ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

মিষ্টি আলুর উপকারিতা

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্যকরভাবে দৈনিক কার্বোহাড্রেইটের চাহিদা মেটাতে মিষ্টি আলুর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানÑ আঁশ, ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম- দেহের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে কিছু মানুষের জন্য জন্য প্রতিদিন মিষ্টি আলু খাওয়া উপকারী নাও হতে পারে।
পুষ্টিগুণ: প্রতি এক কাপ মিষ্টি আলুতে থাকে- ১৮০ ক্যালরি, শূন্য পরিমাণ চর্বি ও স্যাচুরেইটেড ফ্যাট. সোডিয়াম ৭২ গ্রাম, কার্বস ৪১ গ্রাম (আঁশ ৭ গ্রাম, চিনি ১৩ গ্রাম), প্রোটিন ৪ গ্রাম।
হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: আঁশ ও পটাসিয়ামের উৎস হিসেবে মিষ্টি আলু হৃদস্বাস্থ্যে উপকারী প্রভাব রাখে। ইটদিস নটদ্যাট ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশিং’য়ের সূত্রে জানানো হয়, এক কাপ বেইকড মিষ্টি আলু দৈনিক আঁশের চাহিদার ২৪ শতাংশ এবং পটাসিয়ামের চাহিদার ২০ শতাংশ মেটাতে পারে। আঁশ রক্তে থাকা চর্বি শুষে নিতে পারে। ফলে বাজে কোলেস্টেরল’য়েল মাত্রা কমে। আর পটাসিয়াম রক্ত চাপ কমাতে পারে। ফলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা ঠিক থাকে, যে রক্ত বাহিত শিরা, উপশিরা ও ধমনী ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে।
দৃষ্টিশক্তির সুরক্ষক: বেটা ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর গাজর ছাড়াও এই পুষ্টিগুণের ভালো উৎস হল মিষ্টি আলু। এক পরিমাণ থেকে মিলবে দৈনিক চাহিদার ২১৩ শতাংশ।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ : যদিও স্বাদে মিষ্টি তবুও মিষ্টি আলুতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় রক্তের শর্করার মাত্রা সহনীয় মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে। এই বিষয়ে মার্কিন পুষ্টিবিদন সারাহ অ্যালসিং, একই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, উচ্চমাত্রায় আঁশ রয়েছে মিষ্টি আলুতে। যা হজম প্রক্রিয়া ধীর করে। যে কারণে রক্তে শর্করা মেশে ধীরে। ফলে হঠাৎ শর্করার মাত্রা রক্তে বাড়তে পারে না। এছাড়া ফ্লাভানয়েডস এবং পলিফেনল্স যৌগ থাকায় শর্করা শোষণ যেমন ধীর করে তেমনি ইন্সুলিনের নিঃসরণের মাত্রা উন্নত করতে পারে। ফলে রক্তে চিনির মাত্রা স্বাস্থ্যকর মাত্রায় থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব: এক কাপ মিষ্টি আলু থেকে ভিটামিন-এ মিলবে দৈনিক চাহিদার ১৫৬ শতাংশ। আর এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত রাখতে সাহায্য করে। অ্যালসিং বলেন, ভিটামিন এ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’য়ের তথ্যানুসারে, ভিটামিন এ-র অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। সংক্রামক রোগে আক্রান্তর হওয়ার ঝুঁঁকি বাড়ে। প্রতিদিন মিষ্টি আলু খেতে পারলে ভিটামিন এ’র অভাব পূরণ করা যায়।
হজম তন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা: পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আঁশ প্রয়োজন। আর আগেই বলা হয়েছে মিষ্টি আলু আঁশের চাহিদা মেটাতে পারে। আঁশ আসলে হজম হয় না বরং মলাশয়ে গিয়ে গাঁজানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে, যাকে বলে ‘প্রোবায়োটিকস’। এছাড়াও অন্যান্য বিপাকীয় উপাদান তৈরি করে। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। প্রয়োজনীয় আঁশ গ্রহণ করতে পারলে পেট পরিষ্কার থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

মিষ্টি আলুর উপকারিতা

আপডেট সময় : ০১:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্যকরভাবে দৈনিক কার্বোহাড্রেইটের চাহিদা মেটাতে মিষ্টি আলুর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানÑ আঁশ, ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম- দেহের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে কিছু মানুষের জন্য জন্য প্রতিদিন মিষ্টি আলু খাওয়া উপকারী নাও হতে পারে।
পুষ্টিগুণ: প্রতি এক কাপ মিষ্টি আলুতে থাকে- ১৮০ ক্যালরি, শূন্য পরিমাণ চর্বি ও স্যাচুরেইটেড ফ্যাট. সোডিয়াম ৭২ গ্রাম, কার্বস ৪১ গ্রাম (আঁশ ৭ গ্রাম, চিনি ১৩ গ্রাম), প্রোটিন ৪ গ্রাম।
হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: আঁশ ও পটাসিয়ামের উৎস হিসেবে মিষ্টি আলু হৃদস্বাস্থ্যে উপকারী প্রভাব রাখে। ইটদিস নটদ্যাট ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশিং’য়ের সূত্রে জানানো হয়, এক কাপ বেইকড মিষ্টি আলু দৈনিক আঁশের চাহিদার ২৪ শতাংশ এবং পটাসিয়ামের চাহিদার ২০ শতাংশ মেটাতে পারে। আঁশ রক্তে থাকা চর্বি শুষে নিতে পারে। ফলে বাজে কোলেস্টেরল’য়েল মাত্রা কমে। আর পটাসিয়াম রক্ত চাপ কমাতে পারে। ফলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা ঠিক থাকে, যে রক্ত বাহিত শিরা, উপশিরা ও ধমনী ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে।
দৃষ্টিশক্তির সুরক্ষক: বেটা ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর গাজর ছাড়াও এই পুষ্টিগুণের ভালো উৎস হল মিষ্টি আলু। এক পরিমাণ থেকে মিলবে দৈনিক চাহিদার ২১৩ শতাংশ।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ : যদিও স্বাদে মিষ্টি তবুও মিষ্টি আলুতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় রক্তের শর্করার মাত্রা সহনীয় মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে। এই বিষয়ে মার্কিন পুষ্টিবিদন সারাহ অ্যালসিং, একই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, উচ্চমাত্রায় আঁশ রয়েছে মিষ্টি আলুতে। যা হজম প্রক্রিয়া ধীর করে। যে কারণে রক্তে শর্করা মেশে ধীরে। ফলে হঠাৎ শর্করার মাত্রা রক্তে বাড়তে পারে না। এছাড়া ফ্লাভানয়েডস এবং পলিফেনল্স যৌগ থাকায় শর্করা শোষণ যেমন ধীর করে তেমনি ইন্সুলিনের নিঃসরণের মাত্রা উন্নত করতে পারে। ফলে রক্তে চিনির মাত্রা স্বাস্থ্যকর মাত্রায় থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব: এক কাপ মিষ্টি আলু থেকে ভিটামিন-এ মিলবে দৈনিক চাহিদার ১৫৬ শতাংশ। আর এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত রাখতে সাহায্য করে। অ্যালসিং বলেন, ভিটামিন এ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’য়ের তথ্যানুসারে, ভিটামিন এ-র অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। সংক্রামক রোগে আক্রান্তর হওয়ার ঝুঁঁকি বাড়ে। প্রতিদিন মিষ্টি আলু খেতে পারলে ভিটামিন এ’র অভাব পূরণ করা যায়।
হজম তন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা: পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আঁশ প্রয়োজন। আর আগেই বলা হয়েছে মিষ্টি আলু আঁশের চাহিদা মেটাতে পারে। আঁশ আসলে হজম হয় না বরং মলাশয়ে গিয়ে গাঁজানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে, যাকে বলে ‘প্রোবায়োটিকস’। এছাড়াও অন্যান্য বিপাকীয় উপাদান তৈরি করে। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। প্রয়োজনীয় আঁশ গ্রহণ করতে পারলে পেট পরিষ্কার থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।