ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের দাম কমলো

  • আপডেট সময় : ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা : ভারতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৫ টাকা বাড়লেও দেশের বাজারে এর তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। রবিবার থেকে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ঈদের আগে কেজিতে ৫ টাকার মতো বাড়লেও ঈদের পর বাড়েনি। রাজধানীর কাওরান বাজার, মগবাজার, মালিবাগ বাজার ও গোপীবাগ বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় ক্রেতাদের দাম নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। তাদের দাবি, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি, তবে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে আসায় সার্বিকভাবে বাজার স্থিতিশীল। রাজধানীর মগবাজার এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী রতন কুমার বলছেন, ঈদের পর ক্রেতা কম। পেঁয়াজের চাহিদাও কম। ঈদের পর যেটুকু চাহিদা তৈরি হয়েছে, তা দেশি পেঁয়াজেই পূরণ করা যাচ্ছে। তিনি জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা কমে গেছে। যে পেঁয়াজ ঈদের আগের দিন ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে এখন সেই পেঁয়াজ ৩৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ঈদের আগের দামেই অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগেই এই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। ঈদের দুই দিন আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। তিনি উল্লেখ করেন, ১২ তারিখের আগ পর্যন্ত (ঈদের দুই দিন আগে) ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল আমদানি করা পেঁয়াজ। টিসিবি’র তথ্যও বলছে, ঈদের পর কোনও পেঁয়াজের দামই বাড়েনি। বরং ঈদের পর খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭ শতাংশ কমেছে। আর আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ঈদের আগে অর্থাৎ ১২ মে বেড়েছে ৭ শতাংশ। জানা গেছে, বিক্রেতারা ঈদে বাড়িতে যাওয়ার কারণে রাজধানীর পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, পেঁপেসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অবশ্য পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, করোনার বিধিনিষেধে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে ভারতীয় পেয়াজের দাম অচিরেই বেড়ে যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পেঁয়াজের দাম কমলো

আপডেট সময় : ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

বিশেষ সংবাদদাতা : ভারতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৫ টাকা বাড়লেও দেশের বাজারে এর তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। রবিবার থেকে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ঈদের আগে কেজিতে ৫ টাকার মতো বাড়লেও ঈদের পর বাড়েনি। রাজধানীর কাওরান বাজার, মগবাজার, মালিবাগ বাজার ও গোপীবাগ বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় ক্রেতাদের দাম নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। তাদের দাবি, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি, তবে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে আসায় সার্বিকভাবে বাজার স্থিতিশীল। রাজধানীর মগবাজার এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী রতন কুমার বলছেন, ঈদের পর ক্রেতা কম। পেঁয়াজের চাহিদাও কম। ঈদের পর যেটুকু চাহিদা তৈরি হয়েছে, তা দেশি পেঁয়াজেই পূরণ করা যাচ্ছে। তিনি জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা কমে গেছে। যে পেঁয়াজ ঈদের আগের দিন ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে এখন সেই পেঁয়াজ ৩৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ঈদের আগের দামেই অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগেই এই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। ঈদের দুই দিন আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। তিনি উল্লেখ করেন, ১২ তারিখের আগ পর্যন্ত (ঈদের দুই দিন আগে) ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল আমদানি করা পেঁয়াজ। টিসিবি’র তথ্যও বলছে, ঈদের পর কোনও পেঁয়াজের দামই বাড়েনি। বরং ঈদের পর খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭ শতাংশ কমেছে। আর আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ঈদের আগে অর্থাৎ ১২ মে বেড়েছে ৭ শতাংশ। জানা গেছে, বিক্রেতারা ঈদে বাড়িতে যাওয়ার কারণে রাজধানীর পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, পেঁপেসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অবশ্য পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, করোনার বিধিনিষেধে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে ভারতীয় পেয়াজের দাম অচিরেই বেড়ে যাবে।