ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাজার নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েনের দাবি

  • আপডেট সময় : ০১:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১২ আউলিয়ার দেশে মাজার ভেঙে নিঃশেষ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে যার ধর্ম পালন করবে, এটাইতো স্বাধীনতা। কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া তো স্বৈরাচারী মনোভাব। কিন্তু এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা করা হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাই যেসব দরবার ও মাজারে চরমপন্থীদের হামলার হুমকি রয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওইসব দরবার ও মাজারে সেনা সদস্য মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছে তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাজার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ‘সর্বজনীন তরিকত সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ ও তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তোমার ধর্ম তুমি করবে, আমি করবো আমার। নিজ ইচ্ছা চাপায় যে, সে হচ্ছে স্বৈরাচার। আজকে শাহজালালের মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে, শাহ পরানের মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে। মাজার ধ্বংসের একটা নীল নকশা করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, আপনারা এর থেকে সরে আসুন। আমাদের অস্থির করলে আপনারা পালানোর সময় পাবেন না।তাই বলছি, মাজারওয়ালাদের খেপাবেন না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বলতে চাই- আপনারা যদি মন্দির রক্ষা করতে পারেন, প্যাগোডা রক্ষা করতে পারেন, তাহলে মাজার রক্ষায় কী সমস্যা আপনাদের?
এসময় মানববন্ধনে তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়। তাদের দাবিগুলো হলো: অবিলম্বে দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরিফ ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যে সব মসজিদে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচার করার মাধ্যমে তরিকতপন্থি মাজার ও দরবার ভাঙচুরে উসকানি দেওয়া হচ্ছে- অতি শিগগির তাদের শাস্তি প্রদান করতে হবে। উগ্রবাদীদের হামলায় যেসব তরিকতপন্থি আহত হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। উগ্রবাদীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছে- প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। দেশের সব মাজার, দরবার ও খানকাহ শরিফের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে যেসব ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের সব তরিকতপন্থির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে সব দরবার ও মাজারে চরমপন্থিদের হামলার হুমকি রয়েছে- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওইসব দরবার ও মাজারে সেনা সদস্য মোতায়েন করতে হবে। যেসব দরবার এবং মাজার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে- ধর্ম উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওইসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবৃতি প্রদান করতে হবে এবং যেহেতু ইতোমধ্যে অনেক দরবার ও মাজারে হামলা হয়েছে, তাই অবিলম্বে দরবার ও মাজারগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেল গঠন করতে হবে। এই সেলে একাধিক হটলাইনের মাধ্যমে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা দরবার ও মাজারগুলোকে নিরাপত্তা সেবা প্রদান করতে হবে। এসময় মানববন্ধনে জাকির হোসেন চিশতী, খাজা বেনজীর হক চিশতী নিজামী, শাহ সুফি কিরন চিশতী নিজামী, সামসুজ্জামান চৌধুরী সবুজ, আবুল বারেক চিশতী, বেনজীর নূরী সুরেশ্বরী, আরিফ দেওয়ানসহ সারাদেশের বিভিন্ন মাজার, দরবার শরিফের অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাজার নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েনের দাবি

আপডেট সময় : ০১:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১২ আউলিয়ার দেশে মাজার ভেঙে নিঃশেষ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে যার ধর্ম পালন করবে, এটাইতো স্বাধীনতা। কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া তো স্বৈরাচারী মনোভাব। কিন্তু এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা করা হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাই যেসব দরবার ও মাজারে চরমপন্থীদের হামলার হুমকি রয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওইসব দরবার ও মাজারে সেনা সদস্য মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছে তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাজার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ‘সর্বজনীন তরিকত সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ ও তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তোমার ধর্ম তুমি করবে, আমি করবো আমার। নিজ ইচ্ছা চাপায় যে, সে হচ্ছে স্বৈরাচার। আজকে শাহজালালের মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে, শাহ পরানের মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে। মাজার ধ্বংসের একটা নীল নকশা করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, আপনারা এর থেকে সরে আসুন। আমাদের অস্থির করলে আপনারা পালানোর সময় পাবেন না।তাই বলছি, মাজারওয়ালাদের খেপাবেন না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বলতে চাই- আপনারা যদি মন্দির রক্ষা করতে পারেন, প্যাগোডা রক্ষা করতে পারেন, তাহলে মাজার রক্ষায় কী সমস্যা আপনাদের?
এসময় মানববন্ধনে তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়। তাদের দাবিগুলো হলো: অবিলম্বে দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরিফ ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যে সব মসজিদে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচার করার মাধ্যমে তরিকতপন্থি মাজার ও দরবার ভাঙচুরে উসকানি দেওয়া হচ্ছে- অতি শিগগির তাদের শাস্তি প্রদান করতে হবে। উগ্রবাদীদের হামলায় যেসব তরিকতপন্থি আহত হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। উগ্রবাদীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছে- প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। দেশের সব মাজার, দরবার ও খানকাহ শরিফের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে যেসব ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের সব তরিকতপন্থির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে সব দরবার ও মাজারে চরমপন্থিদের হামলার হুমকি রয়েছে- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওইসব দরবার ও মাজারে সেনা সদস্য মোতায়েন করতে হবে। যেসব দরবার এবং মাজার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে- ধর্ম উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওইসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবৃতি প্রদান করতে হবে এবং যেহেতু ইতোমধ্যে অনেক দরবার ও মাজারে হামলা হয়েছে, তাই অবিলম্বে দরবার ও মাজারগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেল গঠন করতে হবে। এই সেলে একাধিক হটলাইনের মাধ্যমে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা দরবার ও মাজারগুলোকে নিরাপত্তা সেবা প্রদান করতে হবে। এসময় মানববন্ধনে জাকির হোসেন চিশতী, খাজা বেনজীর হক চিশতী নিজামী, শাহ সুফি কিরন চিশতী নিজামী, সামসুজ্জামান চৌধুরী সবুজ, আবুল বারেক চিশতী, বেনজীর নূরী সুরেশ্বরী, আরিফ দেওয়ানসহ সারাদেশের বিভিন্ন মাজার, দরবার শরিফের অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।