ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাঁচানো গেল না পাইলট নওশাদকে

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাস্কাট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মাঝ আকাশে ‘হার্ট অ্যাটাকের’ শিকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম মারা গেছেন।
ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন নওশাদের ভ্যান্টিলেশন খুলে দেওয়া হয় এবং তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মরদেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
১২৪ জন যাত্রী নিয়ে গত শুক্রবার সকালে মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইটের পাইলট নওশাদ। ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় অসুস্থবোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান তিনি। পরে কো-পাইলটের কাছে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান।
বিমানটি অবতরণের পর রানওয়েতে অপেক্ষায় থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাইলট নওশাদকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পরপরই তার এনজিওগ্রাম করা হয়।
কিংসওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান রঞ্জন বারোকার এবং বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ না ফেরার দেশে চলে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

বাঁচানো গেল না পাইলট নওশাদকে

আপডেট সময় : ০১:০৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাস্কাট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মাঝ আকাশে ‘হার্ট অ্যাটাকের’ শিকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম মারা গেছেন।
ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন নওশাদের ভ্যান্টিলেশন খুলে দেওয়া হয় এবং তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মরদেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
১২৪ জন যাত্রী নিয়ে গত শুক্রবার সকালে মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইটের পাইলট নওশাদ। ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় অসুস্থবোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান তিনি। পরে কো-পাইলটের কাছে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান।
বিমানটি অবতরণের পর রানওয়েতে অপেক্ষায় থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাইলট নওশাদকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পরপরই তার এনজিওগ্রাম করা হয়।
কিংসওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান রঞ্জন বারোকার এবং বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ না ফেরার দেশে চলে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।