোন বেছে নেওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে পুরনো ফোন বিক্রির বা বদলানোর আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
যদি ফোনে ব্যক্তিগত তথ্য থেকে যায় ডিলিট না করেন তা হলে কিন্তু পরে বড় বিপদ হতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য ভুল হাতে চলে গেলে তা দিয়ে আজকাল কী কী করা সম্ভব সেই বিষয়ে কম-বেশি সবারই জানা আছে। তাই পুরোনো মোবাইল বদলানোর আগে এই কাজগুলি অবশ্যই করে রাখুন।
বাজেট নির্ধারণ করা: ফোন কেনার আগে বাজেট নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় অতিরিক্ত ফিচার দেখে বেশি খরচ করা হয়ে যায়। তাই কী ফিচার চান এবং তার মূল্য কত হতে পারে, তা আগে ঠিক করে নিন।
ফিচার প্রয়োজনীয়তা বোঝা: আপনার কি ধরনের ফিচার দরকার তা বোঝা জরুরি। ক্যামেরা ভালো চাই, না কি ব্যাটারির ব্যাকআপ বেশি দরকার? প্রসেসর কেমন হবে বা কতটা স্টোরেজ প্রয়োজন- এই বিষয়গুলোও ঠিক করে নিন। ফোনের র‌্যাম, স্টোরেজ, ক্যামেরার মেগাপিক্সেল, ব্যাটারি ক্ষমতা, ডিসপ্লের রেজোলিউশন, ইত্যাদি দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন: অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস হলো দুটি প্রধান অপারেটিং সিস্টেম। আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে অভ্যস্ত হন তবে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিন। তবে আইফোন ব্যবহার করতে চাইলে নতুন আইওএস সম্পর্কে আগে একটু ধারণা নিয়ে নিন।
ক্যামেরার গুণগত মান: ফোনের ক্যামেরা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। শুধু মেগাপিক্সেলের দিকে না তাকিয়ে, ক্যামেরার সেন্সর, লেন্সের মান, ফোকাসিং এবং কম আলোতে ছবি তোলার ক্ষমতা যাচাই করে নিন।
স্টোরেজ ক্ষমতা: আপনার ছবি, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণের জন্য ফোনে পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা দরকার। আজকাল বেশিরভাগ ফোনে ৬৪জিবি থেকে ২৫৬জিবি বা তার বেশি স্টোরেজ থাকে। এছাড়া মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করে কি না, তাও দেখুন।
ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং সুবিধা: ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন হবে, তা যাচাই করা জরুরি। বড় ব্যাটারির ফোনে চার্জ দীর্ঘস্থায়ী হয়। পাশাপাশি দ্রুত চার্জিং সুবিধা (ফাস্ট চার্জিং) আছে কি না, সেটাও দেখে নিন।
দাম ও বিক্রয় পরবর্তী সেবা: বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেলের ফোনের দাম তুলনা করুন। এছাড়া বিক্রয় পরবর্তী সেবা যেমন ওয়ারেন্টি, সার্ভিস সেন্টারের সুযোগ-সুবিধা কেমন, তা দেখে নিন।
ব্যবহারকারীর রিভিউ ও রেটিং পড়ুন: নতুন ফোন কেনার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নিন। এতে ফোনের পারফরম্যান্স, সমস্যা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই বিষয়গুলো মনে রেখে নতুন ফোন কিনলে আপনি একটি মানসম্মত ফোন পাবেন, যা আপনার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