ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

কাবুল থেকে সরে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ১১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে দুই দশকের ভূমিকার ইতি ঘটিয়ে কাবুল থেকে চলে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীগুলো।
সেনাদের প্রত্যাহারের আগে এখন কাবুল বিমানবন্দরে থাকা অবশিষ্ট এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে গতকাল রোববার পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সরিয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ ও সময়ের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলবেন তিনি। কাবুল বিমানবন্দরে নিয়োজিত ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, “প্রত্যেক বিদেশি বেসামরিক ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে চাই আমরা। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই বাহিনীগুলো কাবুল ত্যাগ করা শুরু করবে।” সারা দেশজুড়ে বিদ্যুৎগতিতে অগ্রসর হয়ে ১৫ অগাস্ট রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান। ওই দিনই আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও সেনাবাহিনী ভেঙে পড়ে। এতে দেশটিতে প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তালেবান জানিয়েছে, তারা বিদেশি ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের আকাশপথে কাবুল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করবে। গত দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু কাবুল ছাড়তে ইচ্ছুক আরও প্রায় লাখ খানেক মানুষ পড়ে থাকবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা কাবুল বিমানবন্দরে চার হাজারেরও কম সেনা আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮০০ সেনা ছিল। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে ২৮ অগাস্ট কিছু সেনা কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু কতোজন সেনা অবশিষ্ট আছে তা জানাননি।
আফগানিস্তানের নতুন শাসক দল তালেবান কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে গোষ্ঠীটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ওই তালেবান কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাদের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরা কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। বিমানবন্দরটির বাইরে আরেকটি জঙ্গি হামলা হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্দিষ্টভাবে এমন সতর্কতা জারির পর বিমানবন্দরের গেইটগুলোতে ভিড় কমে গেছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমা ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাবুল থেকে সরে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে দুই দশকের ভূমিকার ইতি ঘটিয়ে কাবুল থেকে চলে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীগুলো।
সেনাদের প্রত্যাহারের আগে এখন কাবুল বিমানবন্দরে থাকা অবশিষ্ট এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে গতকাল রোববার পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সরিয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ ও সময়ের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলবেন তিনি। কাবুল বিমানবন্দরে নিয়োজিত ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, “প্রত্যেক বিদেশি বেসামরিক ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে চাই আমরা। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই বাহিনীগুলো কাবুল ত্যাগ করা শুরু করবে।” সারা দেশজুড়ে বিদ্যুৎগতিতে অগ্রসর হয়ে ১৫ অগাস্ট রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান। ওই দিনই আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও সেনাবাহিনী ভেঙে পড়ে। এতে দেশটিতে প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তালেবান জানিয়েছে, তারা বিদেশি ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের আকাশপথে কাবুল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করবে। গত দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু কাবুল ছাড়তে ইচ্ছুক আরও প্রায় লাখ খানেক মানুষ পড়ে থাকবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা কাবুল বিমানবন্দরে চার হাজারেরও কম সেনা আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮০০ সেনা ছিল। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে ২৮ অগাস্ট কিছু সেনা কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু কতোজন সেনা অবশিষ্ট আছে তা জানাননি।
আফগানিস্তানের নতুন শাসক দল তালেবান কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে গোষ্ঠীটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ওই তালেবান কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাদের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরা কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। বিমানবন্দরটির বাইরে আরেকটি জঙ্গি হামলা হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্দিষ্টভাবে এমন সতর্কতা জারির পর বিমানবন্দরের গেইটগুলোতে ভিড় কমে গেছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমা ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।