ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম্পিউটারের সুরক্ষায় অ্যান্টিভাইরাস

  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমান প্রযুক্তি যুগে কম্পিউটার ছাড়া আমরা একেবারেই অচল। আমাদের যাপিত জীবনে সবকিছুই করতে হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। তাই কম্পিউটারের নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য অ্যান্টিভাইরাসের বিকল্প নেই। কেননা এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ডেটা। এসব ডেটার সুরক্ষা দেয় অ্যান্টিভাইরাস।
এখনকার বেশিরভাগ কাজ হয় কম্পিউটারে। তাই অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে কম্পিউটার পরিচালনা করা হয়। অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারের থাকা ব্যক্তিগত এবং আর্থিক ডেটার সুরক্ষা দেয়। এ জন্য কম্পিউটারের নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কম্পিউটারে বিভিন্ন ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, বা ম্যালওয়্যার, যেমন ভাইরাস সিস্টেমকে ব্যাহত করে, যার ফলে ডেটা ফাঁস হতে পারে। তবে এই ভাইরাসগুলো সর্বদা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়ায় না, তবে এর ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপ নির্বিশেষে নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা বজায় রাখার দিকে নজর দিতে হবে।
অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো আমাদের কম্পিউটারকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি সাশ্রয়ী উপায়। এর মধ্যে অনেকগুলো বিনামূল্যে সুরক্ষাপ্রদান, ক্ষতিকারক কোড শনাক্তকরণ, ডেটা সেপারেশন বা ডিলিট করে ফেলার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর হওয়ার জন্য নিয়মিত আপডেট এবং ক্রমাগত অপারেশন প্রয়োজন।
ভাইরাস থেকে ডিভাইস রক্ষা করবেন যেভাবেÑ
বিশ্বস্ত উৎস ব্যবহার করা: শুধু বিশ্বস্ত উৎস থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা উচিত। এর অর্থ হল অ্যাপল অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোরের মতো অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা। অজানা উৎস থেকে সাইডলোডিং অ্যাপ ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলতে হবে।
ডাউনলোড করার আগে যাচাই করা: অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে রিসার্চ করতে হবে, এমনকি বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর থেকেও খানিক গবেষনার প্রয়োজন রয়েছে। ব্যবহারকারীদের পর্যালোচনা এবং রেটিং পরীক্ষা করতে হবে। যদি কোনও অ্যাপের ডাউনলোড রেটিং এবং পজেটিভ রিভিউ থাকে তবে এটি ক্ষতিকারক হওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও তথ্যের জন্য অনলাইনে অ্যাপ এবং ডেভেলপার দেখা যেতে পারে।
সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা: অ্যাপল এবং গুগল থেকে নিয়মিত অ্যাপ আপডেট করা হয়, যা ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করে। সর্বদা সর্বশেষ সফটওয়্যার ভার্সন আপডেট করতে হবে।
স্প্যাম এবং সন্দেহজনক মেসেজ এড়িয়ে চলা: জরুরি বা সতর্কীকরণ মেসেজগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ সেগুলি অজানা বা ক্ষতিকারক উৎস থেকে আসতে পারে। কম্পিউটারের জন্য অজানা বা সন্দেহজনক ইমেল থেকে অ্যাটাচমেন্ট ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ এগুলো সাধারণ ভাইরাসবাহক।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কম্পিউটারের সুরক্ষায় অ্যান্টিভাইরাস

আপডেট সময় : ১২:৫৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমান প্রযুক্তি যুগে কম্পিউটার ছাড়া আমরা একেবারেই অচল। আমাদের যাপিত জীবনে সবকিছুই করতে হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। তাই কম্পিউটারের নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য অ্যান্টিভাইরাসের বিকল্প নেই। কেননা এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ডেটা। এসব ডেটার সুরক্ষা দেয় অ্যান্টিভাইরাস।
এখনকার বেশিরভাগ কাজ হয় কম্পিউটারে। তাই অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে কম্পিউটার পরিচালনা করা হয়। অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারের থাকা ব্যক্তিগত এবং আর্থিক ডেটার সুরক্ষা দেয়। এ জন্য কম্পিউটারের নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কম্পিউটারে বিভিন্ন ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, বা ম্যালওয়্যার, যেমন ভাইরাস সিস্টেমকে ব্যাহত করে, যার ফলে ডেটা ফাঁস হতে পারে। তবে এই ভাইরাসগুলো সর্বদা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়ায় না, তবে এর ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপ নির্বিশেষে নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা বজায় রাখার দিকে নজর দিতে হবে।
অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো আমাদের কম্পিউটারকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি সাশ্রয়ী উপায়। এর মধ্যে অনেকগুলো বিনামূল্যে সুরক্ষাপ্রদান, ক্ষতিকারক কোড শনাক্তকরণ, ডেটা সেপারেশন বা ডিলিট করে ফেলার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করে। এই প্রোগ্রামগুলো কার্যকর হওয়ার জন্য নিয়মিত আপডেট এবং ক্রমাগত অপারেশন প্রয়োজন।
ভাইরাস থেকে ডিভাইস রক্ষা করবেন যেভাবেÑ
বিশ্বস্ত উৎস ব্যবহার করা: শুধু বিশ্বস্ত উৎস থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা উচিত। এর অর্থ হল অ্যাপল অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোরের মতো অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা। অজানা উৎস থেকে সাইডলোডিং অ্যাপ ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলতে হবে।
ডাউনলোড করার আগে যাচাই করা: অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে রিসার্চ করতে হবে, এমনকি বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর থেকেও খানিক গবেষনার প্রয়োজন রয়েছে। ব্যবহারকারীদের পর্যালোচনা এবং রেটিং পরীক্ষা করতে হবে। যদি কোনও অ্যাপের ডাউনলোড রেটিং এবং পজেটিভ রিভিউ থাকে তবে এটি ক্ষতিকারক হওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও তথ্যের জন্য অনলাইনে অ্যাপ এবং ডেভেলপার দেখা যেতে পারে।
সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা: অ্যাপল এবং গুগল থেকে নিয়মিত অ্যাপ আপডেট করা হয়, যা ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করে। সর্বদা সর্বশেষ সফটওয়্যার ভার্সন আপডেট করতে হবে।
স্প্যাম এবং সন্দেহজনক মেসেজ এড়িয়ে চলা: জরুরি বা সতর্কীকরণ মেসেজগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ সেগুলি অজানা বা ক্ষতিকারক উৎস থেকে আসতে পারে। কম্পিউটারের জন্য অজানা বা সন্দেহজনক ইমেল থেকে অ্যাটাচমেন্ট ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ এগুলো সাধারণ ভাইরাসবাহক।