ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগান ছাড়তে অনড় বাইডেন

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধার অভিযান ও সেনা সরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই তারিখের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা না রাখতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সম্প্রতি দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান।
প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩১শে আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা বজায় রাখবেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও জি-৭ দেশের নেতারা ভার্চুয়াল আলোচনায় মিলিত হন, যেখানে নেতারা চলতি উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করতে আগামী সপ্তাহের চূড়ান্ত সময়সীমার বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি রাখার জন্য তাকে অনুরোধ জানান। ভার্চুয়াল আলোচনার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আমি আমার বন্ধু ও শরিকদের আফগান জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি শরণার্থী ও মানবিক সহায়তা জোরদার করার আবেদন জানাচ্ছি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে হোয়াইট হাউজ জানায়, যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ হাজার ৬০০ লোককে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে হাজার হাজার আফগান এখনো দেশ ছাড়ার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। তবে সম্প্রতি তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশটিতে থাকা মার্কিন নাগরিক ও এতদিন মার্কিন সেনাদের সাহায্য করা আফগানদের উদ্ধারে ফের কয়েক হাজার সেনা আফগানিস্তানে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব মার্কিন সেনা তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করছে না। তারা কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। শান্তিচুক্তির পর ৩১শে আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরানো হবে বলে ঘোষণা দেন বাইডেন। সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। এই সময়সীমা পার হলে আফগানিস্তানে থাকা বিদেশি সেনাদের শত্রু হিসেবে দেখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় সশস্ত্র এই বিদ্রোহী সংগঠনটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আয়নাঘরের পরতে পরতে নির্যাতনের চিহ্ন

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগান ছাড়তে অনড় বাইডেন

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধার অভিযান ও সেনা সরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই তারিখের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা না রাখতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সম্প্রতি দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান।
প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩১শে আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা বজায় রাখবেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও জি-৭ দেশের নেতারা ভার্চুয়াল আলোচনায় মিলিত হন, যেখানে নেতারা চলতি উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করতে আগামী সপ্তাহের চূড়ান্ত সময়সীমার বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি রাখার জন্য তাকে অনুরোধ জানান। ভার্চুয়াল আলোচনার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আমি আমার বন্ধু ও শরিকদের আফগান জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি শরণার্থী ও মানবিক সহায়তা জোরদার করার আবেদন জানাচ্ছি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে হোয়াইট হাউজ জানায়, যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ হাজার ৬০০ লোককে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে হাজার হাজার আফগান এখনো দেশ ছাড়ার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। তবে সম্প্রতি তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশটিতে থাকা মার্কিন নাগরিক ও এতদিন মার্কিন সেনাদের সাহায্য করা আফগানদের উদ্ধারে ফের কয়েক হাজার সেনা আফগানিস্তানে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব মার্কিন সেনা তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করছে না। তারা কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। শান্তিচুক্তির পর ৩১শে আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরানো হবে বলে ঘোষণা দেন বাইডেন। সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। এই সময়সীমা পার হলে আফগানিস্তানে থাকা বিদেশি সেনাদের শত্রু হিসেবে দেখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় সশস্ত্র এই বিদ্রোহী সংগঠনটি।