ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

আসল ও এআই দিয়ে বানানো ছবির পার্থক্য বোঝার উপায়

  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক : এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।
এআই দিয়ে চমৎকার ছবি ভিডিও তৈরি করা যায়। যা দেখে বিভ্রান্ত হতে বাধ্য হবেন। কারণ এতোটাই বাস্তব লাগে সেগুলো। হোক কোনো ফটোগ্রাফি কিংবা হাতে আঁকা ছবি সবই করে দিতে পারে এআই। তবে সাধারণ চোখে দেখলে যেটিকে নিখুঁত বা বাস্তব মনে হবে একটু খেয়াল করলেই ছবির খুঁত বের করতে পারবেন। কিছু বিষয়ে একটু মনোযোগ দিলেই এআই দিয়ে তৈরি নকল ছবি চিনতে পারবেন। এতে বিভ্রান্ত হবেন না। জেনে নিন কোন বিষয়গুলোতে একটু বাড়তি নজর দেবেন-
> প্রথমেই ছবিটির দিকে খেয়াল করুন। সাবজেক্টের দিকে নজর দিন। সেটি যদি কোনো মানুষ হয় তাহলে দেখবেন চেহারা খুব শার্প, নাক, থুতনি, কপালের দিকটা একেবারে নিখুঁত, কোনো ভাঁজ নেই। দেখেই বুঝতে পারবেন যে এটি আসল ছবি না। এআই দিয়ে তৈরি মানুষের ছবি কিছুটা কার্টুনের মতো।
> ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড খেয়াল করুন। সবকিছু কেমন সাজানো মনে হবে আপনার কাছে। যা বুঝিয়ে দেয় এতো সাজানো গোজানো কখনোই আসল ছবিতে থাকবে না।
> মানুষের কোনো ছবি হলে তা এআইয়ের তৈরি কি না বুঝবেন তার হাত-পায়ের আঙুল দেখে। খেয়াল করবেন আঙুল হয় ছয়টা বা চারটা আছে।
> চোখের পাপড়ি, ভ্রু খেয়াল করুন। খুব নিখুঁত মনে হবে। আসল ছবিতে কখনো এই দুটো নিখুঁত পাবেন না। বেশিরভাগ সময় এআইয়ের তৈরি ছবিতে চোখের পাপড়ি থাকে না।
> সত্যিকারের ছবিতে ক্যামেরা মডেল, লেন্সের ধরন, এক্সপোজার সেটিংস এবং জিপিএস স্থানাঙ্কসহ বিস্তারিত মেটাডেটা থাকে। অপরদিকে এআই ব্যবহার করে ডিজাইনকৃত চিত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তথ্যাবলি পাবেন না।
> এআইয়ের নিজস্ব অঙ্কন শৈলী, যা স্বাভাবিকভাবেই ফটোগ্রাফি থেকে আলাদা। এআই মূলত স্বতন্ত্রভাবে ছবির নানা ধরনের সূচকের মাত্রা নির্ধারণ করে। এই নির্ধারণীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কতগুলো নির্দেশনার আঙ্গিকে। ফলে সংখ্যাগত মানগুলো একদম সুনির্দিষ্ট হলেও সামগ্রিকভাবে ছবিটিতে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্যতা থাকে না। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আসল ও এআই দিয়ে বানানো ছবির পার্থক্য বোঝার উপায়

আপডেট সময় : ০৯:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

ডেস্ক : এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।
এআই দিয়ে চমৎকার ছবি ভিডিও তৈরি করা যায়। যা দেখে বিভ্রান্ত হতে বাধ্য হবেন। কারণ এতোটাই বাস্তব লাগে সেগুলো। হোক কোনো ফটোগ্রাফি কিংবা হাতে আঁকা ছবি সবই করে দিতে পারে এআই। তবে সাধারণ চোখে দেখলে যেটিকে নিখুঁত বা বাস্তব মনে হবে একটু খেয়াল করলেই ছবির খুঁত বের করতে পারবেন। কিছু বিষয়ে একটু মনোযোগ দিলেই এআই দিয়ে তৈরি নকল ছবি চিনতে পারবেন। এতে বিভ্রান্ত হবেন না। জেনে নিন কোন বিষয়গুলোতে একটু বাড়তি নজর দেবেন-
> প্রথমেই ছবিটির দিকে খেয়াল করুন। সাবজেক্টের দিকে নজর দিন। সেটি যদি কোনো মানুষ হয় তাহলে দেখবেন চেহারা খুব শার্প, নাক, থুতনি, কপালের দিকটা একেবারে নিখুঁত, কোনো ভাঁজ নেই। দেখেই বুঝতে পারবেন যে এটি আসল ছবি না। এআই দিয়ে তৈরি মানুষের ছবি কিছুটা কার্টুনের মতো।
> ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড খেয়াল করুন। সবকিছু কেমন সাজানো মনে হবে আপনার কাছে। যা বুঝিয়ে দেয় এতো সাজানো গোজানো কখনোই আসল ছবিতে থাকবে না।
> মানুষের কোনো ছবি হলে তা এআইয়ের তৈরি কি না বুঝবেন তার হাত-পায়ের আঙুল দেখে। খেয়াল করবেন আঙুল হয় ছয়টা বা চারটা আছে।
> চোখের পাপড়ি, ভ্রু খেয়াল করুন। খুব নিখুঁত মনে হবে। আসল ছবিতে কখনো এই দুটো নিখুঁত পাবেন না। বেশিরভাগ সময় এআইয়ের তৈরি ছবিতে চোখের পাপড়ি থাকে না।
> সত্যিকারের ছবিতে ক্যামেরা মডেল, লেন্সের ধরন, এক্সপোজার সেটিংস এবং জিপিএস স্থানাঙ্কসহ বিস্তারিত মেটাডেটা থাকে। অপরদিকে এআই ব্যবহার করে ডিজাইনকৃত চিত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তথ্যাবলি পাবেন না।
> এআইয়ের নিজস্ব অঙ্কন শৈলী, যা স্বাভাবিকভাবেই ফটোগ্রাফি থেকে আলাদা। এআই মূলত স্বতন্ত্রভাবে ছবির নানা ধরনের সূচকের মাত্রা নির্ধারণ করে। এই নির্ধারণীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কতগুলো নির্দেশনার আঙ্গিকে। ফলে সংখ্যাগত মানগুলো একদম সুনির্দিষ্ট হলেও সামগ্রিকভাবে ছবিটিতে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্যতা থাকে না। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান