লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রথমত রাগ করা একেবারেই উচিত নয়। আর রাগের মাথায় অনেকে অনেক কিছু করে ফেলেন। পরে অনুতপ্ত হলেও ভুলের মাশুল দিতে হয়। যাতে মাশুল গুনতে না হয় এ জন্য- ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে পথ চলতে হবে। কারও যদি হেরে যাওয়ার ইচ্ছে না হয় তবে রাগের মাথায় যে কাজগুলো করা উচিত হবে নয়। তা হলোÑ
ঘুমাতে যাবেন না: রাগ মাথায় নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়। নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে রাগ মাথায় নিয়ে ঘুমাতে গেলে মনের মধ্যে নেতিবাচক আবেগ জমা বেঁধে থাকে।
গাড়ি চালাবেন না: রাগান্বিত হয়ে গাড়ি চালানো ভয়ংকর ব্যাপার, এ কারণে মৃত্যুও অবধারিত হয়ে পড়তে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে রাগী চালকরাই বেশি দুর্ঘটনায় পড়েন।
রাগ প্রকাশ করা যাবে না: আপনি যে রেগে আছেন সেটা কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ রাগ প্রকাশ করা যাবে না।
খাওয়া যাবে না: ‘কনকোয়ার ইওর স্ট্রেস উইথ মাইন্ড বডি টেকনিক‘ গ্রন্থের লেখক ক্যাথি গ্রুভার বলেন, আপনি যখন রেগে যাবেন তখন ুঅস্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করবেন। হাই-সুগার, হাই-ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বাছাই করতে পারেন। এর ফলে মুটিয়ে যেতে পারেন।
তর্ক করা উচিত নয়: রাগের মাথায় তর্ক করলে ভয়ংকর কিছু হয়ে যেতে পারে। রাগ আপন-পর চেনে না। মুহূর্তেই দীর্ঘদিনের লালিত সুসম্পর্ক নষ্ট হয়ে করে দিতে পারে।
ফেসবুকে পোস্টে নিষেধাজ্ঞা: রাগের মাথায় ফেসবুকে পোস্ট না দেওয়াই ভালো। পোস্টের মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করা যাবে না। এতে হিতে-বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
ই-মেইল লেখা যাবে না: রাগ থাকলে তা ই-মেইলে না পাঠিয়ে একটি খাতায় টুকে রাখাই ভালো। রাগের মাথায় কী লিখতে কী লিখে ফেলেন- বলা তো যায় না।
রক্তচাপকে অবহেলা নয়: রাগলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে যারা ইতোমধ্যে দু’একবার স্ট্রোক করে ফেলেছেন তাদের এ ঝুঁঁকি আরও বেশি। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালের পরামর্শ রাগের মাথায় কখনো রক্তচাপকে অবহেলা করা যাবে না।
গভীরভাবে কিছু ভাববেন না: রাগান্বিত অবস্থায় গভীরভাবে কিছু ভাবা যাবে না। এতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া, রাগের মাথায় যে বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে তা নিয়েও নতুন করে গোলক ধাঁধাঁর সৃষ্টি হতে পারে।