ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে জনজীবন

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

দেশের খবর ডেস্ক : গত কয়েকদিনের আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল দেশ। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর গতকাল বুধবার থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে জনজীবন।
চিরচেনা রূপে ফিরেছে বগুড়া
গত কয়েকদিনের আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল বগুড়া। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর ৬ আগস্ট থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে বগুড়ার জনজীবন। গতকাল বুধবার থেকে চিরচেনা রূপে ফিরেছে বগুড়া। সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের কর্ম ব্যস্ততা, শহরের মধ্যে জনসাধারণের অবাধ চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া বগুড়া থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল প্রকার যানবাহন সকাল থেকেই চলাচল করছে। এদিকে স্বস্তি ফিরে এসেছে ব্যবসায়ীদের মাঝেও। শহরের সাতমাথায় কথা হয় পথচারী সোহাগের সাথে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করতে হয়েছে। এখন সেই উৎকণ্ঠা নেই। বাজারে যাচ্ছি কিছু কেনাকাটা করতে। শাজাহানপুর উপজেলার এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের দোকানি একরামুল হক বলেন, তিনি চুড়িপট্টি যাচ্ছেন তার দোকানের জন্য মালপত্র কিনতে। আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে গত কদিন মানুষ শহরে প্রবেশ করতে পারেননি। তিনিও শহরে আসেননি। তবে ওই কদিন তার দোকানে বেচা বিক্রি ভালো হয়েছে। ওই সময় তার দোকানে মালপত্র সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি দোকানে মাল উঠানোর জন্য চুড়িপট্টি যাচ্ছেন। স্কুল থেকে ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, স্কুল গতকাল খুললেও আজকে তিনি তার সন্তানকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন। তার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। বগুড়ার চিনিপাতা দইঘরের পরিচালক মুক্তার আলী বলেন, কারফিউয়ের প্রথম দিকে তো আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। পরবর্তীতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়েছে। এখন লোক সমাগম বাড়ছে। আমাদের ব্যবসাও ঠিকঠাক চলবে। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার অভ্যন্তরীণ সড়কসহ সকল সড়কে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। সকাল থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল রুমে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে গেছে। বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। গতকালের চেয়ে আজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি।
দেশবাসীকে পাহারাদারের ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান
সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপ, ফ্যাসিবাদী শাসনের ভিত্তি উচ্ছেদ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দাঁড়ানো, ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার, দুর্নীতির মূল উৎপাটনের দাবিতে বরিশালে সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আন্দোলনকারী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ও সকল ছাত্র সংগঠন এবং সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বায়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজিজ খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দুলাল মজুমদার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বায়ক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড নৃপেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, বাংলাদেশ জাসদ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদল, বাসদ মার্কসবাদী বরিশাল জেলা শাখার সংগঠক সাইদুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, গণবিক্ষোভে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়ন ছাত্র জনতার বিজয়। এই বিজয়কে স্থায়ী করতে হলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান করে পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। সমাবেশে সারা দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতন দেশবাসীকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এই সুযোগে বিভিন্ন জায়গায়, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীরা বিভিন্ন অফিসে তাদের দুর্নীতির ফাইল পোড়ানোর উৎসব করতে পারে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন থেকে দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, লুটপাটের স্বর্গরাজ্য যারা গড়েছিলেন তাদের বাসার লাগেজের মধ্য থেকেও ৫ কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। ফলে সামনে যেন আবার কোন লুটেরা ক্ষমতার মসনদে বসতে না পারে তা নিয়ে বক্তারা জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শত শত শহিদের রক্তদান ও দীর্ঘ লড়াই ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই। ফ্যাসিবাদী শাসকের পতনের বিজয় ধরে রাখতে সচেতন দেশবাসীকে পাহারাদারের ভূমিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান। এসময় তারা আন্দোলনকারী শক্তির মতামত নিয়ে দ্রুত অন্তবর্তী সরকার গঠন করার পাশাপাশি সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা সহিংসতা রুখে দাঁড়ানোর আহবানও জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে কারামুক্ত বিএনপি নেতা, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে সংবর্ধনা দিয়েছে এলাকাবাসী। কারামুক্ত হয়ে গতকাল বুধবার নিজ নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে সংবর্ধনা দেন। এসময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুর -১ আসনের আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখেন। এ সময় খন্দকার নাসির বলেন, দেশের কোটি কোটি ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হয়েছে। এখন দেশ নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। হিংসা ভুলে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। সব প্রকার ভাঙচুর পরিহার ও সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা এখন আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিন, মধুখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ইরান, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন, মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ, আলফাডাঙ্গা বিএনপির সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান খসরু, ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি আব্দুল আলিম মানিক, বোয়ালমারী পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খান আতাউর রহমানসহ প্রমুখ।
