ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যেভাবে হাঁটলে ওজন কমে দ্রুত

  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বলাই হয়- সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হল হাঁটা। আর ওজন কমানোর লক্ষ্যে যারা দৈনিক হাঁটেন তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে ‘ইন্টারভেল ওয়াকিং’। এর মানে বিরতি দিয়ে হাঁটা নয়। বরং দ্রুত, অতি দ্রুত এবং ধীরে হাঁটতে হবে। এই বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন ব্যায়াম প্রশিক্ষক টেইলার রিড ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “দ্রুত হাঁটার পর ধীরে হাঁটলে হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, সহিষ্ণুতা বাড়ে আর ওজন কমে।” একই ছন্দে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন গতিতে হাঁটাই হল ‘ইন্টারভেল ওয়াকিং’। আর এর জন্য দরকার হবে ভালো মানের হাঁটার জুতা আর সমান্তরাল পথ। রিড বলেন, “দ্রুত, তারপর বড় বড় পদক্ষেপে আরও দ্রুত হাঁটার পর ধীরে পা ফেলার সময়টা দম নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে। যেমন- প্রথমে এক মিনিট একটু দ্রুত হাঁটার পরের দুই মিনিট আরও দ্রুত হেঁটে দুই মিনিট ধীর গতিতে আগাতে হবে।”
দ্রুত গতিতে হাঁটার ফলে হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়ার পর যে হাপ ধরা পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটা কমাবে ধীরে হাঁটা। দৈনিক ব্যায়ামে ‘ইন্টারভেল ওয়াকিং’য়ের ফলে ক্যালরি পোড়ে বেশি, হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি হয় সার্বিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়। আর এটা করতে হবে কয়েকটি ধাপে।
ধাপ-১: শরীর গরম করা: দেহকে প্রস্তুত করতে প্রথমে শরীর গরম করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়ম হল- স্বচ্ছন্দে আরামের সাথে হাঁটা শুরু করতে হবে। পাঁচ মিনিট এভাবে হাঁটার পর স্বাভাবিকভাবেই হৃদস্পন্দন একটু বাড়বে, পেশির কার্যকারিতা শুরু হবে। নিজের ভঙ্গির প্রতি নজর দিন। কাঁধ যেন শিথিল থাকে।
ধাপ-২: দ্রুত হাঁটা: জোর দিয়ে দ্রুত হাঁটা শুরু করতে হবে। শরীর গরম হওয়ার পর দ্রুত হাঁটার শুরু করে প্রায় তিন মিনিট আগাতে হবে। এক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন আরও বাড়বে। হাঁটার সময় হাত যেভাবে সামনে পেছনে যায় সেটা করে যেতে হবে।
ধাপ-৩: আরও দ্রুত হাঁটা: দ্রুত হাঁটার পর নিজের যতটুকু শক্তি আছে সেটা দিয়ে হাঁটা শুরু করতে হবে এই পর্যায়ে। গতি নিয়ে, বড় বড় পদক্ষেপে এভাবে প্রায় এক মিনিট হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। শরীরের মধ্যবর্তী অংশ টানটান রাখতে হবে। হাত স্বাভাবিকের চাইতে দ্রুত সামনে পেছনে করতে হবে।
ধাপ-৪: ধীরে হাঁটা: এই পর্যায় হল দেহকে বিশ্রাম দেওয়া। গতি কমিয়ে আরামের সাথে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যেতে হবে। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে দম ফিরে আসবে। হৃদস্পন্দন একটু কমবে। তারপর আবার প্রথম ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই পর্যায়ে হাঁটার সময় ধীর-স্থির ও গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় কাউন্টার থেকে চলবে ২১ কোম্পানির গোলাপী বাস

যেভাবে হাঁটলে ওজন কমে দ্রুত

আপডেট সময় : ১১:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বলাই হয়- সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হল হাঁটা। আর ওজন কমানোর লক্ষ্যে যারা দৈনিক হাঁটেন তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে ‘ইন্টারভেল ওয়াকিং’। এর মানে বিরতি দিয়ে হাঁটা নয়। বরং দ্রুত, অতি দ্রুত এবং ধীরে হাঁটতে হবে। এই বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন ব্যায়াম প্রশিক্ষক টেইলার রিড ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “দ্রুত হাঁটার পর ধীরে হাঁটলে হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, সহিষ্ণুতা বাড়ে আর ওজন কমে।” একই ছন্দে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন গতিতে হাঁটাই হল ‘ইন্টারভেল ওয়াকিং’। আর এর জন্য দরকার হবে ভালো মানের হাঁটার জুতা আর সমান্তরাল পথ। রিড বলেন, “দ্রুত, তারপর বড় বড় পদক্ষেপে আরও দ্রুত হাঁটার পর ধীরে পা ফেলার সময়টা দম নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে। যেমন- প্রথমে এক মিনিট একটু দ্রুত হাঁটার পরের দুই মিনিট আরও দ্রুত হেঁটে দুই মিনিট ধীর গতিতে আগাতে হবে।”
দ্রুত গতিতে হাঁটার ফলে হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়ার পর যে হাপ ধরা পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটা কমাবে ধীরে হাঁটা। দৈনিক ব্যায়ামে ‘ইন্টারভেল ওয়াকিং’য়ের ফলে ক্যালরি পোড়ে বেশি, হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি হয় সার্বিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়। আর এটা করতে হবে কয়েকটি ধাপে।
ধাপ-১: শরীর গরম করা: দেহকে প্রস্তুত করতে প্রথমে শরীর গরম করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়ম হল- স্বচ্ছন্দে আরামের সাথে হাঁটা শুরু করতে হবে। পাঁচ মিনিট এভাবে হাঁটার পর স্বাভাবিকভাবেই হৃদস্পন্দন একটু বাড়বে, পেশির কার্যকারিতা শুরু হবে। নিজের ভঙ্গির প্রতি নজর দিন। কাঁধ যেন শিথিল থাকে।
ধাপ-২: দ্রুত হাঁটা: জোর দিয়ে দ্রুত হাঁটা শুরু করতে হবে। শরীর গরম হওয়ার পর দ্রুত হাঁটার শুরু করে প্রায় তিন মিনিট আগাতে হবে। এক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন আরও বাড়বে। হাঁটার সময় হাত যেভাবে সামনে পেছনে যায় সেটা করে যেতে হবে।
ধাপ-৩: আরও দ্রুত হাঁটা: দ্রুত হাঁটার পর নিজের যতটুকু শক্তি আছে সেটা দিয়ে হাঁটা শুরু করতে হবে এই পর্যায়ে। গতি নিয়ে, বড় বড় পদক্ষেপে এভাবে প্রায় এক মিনিট হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। শরীরের মধ্যবর্তী অংশ টানটান রাখতে হবে। হাত স্বাভাবিকের চাইতে দ্রুত সামনে পেছনে করতে হবে।
ধাপ-৪: ধীরে হাঁটা: এই পর্যায় হল দেহকে বিশ্রাম দেওয়া। গতি কমিয়ে আরামের সাথে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যেতে হবে। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে দম ফিরে আসবে। হৃদস্পন্দন একটু কমবে। তারপর আবার প্রথম ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই পর্যায়ে হাঁটার সময় ধীর-স্থির ও গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে।