ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমবারের মত বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ লাখ ৮ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। করোনার এই কঠিন সময়ে এটাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে এই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২৯ জুলাই চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির তার লিখিত বক্তব্যে প্রক্ষেপণ করেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমুলক নানা বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়ার অর্থ হলো দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব। ব্যাংকাররা বলছেন, সংকটে পড়লে এ রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে। আমদানি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় চার লাখ আট হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের অর্ধেকের বেশি। চলতি বছরে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলে এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে। স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ডলার এ তিন ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা হয় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে। এই অর্থ বিভিন্ন দেশের বন্ড ও বিলে বিনিয়োগ করা হয়। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচাও করে বাংলাদেশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা: ফখরুল

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

আপডেট সময় : ০২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমবারের মত বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ লাখ ৮ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। করোনার এই কঠিন সময়ে এটাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে এই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২৯ জুলাই চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির তার লিখিত বক্তব্যে প্রক্ষেপণ করেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমুলক নানা বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়ার অর্থ হলো দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব। ব্যাংকাররা বলছেন, সংকটে পড়লে এ রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে। আমদানি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় চার লাখ আট হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের অর্ধেকের বেশি। চলতি বছরে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলে এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে। স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ডলার এ তিন ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা হয় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে। এই অর্থ বিভিন্ন দেশের বন্ড ও বিলে বিনিয়োগ করা হয়। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচাও করে বাংলাদেশ।