লাইফস্টাইল ডেস্ক : যে ঘরে বিশ্রাম নেওয়া বা ঘুমানো হয় সেখানে থেকেও যদি বিরক্ত লাগে, অশান্তি কাজ করে তবে বুঝতে হবে শোয়ার ঘরের সাজসজ্জা ঠিক নেই। খাট, আলমারি, পাশে রাখা টেবিল কিংবা পাখা আলোর সুইচ- এসবের বিন্যাস ঠিক না থাকলে শয়নকক্ষের কার্যকরিতা হারায়।
খাট থেকে ওঠা নামা করা সমস্যা: খাট যদি দেওয়ালের এক পাশে লাগানো থাকে তবে ওঠা-নামাতে সমস্যা হয়। বিশেষ করে একখাটে দুজন শুলে একজনকে টপকানো বিরক্তিকর। খাটের দুপাশেই জায়গা থাক উচিত। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে।
সমাধান: “খাটে ওঠা নামার জন্য যাতে দুপাশে জায়গা থাকে প্রথমেই সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে। দরকার হলে শোয়ার ঘরের সাজসজ্জা পাল্টাতে হবে”- রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘থিংক চিক ইন্টেরিয়র্স’য়ের প্রতিষ্ঠাতা মালিকা হেলফ্ট। দরকার হলে খাটের আকার ছোট করে নিতে হবে। ‘কিং সাইজ’য়ের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে কম বড় খাট।
কাপড় রাখায় জায়গা নেই: শোয়ার ঘরে থাকা আলমারি বা ওয়ারড্রোবে যদি কাপড় উপচে পড়ে তবে সেটা সুবিন্যাস্ত হল না। এটার লক্ষণ হল খাটের ওপর জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখা।
সমাধান: প্রথমেই আলমারি খালি করতে হবে। বেছে বেছে পুরানো অব্যবহৃত কাপড় সরাতে হবে- একই প্রতিবেদনে পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ক্যারোলিনলিওনা’র সৃজনশীল পরিচালক লিজ গোল্ডবার্গ। এছাড়া কাপড় রাখার অন্য ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন খাটের নিচের অংশ ফাঁকা থাকলে সেখানে ড্রয়ার তৈরি করা। খাটের পাশে কাপড় রাখার স্ট্যান্ড রাখা ইত্যাদি।
বই বা গ্লাস না রাখতে পারা: বিছানার পাশে বই বা পানির গ্লাস রাখার মতো জায়গা না থাকা বাজে বিন্যাসের লক্ষণ।
সমাধান: যদি জায়গা না থাকে তবে খাটের পাশের দেয়ালে তাক লাগিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
আলো পাখার সুইচ দূরে: পাখা বা আলো বন্ধ কিংবা জ্বালতে যদি খাট থেকে উঠে যেতে হয় তবে সেটা একেবারে আরমদায়ক বিষয় হয় না।
সমাধান: এক্ষেত্রে হাতের কাছে ‘বেডল্যাম্প’ রাখা যেতে পারে। এছাড়া বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির মাধ্যমে আলো ও পাখার সুইচের বাড়তি সংযোগ খাটের পাশে আনা যায়- পরামর্শ দেন গোল্ডবার্গ।
আসবাবের কারণে ঠিক মতো পা ফেলতে না পারা: শোয়ার ঘরে বেশির আসবাব রাখলে খাটের আশাপাশ দিয়ে হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। এক্ষেত্রে চলাচলে অসুবিধা হওয়া-সহ পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা পাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
সমাধান: হেলফ্ট বলেন, “যদি শোয়ার ঘরে বেশি জায়গা না থাকে তবে আগেই খেয়াল করুন কোন আসবাবটা অন্য ঘরে রাখা সম্ভব। অপ্রয়োজনীয় আসবাব শোয়ার ঘরে রাখার কোনো মানে হয় না।
ঘর অন্ধকার না হওয়া: রাতে বাইরের আলো ঘরে ঢুকলে ঘুমের ব্যাঘাত হবেই। জানালা ভালো মতো ঢাকতে না পারলে সাধারণত এই সমস্যা হয়।
সমাধান: জানালা বা দরজা দিয়ে যাতে শোয়ার ঘরে আলো না ঢুকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। জানালায় গাঢ় রংয়ের পর্দা ঝোলানো এক্ষেত্রে উপকারী।
আয়নায় নিজেকে পুরোপুরি না দেখতে পাওয়া: শয়নকক্ষে বড় আয়না থাকা দরকার। যাতে তৈরি হয়ে বের হওয়ার আগে ভালো মতো নিজেকে পরখ করে নেওয়া যায়। তবে আসবাবপত্রে ঠাঁসা থাকলে সেটা সম্ভব না।
সমাধান: দেয়ালে বা দরজায় বড় লম্বা আয়না ঝোলানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে খরচ যেমন কম পড়বে তেমনি জায়গাও বাঁচবে।
শোয়ার ঘর বাজে-ভাবে সাজানোর লক্ষণ
ট্যাগস :
শোয়ার ঘর বাজে-ভাবে সাজানোর লক্ষণ
জনপ্রিয় সংবাদ