জামিন পেলেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনু
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু জামিন পেয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক আকবর আলী খান তাকে জামিন মঞ্জুর করেন। একই দিন দুপুরে আদালতে কর্মরত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) হারুন-অর-রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ২৩ মে ফরিদপুর শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ছাত্রদলের কর্মীসভা থেকে আদনান হোসেন অনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাতে ফরিদপুর জেলা সদরের বায়তুল আমান বটতলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা সবুজ মোল্লা নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ জুলাই নিহত সবুজের বাবা শহীদ মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেনসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়।
সীমান্তে বাড়তি সর্তকতা জারি, বাড়ানো হয়েছে বিজিবি
বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে যশোরের শার্শার বেনাপোলসহ ৪৯ বিজিবির আওতাধীন সব সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ঘুরে বিজিবির সতর্কাবস্থা লক্ষ্য করা যায়। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দুর্নীতিবাজ বা অসাধু ব্যক্তি সীমান্ত দিয়ে যেন ভারতে যেতে না পারে এবং ভারত থেকেও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেনাপোলসহ যশোরের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি। বিজিবি জানায়, যশোর ৪৯ বিজিবির আওতাধীন ভারতের সঙ্গে প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত থেকে যেকোনও সময় যে কেউ অনুপ্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া দেশে সরকার পতনের পর দুর্নীতিবাজরা এই সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সে জন্য বিজিবি নজরদারি বাড়িয়েছে। সরেজমিনে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, আগের চেয়ে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবি সদস্যরা কঠোর অবস্থান রয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যশোরের সীমান্ত পথ ব্যবহার করে কেউ যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য জন্য আমরা সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছি। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
ভূঞাপুরের রাজপথে উচ্ছ্বসিত বিএনপি নেতাকর্মীরা
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনতার ব্যাপক তোপের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগে দীর্ঘ ১৬ বছর পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের রাজপথ দখলে নিয়েছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। এতে নেতাকর্মীরা আনন্দ ও বিজয় মিছিল করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ভূঞাপুর পৌর শহরে এমন চিত্র দেখা যায়। এর আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা থেকে আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এসে সমবেত হন। তারা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে সমাবেশ করেন। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরকে শহীদ পলাশ চত্বর ঘোষণা করেন।
এতে আরও বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান কবির লিটন, খন্দকার গিয়াস উদ্দিন, খন্দকার জুলহাস উদ্দিন, হাবিবুর রহমান তালুকদান ভুট্টো, কোটা সংস্কার আন্দোলনের উপজেলা শাখার সমন্বয়ক আবু হাসেম প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই সারাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর গ্রামের বাড়ি ঘাটান্দির উদ্দেশ্যে রওনা হয় পলাশ। এসময় মিরপুর-১০ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, এতে হঠাৎ পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পলাশ। পরে স্থানীয়রা পলাশকে মিরপুরের আলোক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদারীপুরে পুলিশের মামলায় ২৯ শিক্ষার্থীর জামিন
মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আরও ২৯ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে মাদারীপুর জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অভিজিৎ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের জামিন দেন। গত ১৮ ও ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে বেশকিছু সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন নাশকতাকারীরা। এ সময় লঞ্চঘাট এলাকার পুলিশ ফাঁড়ি ও মস্তফাপুরের ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একাধিক মামলা করে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক ২৯ শিক্ষার্থীকে জামিন দেন। পরে কারাগারে জামিনের আদেশ পৌঁছালে কারাগার থেকে মুক্ত হন শিক্ষার্থীরা।এর আগে শনিবার তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাজিদুল হাসান চৌধুরী। মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইএও) আল মামুন বলেন, শনিবার মানবিক দিক বিবেচনা করে তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন দিয়েছেন আদালত। পরে রোববার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজে পড়ুয়া ২৯ শিক্ষার্থীকে জামিন দেন আদালত। তবে মামলার তারিখে নিয়মিত তাদের আদালতে হাজির হতে হবে। মাদারীপুর জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহজাহান মিঞা বলেন, শনি ও রোববার দুইদিনে মোট ৩২ শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। আদালত থেকে জামিনের আদেশ কারাগারে পাঠালে মুক্ত হন শিক্ষার্থীরা।
রংপুরে গ্রেপ্তার হওয়া ১০৪ জন জামিনে মুক্ত
রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া ১০৪ জনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির জন্য মঙ্গলবার বিভিন্ন আদালতে আবেদন করা হলে বিকালে তাদেরকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম। এদিন বিকালে জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের বরণ করে নিতে ফুলের তোড়া, মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তারা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসলে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ের তালা খোলা হয়েছে। নগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের মরিচা পড়া গেটের তালা ভেঙে সেখানকার ময়লা-আগাছা পরিষ্কার করেন নেতাকর্মীরা। বিকালে কার্যালয়ের সামনে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় লেখা সম্বলিত বোর্ড টাঙ্গানো হয়। এদিকে কারফিউ তুলে নেওয়ায় সকাল থেকে নগরীর দোকানপাট খুলেছে। নগরীর চিরচেনা ব্যস্ততা দেখা গেছে। তবে সড়কে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। নগরীর মডার্ন মোড় এলাকা ও ক্যাডেট কলেজের সামনে সেনাবাহিনীর একটি দল মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করলো কুমিল্লার বিএনপি
হামলা ও সহিংসতার বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এক যৌথ বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের সর্তক করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিবৃতি প্রদানের পর বার্তা প্রেরণকারী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার জাহান দোলন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কুমিল্লা দ. জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পলায়ন করে। এতে সারা দেশের ছাত্রজনতার অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জিত হয়। এই অর্জনে অনেক মেধাবী ছাত্র ও বিভিন্ন পেশার মানুষ রক্ত দিতে হয়েছে। রক্তের বিনিময়ে ছাত্রদের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও স্বৈরাচারের পেতাত্মারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করেছে এবং করার চেষ্টা করছে। তারা রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতি করছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ছাত্রজনতার এই ঐতিহাসিক অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মানুষের সম্পদ লুট ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এসব অপকর্মে কোনও নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পাড়া-মহল্লায় ছাত্র সমন্বয়ক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে জনজীবন

আপডেট সময় : ০১:০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

দেশের খবর ডেস্ক : গত কয়েকদিনের আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল দেশ। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর গতকাল বুধবার থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে জনজীবন।
চিরচেনা রূপে ফিরেছে বগুড়া
গত কয়েকদিনের আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল বগুড়া। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর ৬ আগস্ট থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে বগুড়ার জনজীবন। গতকাল বুধবার থেকে চিরচেনা রূপে ফিরেছে বগুড়া। সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের কর্ম ব্যস্ততা, শহরের মধ্যে জনসাধারণের অবাধ চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া বগুড়া থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল প্রকার যানবাহন সকাল থেকেই চলাচল করছে। এদিকে স্বস্তি ফিরে এসেছে ব্যবসায়ীদের মাঝেও। শহরের সাতমাথায় কথা হয় পথচারী সোহাগের সাথে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করতে হয়েছে। এখন সেই উৎকণ্ঠা নেই। বাজারে যাচ্ছি কিছু কেনাকাটা করতে। শাজাহানপুর উপজেলার এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের দোকানি একরামুল হক বলেন, তিনি চুড়িপট্টি যাচ্ছেন তার দোকানের জন্য মালপত্র কিনতে। আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে গত কদিন মানুষ শহরে প্রবেশ করতে পারেননি। তিনিও শহরে আসেননি। তবে ওই কদিন তার দোকানে বেচা বিক্রি ভালো হয়েছে। ওই সময় তার দোকানে মালপত্র সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি দোকানে মাল উঠানোর জন্য চুড়িপট্টি যাচ্ছেন। স্কুল থেকে ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, স্কুল গতকাল খুললেও আজকে তিনি তার সন্তানকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন। তার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। বগুড়ার চিনিপাতা দইঘরের পরিচালক মুক্তার আলী বলেন, কারফিউয়ের প্রথম দিকে তো আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। পরবর্তীতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়েছে। এখন লোক সমাগম বাড়ছে। আমাদের ব্যবসাও ঠিকঠাক চলবে। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার অভ্যন্তরীণ সড়কসহ সকল সড়কে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। সকাল থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল রুমে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে গেছে। বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। গতকালের চেয়ে আজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি।
দেশবাসীকে পাহারাদারের ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান
সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপ, ফ্যাসিবাদী শাসনের ভিত্তি উচ্ছেদ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দাঁড়ানো, ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার, দুর্নীতির মূল উৎপাটনের দাবিতে বরিশালে সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আন্দোলনকারী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ও সকল ছাত্র সংগঠন এবং সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বায়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজিজ খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দুলাল মজুমদার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বায়ক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড নৃপেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, বাংলাদেশ জাসদ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদল, বাসদ মার্কসবাদী বরিশাল জেলা শাখার সংগঠক সাইদুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, গণবিক্ষোভে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়ন ছাত্র জনতার বিজয়। এই বিজয়কে স্থায়ী করতে হলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান করে পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। সমাবেশে সারা দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতন দেশবাসীকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এই সুযোগে বিভিন্ন জায়গায়, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীরা বিভিন্ন অফিসে তাদের দুর্নীতির ফাইল পোড়ানোর উৎসব করতে পারে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন থেকে দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, লুটপাটের স্বর্গরাজ্য যারা গড়েছিলেন তাদের বাসার লাগেজের মধ্য থেকেও ৫ কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। ফলে সামনে যেন আবার কোন লুটেরা ক্ষমতার মসনদে বসতে না পারে তা নিয়ে বক্তারা জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শত শত শহিদের রক্তদান ও দীর্ঘ লড়াই ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই। ফ্যাসিবাদী শাসকের পতনের বিজয় ধরে রাখতে সচেতন দেশবাসীকে পাহারাদারের ভূমিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান। এসময় তারা আন্দোলনকারী শক্তির মতামত নিয়ে দ্রুত অন্তবর্তী সরকার গঠন করার পাশাপাশি সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা সহিংসতা রুখে দাঁড়ানোর আহবানও জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে কারামুক্ত বিএনপি নেতা, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে সংবর্ধনা দিয়েছে এলাকাবাসী। কারামুক্ত হয়ে গতকাল বুধবার নিজ নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে সংবর্ধনা দেন। এসময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুর -১ আসনের আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখেন। এ সময় খন্দকার নাসির বলেন, দেশের কোটি কোটি ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হয়েছে। এখন দেশ নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। হিংসা ভুলে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। সব প্রকার ভাঙচুর পরিহার ও সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা এখন আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিন, মধুখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ইরান, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন, মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ, আলফাডাঙ্গা বিএনপির সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান খসরু, ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি আব্দুল আলিম মানিক, বোয়ালমারী পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খান আতাউর রহমানসহ প্রমুখ।
জামিন পেলেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনু
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু জামিন পেয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক আকবর আলী খান তাকে জামিন মঞ্জুর করেন। একই দিন দুপুরে আদালতে কর্মরত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) হারুন-অর-রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ২৩ মে ফরিদপুর শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ছাত্রদলের কর্মীসভা থেকে আদনান হোসেন অনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাতে ফরিদপুর জেলা সদরের বায়তুল আমান বটতলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা সবুজ মোল্লা নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ জুলাই নিহত সবুজের বাবা শহীদ মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেনসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়।
সীমান্তে বাড়তি সর্তকতা জারি, বাড়ানো হয়েছে বিজিবি
বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে যশোরের শার্শার বেনাপোলসহ ৪৯ বিজিবির আওতাধীন সব সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ঘুরে বিজিবির সতর্কাবস্থা লক্ষ্য করা যায়। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দুর্নীতিবাজ বা অসাধু ব্যক্তি সীমান্ত দিয়ে যেন ভারতে যেতে না পারে এবং ভারত থেকেও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেনাপোলসহ যশোরের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি। বিজিবি জানায়, যশোর ৪৯ বিজিবির আওতাধীন ভারতের সঙ্গে প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত থেকে যেকোনও সময় যে কেউ অনুপ্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া দেশে সরকার পতনের পর দুর্নীতিবাজরা এই সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সে জন্য বিজিবি নজরদারি বাড়িয়েছে। সরেজমিনে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, আগের চেয়ে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবি সদস্যরা কঠোর অবস্থান রয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যশোরের সীমান্ত পথ ব্যবহার করে কেউ যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য জন্য আমরা সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছি। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
