ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল রিমান্ডে

  • আপডেট সময় : ০১:০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিক শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাসেলের পক্ষে আইনজীবী শান্তনু ধর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘নাজমুল আলম রাসেল নিজেই একজন ভিকটিম। চার মাস আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আমান উল্লাহ। তারপরও তার বিরুদ্ধে করা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তাকে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই মামলায় তার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। তিনি নিজেই ভিকটিম এবং নির্দোষ ।
‘কিছু লোকের সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কোনোভাবে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি তো চার মাস আগে চাকরি ছেড়েই দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে? তাকে কেন রিমান্ডে নিতে হবে? রাসেল এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি।’
রাষ্ট্রপক্ষে গুলশান থানার আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাসেলের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এ মামলায় গত ২৩ অগাস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়। আর মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ অগাস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। ১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। সোনিয়া মেহজাবিনসহ মামলার ৫ আসামির দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে আসামিরা পণ্য সরবরাহ না করে এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে পণ্য বুঝে না পাওয়ায় এর আগে ১৬ আগস্ট দিনভর ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০১:০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিক শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাসেলের পক্ষে আইনজীবী শান্তনু ধর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘নাজমুল আলম রাসেল নিজেই একজন ভিকটিম। চার মাস আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আমান উল্লাহ। তারপরও তার বিরুদ্ধে করা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তাকে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই মামলায় তার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। তিনি নিজেই ভিকটিম এবং নির্দোষ ।
‘কিছু লোকের সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কোনোভাবে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি তো চার মাস আগে চাকরি ছেড়েই দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে? তাকে কেন রিমান্ডে নিতে হবে? রাসেল এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি।’
রাষ্ট্রপক্ষে গুলশান থানার আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাসেলের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এ মামলায় গত ২৩ অগাস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়। আর মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ অগাস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। ১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। সোনিয়া মেহজাবিনসহ মামলার ৫ আসামির দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে আসামিরা পণ্য সরবরাহ না করে এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে পণ্য বুঝে না পাওয়ায় এর আগে ১৬ আগস্ট দিনভর ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা।