ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

পরীমনি-হেলেনাদের ১৫ মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে: সিআইডি

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি মাদকসহ গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনি ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাসহ কয়েজনের নামে দায়ের করা আলোচিত ১৫টি মামলার তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান। সিআইডির প্রধান বলেন, ‘চিত্রনায়িকা পরীমনি, রাজ, পিয়াসা, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা সিআইডির তদন্তে আছে। মামলাগুলো এখনো তদন্তাধীন। তবে আমরা মামলার তদন্ত কাজ অনেকাংশে গুছিয়ে এনেছি। কিছু ফরেনসিক প্রতিবেদন এখনো বাকি আছে। সব হাতে এলে আমরা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া শুরু করতে পারব।’
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের অপরাধলব্ধ আয় আছে কি না, সেটিও যাচাই–বাছাই করছে সিআইডি। বেশ কয়েকজন আসামির আর্থিক হিসাব জানার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ পরীমনিকে তিন দফা রিমান্ডে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থেই পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। পরীমনির দেওয়া তথ্যে বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের জন্য পুনরায় পরীমনিকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।’
পরীমনি বা পিয়াসাদের বাসায় মদ বা মাদক রাখার বিষয়ে সিআইডি কী ধরনের তথ্য পেয়েছে এমন প্রশ্নে সংস্থাটির প্রধান বলেন, ‘মাদক মামলার আলামত তো পজেশনেই পাওয়া গেছে। সেগুলো আদৌ মাদক কি না তা জানতে কেমিক্যাল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
গত ২৯ জুলাই গুলশানের বাসা থেকে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করে র্যা ব। এরপর ১ আগস্ট বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে শরফুল হাসান ও মাসুদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব।
৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব। একই দিন প্রযোজক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পরীমনি-হেলেনাদের ১৫ মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে: সিআইডি

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি মাদকসহ গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনি ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাসহ কয়েজনের নামে দায়ের করা আলোচিত ১৫টি মামলার তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান। সিআইডির প্রধান বলেন, ‘চিত্রনায়িকা পরীমনি, রাজ, পিয়াসা, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা সিআইডির তদন্তে আছে। মামলাগুলো এখনো তদন্তাধীন। তবে আমরা মামলার তদন্ত কাজ অনেকাংশে গুছিয়ে এনেছি। কিছু ফরেনসিক প্রতিবেদন এখনো বাকি আছে। সব হাতে এলে আমরা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া শুরু করতে পারব।’
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের অপরাধলব্ধ আয় আছে কি না, সেটিও যাচাই–বাছাই করছে সিআইডি। বেশ কয়েকজন আসামির আর্থিক হিসাব জানার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ পরীমনিকে তিন দফা রিমান্ডে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থেই পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। পরীমনির দেওয়া তথ্যে বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের জন্য পুনরায় পরীমনিকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।’
পরীমনি বা পিয়াসাদের বাসায় মদ বা মাদক রাখার বিষয়ে সিআইডি কী ধরনের তথ্য পেয়েছে এমন প্রশ্নে সংস্থাটির প্রধান বলেন, ‘মাদক মামলার আলামত তো পজেশনেই পাওয়া গেছে। সেগুলো আদৌ মাদক কি না তা জানতে কেমিক্যাল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
গত ২৯ জুলাই গুলশানের বাসা থেকে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করে র্যা ব। এরপর ১ আগস্ট বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে শরফুল হাসান ও মাসুদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব।
৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব। একই দিন প্রযোজক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।