ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

অব্যাহত ভাঙন, ঝুঁকিতে বীরশ্রেষ্ঠ স্মৃতি জাদুঘর

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালীর কামারখালী ইউনিয়নে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি, বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এছাড়া রউফনগরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। মধুমতির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কামারখালী ইউনিয়নের দয়ারামপুর, রউফনগর, চরগয়াসপুর, জারজাননগর, বকশিপুর, গন্ধখালী ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার। প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সুপেয় পানি ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে নদী তীরের বাসিন্দাদের। রউফনগর গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মধুমতি নদীতে ভাঙন চলছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। বর্তমানে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি। নদী থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে এই জাদুঘর। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে বাঁধ না দিলে জাদুঘরটি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। গন্ধখালী গ্রামের আসলাম শেখ বলেন, নদী ভাঙনে ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটির কয়েকটি অংশ বিলীন হয়ে গেছে। যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ দিয়ে সড়কটি পুনরায় নির্মাণ করায় এখন যাতায়াত করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী ভাঙনে এ পর্যন্ত গন্ধখালী গ্রামের শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এলাকা ছেড়ে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বকশিপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফ হোসেন বলেন, মধুমতি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বকশিপুরসহ ৬-৭টি গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটির কয়েকটি অংশ বিলীন হয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে সড়কটি ঠিক করেছে। এছাড়া যেখানে জাদুঘরটির অপরপ্রান্তে বাঁধ দেওয়া জরুরি। বাঁধ না দিলে জাদুঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেই এলাকাগুলো ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অব্যাহত ভাঙন, ঝুঁকিতে বীরশ্রেষ্ঠ স্মৃতি জাদুঘর

আপডেট সময় : ০১:৪০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালীর কামারখালী ইউনিয়নে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি, বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এছাড়া রউফনগরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। মধুমতির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কামারখালী ইউনিয়নের দয়ারামপুর, রউফনগর, চরগয়াসপুর, জারজাননগর, বকশিপুর, গন্ধখালী ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার। প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সুপেয় পানি ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে নদী তীরের বাসিন্দাদের। রউফনগর গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মধুমতি নদীতে ভাঙন চলছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। বর্তমানে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি। নদী থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে এই জাদুঘর। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে বাঁধ না দিলে জাদুঘরটি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। গন্ধখালী গ্রামের আসলাম শেখ বলেন, নদী ভাঙনে ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটির কয়েকটি অংশ বিলীন হয়ে গেছে। যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ দিয়ে সড়কটি পুনরায় নির্মাণ করায় এখন যাতায়াত করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী ভাঙনে এ পর্যন্ত গন্ধখালী গ্রামের শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এলাকা ছেড়ে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বকশিপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফ হোসেন বলেন, মধুমতি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বকশিপুরসহ ৬-৭টি গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটির কয়েকটি অংশ বিলীন হয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে সড়কটি ঠিক করেছে। এছাড়া যেখানে জাদুঘরটির অপরপ্রান্তে বাঁধ দেওয়া জরুরি। বাঁধ না দিলে জাদুঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেই এলাকাগুলো ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।