ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

জামিন পেলেন পরীমনি

  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনি জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাইফুল ইসলাম। এদিন পরীমনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানানি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল। বাদীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, “যেহেতু পরীমনি একজন নারী ও সন্তানের মা, সে কারণে তার জামিনে আমার কোনো আপত্তি নেই।” পরীমনির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নীলাঞ্জনা রেফাত সুরভী। সাভারের বিরুলিয়ায় বোট ক্লাবে ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন পরীমনি। এ বিষয়ে ফেইসবুকে পোস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে আসলে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরে পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরীমনির মামলায় বিচার চলাকালে জামিনে থাকা অবস্থায় নাসির উদ্দিন ২০২২ সালের ৬ জুলাই পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাল্টা এই মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৮ এপ্রিল গ্রহণ করে পরীমনি এবং তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত।

মামলার আরজিতে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা সেদিন ক্লাবে ঢুকে মদ পান করে অর্থ পরিশোধ না করেই যেতে চাচ্ছিলেন। তিনি ওই রাতে যখন বোট ক্লাব ছাড়ছিলেন, তখন পরীমনি ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ তাকে ডেকে নেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি তার দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে তিনি মাথায় এবং বুকে আঘাত পান। নাসিরের দাবি, সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। অন্যদিকে সাভার থানায় পরীমনির করা ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ ছিল, পূর্ব পরিচিত তুহিন সিদ্দিকী অমি গত ৮ জুন রাতে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে নাসির তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ ও মারধর করেন। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ২০২২ বছরের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জামিন পেলেন পরীমনি

আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনি জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাইফুল ইসলাম। এদিন পরীমনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানানি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল। বাদীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, “যেহেতু পরীমনি একজন নারী ও সন্তানের মা, সে কারণে তার জামিনে আমার কোনো আপত্তি নেই।” পরীমনির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নীলাঞ্জনা রেফাত সুরভী। সাভারের বিরুলিয়ায় বোট ক্লাবে ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন পরীমনি। এ বিষয়ে ফেইসবুকে পোস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে আসলে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরে পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরীমনির মামলায় বিচার চলাকালে জামিনে থাকা অবস্থায় নাসির উদ্দিন ২০২২ সালের ৬ জুলাই পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাল্টা এই মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৮ এপ্রিল গ্রহণ করে পরীমনি এবং তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত।

মামলার আরজিতে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা সেদিন ক্লাবে ঢুকে মদ পান করে অর্থ পরিশোধ না করেই যেতে চাচ্ছিলেন। তিনি ওই রাতে যখন বোট ক্লাব ছাড়ছিলেন, তখন পরীমনি ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ তাকে ডেকে নেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি তার দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে তিনি মাথায় এবং বুকে আঘাত পান। নাসিরের দাবি, সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। অন্যদিকে সাভার থানায় পরীমনির করা ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ ছিল, পূর্ব পরিচিত তুহিন সিদ্দিকী অমি গত ৮ জুন রাতে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে নাসির তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ ও মারধর করেন। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ২০২২ বছরের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।