ভূঞাপুরের রাজপথে উচ্ছ্বসিত বিএনপি নেতাকর্মীরা
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনতার ব্যাপক তোপের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগে দীর্ঘ ১৬ বছর পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের রাজপথ দখলে নিয়েছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। এতে নেতাকর্মীরা আনন্দ ও বিজয় মিছিল করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ভূঞাপুর পৌর শহরে এমন চিত্র দেখা যায়। এর আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা থেকে আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এসে সমবেত হন। তারা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে সমাবেশ করেন। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরকে শহীদ পলাশ চত্বর ঘোষণা করেন।
এতে আরও বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান কবির লিটন, খন্দকার গিয়াস উদ্দিন, খন্দকার জুলহাস উদ্দিন, হাবিবুর রহমান তালুকদান ভুট্টো, কোটা সংস্কার আন্দোলনের উপজেলা শাখার সমন্বয়ক আবু হাসেম প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই সারাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর গ্রামের বাড়ি ঘাটান্দির উদ্দেশ্যে রওনা হয় পলাশ। এসময় মিরপুর-১০ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, এতে হঠাৎ পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পলাশ। পরে স্থানীয়রা পলাশকে মিরপুরের আলোক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদারীপুরে পুলিশের মামলায় ২৯ শিক্ষার্থীর জামিন
মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আরও ২৯ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে মাদারীপুর জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অভিজিৎ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের জামিন দেন। গত ১৮ ও ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে বেশকিছু সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন নাশকতাকারীরা। এ সময় লঞ্চঘাট এলাকার পুলিশ ফাঁড়ি ও মস্তফাপুরের ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একাধিক মামলা করে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক ২৯ শিক্ষার্থীকে জামিন দেন। পরে কারাগারে জামিনের আদেশ পৌঁছালে কারাগার থেকে মুক্ত হন শিক্ষার্থীরা।এর আগে শনিবার তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাজিদুল হাসান চৌধুরী। মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইএও) আল মামুন বলেন, শনিবার মানবিক দিক বিবেচনা করে তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন দিয়েছেন আদালত। পরে রোববার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজে পড়ুয়া ২৯ শিক্ষার্থীকে জামিন দেন আদালত। তবে মামলার তারিখে নিয়মিত তাদের আদালতে হাজির হতে হবে। মাদারীপুর জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহজাহান মিঞা বলেন, শনি ও রোববার দুইদিনে মোট ৩২ শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। আদালত থেকে জামিনের আদেশ কারাগারে পাঠালে মুক্ত হন শিক্ষার্থীরা।
রংপুরে গ্রেপ্তার হওয়া ১০৪ জন জামিনে মুক্ত
রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া ১০৪ জনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির জন্য মঙ্গলবার বিভিন্ন আদালতে আবেদন করা হলে বিকালে তাদেরকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম। এদিন বিকালে জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের বরণ করে নিতে ফুলের তোড়া, মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তারা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসলে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ের তালা খোলা হয়েছে। নগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের মরিচা পড়া গেটের তালা ভেঙে সেখানকার ময়লা-আগাছা পরিষ্কার করেন নেতাকর্মীরা। বিকালে কার্যালয়ের সামনে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় লেখা সম্বলিত বোর্ড টাঙ্গানো হয়। এদিকে কারফিউ তুলে নেওয়ায় সকাল থেকে নগরীর দোকানপাট খুলেছে। নগরীর চিরচেনা ব্যস্ততা দেখা গেছে। তবে সড়কে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। নগরীর মডার্ন মোড় এলাকা ও ক্যাডেট কলেজের সামনে সেনাবাহিনীর একটি দল মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করলো কুমিল্লার বিএনপি
হামলা ও সহিংসতার বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এক যৌথ বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের সর্তক করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিবৃতি প্রদানের পর বার্তা প্রেরণকারী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার জাহান দোলন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কুমিল্লা দ. জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পলায়ন করে। এতে সারা দেশের ছাত্রজনতার অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জিত হয়। এই অর্জনে অনেক মেধাবী ছাত্র ও বিভিন্ন পেশার মানুষ রক্ত দিতে হয়েছে। রক্তের বিনিময়ে ছাত্রদের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও স্বৈরাচারের পেতাত্মারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করেছে এবং করার চেষ্টা করছে। তারা রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতি করছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ছাত্রজনতার এই ঐতিহাসিক অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মানুষের সম্পদ লুট ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এসব অপকর্মে কোনও নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পাড়া-মহল্লায় ছাত্র সমন্বয়ক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।