ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

মহামারী থেকে ‘মুক্তির প্রার্থনা’ জন্মাষ্টমীর উৎসবে

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারী থেকে ‘মুক্তির প্রার্থনা’ আর দেশের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উৎসব।
সোমবার সকালে চ-ীপাঠ ও গীতাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। সনাতন ধর্মের অবতার হিসেবে প্রেম, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যই পৃথিবীতে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভূত হন বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
কেন্দ্রীয়ভাবে নানা আনুষ্ঠানিকতায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাতিথি উদযাপন করছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি। তবে মহামারীর কারণে জন্মাষ্টমীর সেই শোভাযাত্রা এবারও হচ্ছে না।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, “মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুভ জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবার জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা করা হচ্ছে না।”
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রায় ৫ হাজার ২শ বছর আগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তার জন্মতিথিকেই জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে থাকেন অনুসারীরা।
এবারও হচ্ছে না জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, “সনাতন ধর্ম মতে অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় কৃষ্ণ যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন।”
চট্রগ্রামের সীতাকু-ের শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, “ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আমরা শ্রী শ্রীর জন্মাষ্টমী পালন করছি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে বিভিন্ন রূপে এসেছেন।
“ভগবানের যে মহাবাণী শ্রীমৎ ভগবত গীতা আজকে পাঠ হচ্ছে, ভগবান আমাদের সবার জন্য সেই বাণী প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, যখনই ধর্মের গ্লানি হবে, অধর্মের অভ্যুত্থান হবে তখনই আমি আবির্ভূত হব।”
মহামারী থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা হচ্ছে জানিয়ে তপনানন্দ বলেন, “তিনি যেন আবারও আসেন এই করোনাভাইরাস থেকে আমাদের মুক্ত করেন। আবার বাজাও তোমার পঞ্চজন্য সুদর্শনধারী, এসো এসো হৃষিকেশ ধরার ভার হারী।”
দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্য যুগে যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “সজ্জনগণ, সাধু গণকে পরিত্রাণ করব, দুস্কৃতিকারীদের বিনাশ করব। ধর্মকে পুনঃস্থাপন করব। বিশ্বে আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা করব।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মহামারী থেকে ‘মুক্তির প্রার্থনা’ জন্মাষ্টমীর উৎসবে

আপডেট সময় : ০১:৩২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারী থেকে ‘মুক্তির প্রার্থনা’ আর দেশের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উৎসব।
সোমবার সকালে চ-ীপাঠ ও গীতাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। সনাতন ধর্মের অবতার হিসেবে প্রেম, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যই পৃথিবীতে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভূত হন বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
কেন্দ্রীয়ভাবে নানা আনুষ্ঠানিকতায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাতিথি উদযাপন করছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি। তবে মহামারীর কারণে জন্মাষ্টমীর সেই শোভাযাত্রা এবারও হচ্ছে না।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, “মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুভ জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবার জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা করা হচ্ছে না।”
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রায় ৫ হাজার ২শ বছর আগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তার জন্মতিথিকেই জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে থাকেন অনুসারীরা।
এবারও হচ্ছে না জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, “সনাতন ধর্ম মতে অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় কৃষ্ণ যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন।”
চট্রগ্রামের সীতাকু-ের শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, “ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আমরা শ্রী শ্রীর জন্মাষ্টমী পালন করছি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে বিভিন্ন রূপে এসেছেন।
“ভগবানের যে মহাবাণী শ্রীমৎ ভগবত গীতা আজকে পাঠ হচ্ছে, ভগবান আমাদের সবার জন্য সেই বাণী প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, যখনই ধর্মের গ্লানি হবে, অধর্মের অভ্যুত্থান হবে তখনই আমি আবির্ভূত হব।”
মহামারী থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা হচ্ছে জানিয়ে তপনানন্দ বলেন, “তিনি যেন আবারও আসেন এই করোনাভাইরাস থেকে আমাদের মুক্ত করেন। আবার বাজাও তোমার পঞ্চজন্য সুদর্শনধারী, এসো এসো হৃষিকেশ ধরার ভার হারী।”
দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্য যুগে যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “সজ্জনগণ, সাধু গণকে পরিত্রাণ করব, দুস্কৃতিকারীদের বিনাশ করব। ধর্মকে পুনঃস্থাপন করব। বিশ্বে আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা করব।”