ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যায় পানিবন্দী ১২০০ পরিবার

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে আখাউড়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও কসবা উপজেলার একটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি আখাউড়ার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১২০০ পরিবার।
বুধরাত (২১ আগস্ট) রাত থেকে ঢলের পানি তীব্র গতিতে বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করে। এতে করে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ, কসবা উপজেলার বায়েকসহ মোট সাতটি ইউনিয়নের ৪০টিরও বেশি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া পানির নিচে তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৪৭৬ হেক্টর ধানি জমি, ৭০৫০ হেক্টর শাকসবজির জমি, ২০০ হেক্টর ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন মাছের ঘের। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারও বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন মো. হাবিবুর রহমান জানান, ১২০০ দুর্গত পরিবারের জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব বিতরণও করা হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি বাড়ছে। সকালে হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে সেই বাঁধগুলোকে মেরামত করা হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যায় পানিবন্দী ১২০০ পরিবার

আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে আখাউড়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও কসবা উপজেলার একটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি আখাউড়ার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১২০০ পরিবার।
বুধরাত (২১ আগস্ট) রাত থেকে ঢলের পানি তীব্র গতিতে বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করে। এতে করে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ, কসবা উপজেলার বায়েকসহ মোট সাতটি ইউনিয়নের ৪০টিরও বেশি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া পানির নিচে তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৪৭৬ হেক্টর ধানি জমি, ৭০৫০ হেক্টর শাকসবজির জমি, ২০০ হেক্টর ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন মাছের ঘের। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারও বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন মো. হাবিবুর রহমান জানান, ১২০০ দুর্গত পরিবারের জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব বিতরণও করা হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি বাড়ছে। সকালে হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে সেই বাঁধগুলোকে মেরামত করা হবে।