ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ভিপিএন ব্যবহার করছেন, কতটা নিরাপদ জানেন?

  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইন্টারনেটের মতো উন্মুক্ত প্লাটফর্মে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে বিশ্বব্যাপী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএনের ব্যবহার আছে। ভিপিএন ব্যবহার করে সহজেই একটি ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত প্রাইভেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে কোনো ডিভাইসকে সংযুক্ত করা যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সুবিধা প্রথমে বন্ধ ও পরে সীমিত করে দেয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মানুষ বিকল্প হিসেবে ভিপিএনের শরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকেই। স্ট্রিমিং, গোপনীয়তা, গেমিং, ভ্রমণ এবং নিষিদ্ধ সাইট ও কন্টেন্টে অ্যাক্সেস পেতে ভিপিএন-এ অনেক সুবিধা মেলে। তবে এর রয়েছে বেশ কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকি। অসচেতনতা ও প্রাযুক্তিক জ্ঞানের দুর্বলতায় তা ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এই প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সাইবার নিরাপত্তা: ভিপিএন-এর প্রাথমিক কথাই হলো ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। কোনো কারণে ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়াল বা পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্যাদি, ধরা যাক ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেল সেগুলোর অপব্যবহার করে তৃতীয় কেউ তার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে।
ইন্টারনেটের গতি কম: ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ অসুবিধা হলো ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যাওয়া। ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায় ও ডেটা ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে, তাই ব্রাউজিংয়ের সময় কম গতি ও বিলম্বের মতো অভিজ্ঞতা হতে পারে ব্যবহারকারী।
ব্যয়: অনেক ভিপিএন গ্রাহকসেবা বিনামূল্যে বা কম খরচে পাওয়া গেলেও প্রিমিয়াম শ্রেণির ভিপিএন সেবায় বিভিন্ন উন্নত ফিচার ও উচ্চ গতির সার্ভার ব্যবহারের সুবিধা মেলে। তবে, এ ক্ষেত্রে গাঁট থেকে টাকা গুনতে হবে।
কারিগরি চ্যালেঞ্জ ও জটিলতা: একটি ভিপিএন সেটআপ বা কনফিগার করা অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর কাছে ভীতিকর হতে পারে। বিশেষ করে এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ আলাদা করার মতো বিভিন্ন উন্নত ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া, ইন্টারনেট সংযোগে ‘ট্রাবলসশুটিং’, ডিএনএস’ বা ‘ডোমেইন নেইম সিস্টেম’ ফাঁস বা নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন অথবা ডিভাইস সেটআপের বেলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা, এমন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তুলনামূলক কম প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে।
তথ্য নিরাপত্তায় সেবাদাতার ওপর নির্ভরতা: বিভিন্ন ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বর্তমানে হাজার হাজার ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভিপিএন ব্যবহার করছেন, কতটা নিরাপদ জানেন?

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইন্টারনেটের মতো উন্মুক্ত প্লাটফর্মে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে বিশ্বব্যাপী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএনের ব্যবহার আছে। ভিপিএন ব্যবহার করে সহজেই একটি ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত প্রাইভেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে কোনো ডিভাইসকে সংযুক্ত করা যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সুবিধা প্রথমে বন্ধ ও পরে সীমিত করে দেয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মানুষ বিকল্প হিসেবে ভিপিএনের শরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকেই। স্ট্রিমিং, গোপনীয়তা, গেমিং, ভ্রমণ এবং নিষিদ্ধ সাইট ও কন্টেন্টে অ্যাক্সেস পেতে ভিপিএন-এ অনেক সুবিধা মেলে। তবে এর রয়েছে বেশ কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকি। অসচেতনতা ও প্রাযুক্তিক জ্ঞানের দুর্বলতায় তা ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এই প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সাইবার নিরাপত্তা: ভিপিএন-এর প্রাথমিক কথাই হলো ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। কোনো কারণে ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়াল বা পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্যাদি, ধরা যাক ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেল সেগুলোর অপব্যবহার করে তৃতীয় কেউ তার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে।
ইন্টারনেটের গতি কম: ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ অসুবিধা হলো ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যাওয়া। ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায় ও ডেটা ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে, তাই ব্রাউজিংয়ের সময় কম গতি ও বিলম্বের মতো অভিজ্ঞতা হতে পারে ব্যবহারকারী।
ব্যয়: অনেক ভিপিএন গ্রাহকসেবা বিনামূল্যে বা কম খরচে পাওয়া গেলেও প্রিমিয়াম শ্রেণির ভিপিএন সেবায় বিভিন্ন উন্নত ফিচার ও উচ্চ গতির সার্ভার ব্যবহারের সুবিধা মেলে। তবে, এ ক্ষেত্রে গাঁট থেকে টাকা গুনতে হবে।
কারিগরি চ্যালেঞ্জ ও জটিলতা: একটি ভিপিএন সেটআপ বা কনফিগার করা অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর কাছে ভীতিকর হতে পারে। বিশেষ করে এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ আলাদা করার মতো বিভিন্ন উন্নত ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া, ইন্টারনেট সংযোগে ‘ট্রাবলসশুটিং’, ডিএনএস’ বা ‘ডোমেইন নেইম সিস্টেম’ ফাঁস বা নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন অথবা ডিভাইস সেটআপের বেলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা, এমন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তুলনামূলক কম প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে।
তথ্য নিরাপত্তায় সেবাদাতার ওপর নির্ভরতা: বিভিন্ন ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বর্তমানে হাজার হাজার ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা।