নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ১৪ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে হতাহতদের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ১৪ ও ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে সারা দেশে দলীয় কার্যালয় সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার উপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, সেই খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া, আগামী ১৬ আগস্ট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় এবং যারা এই সাম্প্রতিক আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষরা তাদের উপাসনালয়ে প্রার্থনা করবেন।
ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করছে: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করছে। এ অবস্থায় এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার সময় শহীদ সরণিতে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি এ সময় গাড়িতে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। শত শত মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা তাঁকে স্বাগত জানায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, তারপরও বলেছেন, হিংসা নয়, প্রতিহিংসা নয়, প্রতিশোধ নয়। আমরা ভ্রাতৃত্বের ও শান্তিময় বাংলাদেশ উদ্যাপন করব। এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি যেন না হয়, যাতে অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় কেউ।’
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সময় সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল সরকার, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সুমিত কুমার আগারওয়াল, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, সহসাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিকসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।