ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকটক ট্রেন্ডে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, দাবি বিশেষজ্ঞদের

  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সাম্প্রতিক একটি বিপজ্জনক ‘টিকটক ট্রেন্ড’ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সতর্কবার্তা এসেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা ‘এনএইচএস’-এর বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। এ ছাড়া, ‘সানবার্নিং বা রোদে পোড়া ভাব’ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে দেশটির ইস্ট গ্রিনস্টেড শহরের ‘কুইন ভিক্টোরিয়া হসপিটাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সারদের নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে ‘সানবার্নিং’। এতে মানুষ নিজের ত্বককে ‘হেলদি বুস্ট’ করতে সানস্ক্রিনের ব্যবহার এড়িয়ে যায়। এমনকি চেহারা থেকে ব্রণ দূর করতে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ত্বক পোড়ানোর ঘটনাও দেখা গেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
‘কুইন ভিক্টোরিয়া হসপিটাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ হসপিটালের ‘প্লাস্টিকস অ্যান্ড বার্ন সার্ভিস’-এর ক্লিনিক্যাল পরিচালক স্যাম ওরকার বলেন, “এ ধরনের প্রবণতা শুধু তাৎক্ষণিক বিপদই ডেকে আনে না, বরং অনেকের জন্য আজীবন স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি করতে পারে।”
এ ছাড়া, মানুষকে সানক্রিম দিয়ে ত্বকের যত্ন ও ‘নিরাপদ’ চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওরকার। এদিকে, ‘ওয়েস্ট সাসেক্স’ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেছে, নতুন এই ট্রেন্ড সংশ্লিষ্ট কোনো রোগী এখনও তারা দেখতে পাননি। তবে যারা এ ট্রেন্ড অনুসরণ করেছেন, তারা আসন্ন বছরগুলোয় এর প্রভাব দেখতে পাবেন বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে টিকটকের মন্তব্য জানতে চেয়েছিল বিবিসি। এনএইচএস বলেছে, মানুষের জীবদ্দশায় সানবার্নের ঘটনা যত বেশি ঘটবে, ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টির ও অকাল বার্ধক্যের ঝুঁকি ততটাই বাড়তে থাকবে। ‘কুইন ভিক্টোরিয়া হসপিটাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ বলেছে, যুক্তরাজ্যের সাসেক্স, সারে ও কেন্ট কাউন্টি এলাকায় বছরে প্রায় সাতশ রোগী ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর এ সংখ্যা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। ওরকারের মতে, যুক্তরাজ্যের পঞ্চম সবচেয়ে সাধারণ ত্বকের ক্যান্সার হচ্ছে ‘মেলানোমা’।
অলাভজনক সংস্থা ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র অনুমান বলছে, এ বছর দেশটিতে মেলানোমা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে ২০ হাজার আটশ পর্যন্ত, যা ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আক্রান্ত ঘটনার বার্ষিক গড় ১৯ হাজার তিনশ’র চেয়েও বেশি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিকটক ট্রেন্ডে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, দাবি বিশেষজ্ঞদের

আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : সাম্প্রতিক একটি বিপজ্জনক ‘টিকটক ট্রেন্ড’ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সতর্কবার্তা এসেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা ‘এনএইচএস’-এর বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। এ ছাড়া, ‘সানবার্নিং বা রোদে পোড়া ভাব’ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে দেশটির ইস্ট গ্রিনস্টেড শহরের ‘কুইন ভিক্টোরিয়া হসপিটাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সারদের নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে ‘সানবার্নিং’। এতে মানুষ নিজের ত্বককে ‘হেলদি বুস্ট’ করতে সানস্ক্রিনের ব্যবহার এড়িয়ে যায়। এমনকি চেহারা থেকে ব্রণ দূর করতে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ত্বক পোড়ানোর ঘটনাও দেখা গেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
‘কুইন ভিক্টোরিয়া হসপিটাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ হসপিটালের ‘প্লাস্টিকস অ্যান্ড বার্ন সার্ভিস’-এর ক্লিনিক্যাল পরিচালক স্যাম ওরকার বলেন, “এ ধরনের প্রবণতা শুধু তাৎক্ষণিক বিপদই ডেকে আনে না, বরং অনেকের জন্য আজীবন স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি করতে পারে।”
এ ছাড়া, মানুষকে সানক্রিম দিয়ে ত্বকের যত্ন ও ‘নিরাপদ’ চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওরকার। এদিকে, ‘ওয়েস্ট সাসেক্স’ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেছে, নতুন এই ট্রেন্ড সংশ্লিষ্ট কোনো রোগী এখনও তারা দেখতে পাননি। তবে যারা এ ট্রেন্ড অনুসরণ করেছেন, তারা আসন্ন বছরগুলোয় এর প্রভাব দেখতে পাবেন বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে টিকটকের মন্তব্য জানতে চেয়েছিল বিবিসি। এনএইচএস বলেছে, মানুষের জীবদ্দশায় সানবার্নের ঘটনা যত বেশি ঘটবে, ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টির ও অকাল বার্ধক্যের ঝুঁকি ততটাই বাড়তে থাকবে। ‘কুইন ভিক্টোরিয়া হসপিটাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ বলেছে, যুক্তরাজ্যের সাসেক্স, সারে ও কেন্ট কাউন্টি এলাকায় বছরে প্রায় সাতশ রোগী ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর এ সংখ্যা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। ওরকারের মতে, যুক্তরাজ্যের পঞ্চম সবচেয়ে সাধারণ ত্বকের ক্যান্সার হচ্ছে ‘মেলানোমা’।
অলাভজনক সংস্থা ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র অনুমান বলছে, এ বছর দেশটিতে মেলানোমা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে ২০ হাজার আটশ পর্যন্ত, যা ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আক্রান্ত ঘটনার বার্ষিক গড় ১৯ হাজার তিনশ’র চেয়েও বেশি।