ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

আকাশছোঁয়া দাম রড-অ্যাঙ্গেল-প্লেটের

  • আপডেট সময় : ০২:১০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্মাণসামগ্রীর প্রধান উপকরণ রডের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। দফায় দফায় বেড়ে এ পণ্যের দাম এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। রডের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে। ক্রেতারা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই সিন্ডিকেট করে রডের দাম বাড়ানো হয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কী কারণে দাম বেড়েছে তা জানেন না তারা। লকডাউনের পর দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে রডের বাড়তি দাম দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে আবাসন খাতে। অর্থনৈতিক মন্দা, কার্যক্রম বন্ধ, নতুন গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ এবং নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি এ সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টের দামও কিছুটা বেড়েছে। নির্মাণসামগ্রীর দাম কমলে ফ্ল্যাটের দামও কমে বলে জানিয়েছেন তারা। লকডাউনে দোকান বন্ধ ও অন্যান্য কার্যালয়ের কার্যক্রম অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় অনেকটা নীরবে রডের দাম বাড়তে থাকে। যে রডের দাম তিন মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা টন, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চের দিকে রডের দাম বাড়ে আকাশছোঁয়া। পরে আবার কমে প্রতি টন বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। আবারও লকডাউনে দোকান বন্ধ ও অন্যান্য অফিসের কার্যক্রম অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় অনেকটা নীরবে রডের দাম বাড়তে থাকে। যে রডের দাম তিন মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা টন, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। রডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে মোটা প্লেট, পাতলা প্লেট ও অ্যাঙ্গেলের। তিন মাস আগে মোটা প্লেটের টন বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজারে, এখন তা ৫০ হাজার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ১৫ হাজার টাকায়। পাতলা প্লেট ৮৫ হাজার টাকা টন বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। টনপ্রতি ২০ হাজার টাকা বেড়েছে অ্যাঙ্গেলের। এক টন অ্যাঙ্গেল ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল মাস তিনেক আগে, এখন তা প্রায় ২০ হাজার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ হাজার টাকায়। এর আগে ওয়ান-ইলেভেনের (২০০৭ সালের জানুয়ারির পর) সময় দেশজুড়ে অনিয়শ্চয়তার মধ্যে ভালো মানের (৬০ গ্রেডের ওপরে) এক টন রডের দাম ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওঠে। এটাই দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত রডের সর্বোচ্চ দাম ছিল। পরে রডের দাম কমে ৪৫ হাজার টাকায় নেমে আসে। হঠাৎ কেন রড, লোহার প্লেট ও অ্যাঙ্গেলের দাম বাড়লো এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। রাজধানীর ইংলিশ রোডে রড, প্লেট ও অ্যাঙ্গেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা হয় ঢাকা আয়রনের স্বত্বাধিকারী শরিফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কেন দাম বাড়লো এ প্রশ্ন আমারও। কঠোর লকডাউনের সময় দোকান বন্ধ ছিল। এখন দোকান খুলেছি, হঠাৎ দেখি দাম আকাশছোঁয়া। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে না কি দাম বেড়েছে, এটুকুই আমি বলতে পারি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

আকাশছোঁয়া দাম রড-অ্যাঙ্গেল-প্লেটের

আপডেট সময় : ০২:১০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্মাণসামগ্রীর প্রধান উপকরণ রডের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। দফায় দফায় বেড়ে এ পণ্যের দাম এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। রডের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে। ক্রেতারা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই সিন্ডিকেট করে রডের দাম বাড়ানো হয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কী কারণে দাম বেড়েছে তা জানেন না তারা। লকডাউনের পর দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে রডের বাড়তি দাম দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে আবাসন খাতে। অর্থনৈতিক মন্দা, কার্যক্রম বন্ধ, নতুন গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ এবং নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি এ সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টের দামও কিছুটা বেড়েছে। নির্মাণসামগ্রীর দাম কমলে ফ্ল্যাটের দামও কমে বলে জানিয়েছেন তারা। লকডাউনে দোকান বন্ধ ও অন্যান্য কার্যালয়ের কার্যক্রম অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় অনেকটা নীরবে রডের দাম বাড়তে থাকে। যে রডের দাম তিন মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা টন, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চের দিকে রডের দাম বাড়ে আকাশছোঁয়া। পরে আবার কমে প্রতি টন বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। আবারও লকডাউনে দোকান বন্ধ ও অন্যান্য অফিসের কার্যক্রম অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় অনেকটা নীরবে রডের দাম বাড়তে থাকে। যে রডের দাম তিন মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা টন, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। রডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে মোটা প্লেট, পাতলা প্লেট ও অ্যাঙ্গেলের। তিন মাস আগে মোটা প্লেটের টন বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজারে, এখন তা ৫০ হাজার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ১৫ হাজার টাকায়। পাতলা প্লেট ৮৫ হাজার টাকা টন বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। টনপ্রতি ২০ হাজার টাকা বেড়েছে অ্যাঙ্গেলের। এক টন অ্যাঙ্গেল ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল মাস তিনেক আগে, এখন তা প্রায় ২০ হাজার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ হাজার টাকায়। এর আগে ওয়ান-ইলেভেনের (২০০৭ সালের জানুয়ারির পর) সময় দেশজুড়ে অনিয়শ্চয়তার মধ্যে ভালো মানের (৬০ গ্রেডের ওপরে) এক টন রডের দাম ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওঠে। এটাই দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত রডের সর্বোচ্চ দাম ছিল। পরে রডের দাম কমে ৪৫ হাজার টাকায় নেমে আসে। হঠাৎ কেন রড, লোহার প্লেট ও অ্যাঙ্গেলের দাম বাড়লো এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। রাজধানীর ইংলিশ রোডে রড, প্লেট ও অ্যাঙ্গেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা হয় ঢাকা আয়রনের স্বত্বাধিকারী শরিফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কেন দাম বাড়লো এ প্রশ্ন আমারও। কঠোর লকডাউনের সময় দোকান বন্ধ ছিল। এখন দোকান খুলেছি, হঠাৎ দেখি দাম আকাশছোঁয়া। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে না কি দাম বেড়েছে, এটুকুই আমি বলতে পারি।’