ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্ভব হলে দুই ডোজের ব্যবধান কমানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান আরও কমিয়ে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আনা যায় কি না, সেটা দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, করোনার টিকার প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের সময় ১৫ বা ২০ দিন করা যায় কি না প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয় সেটা করা হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে ১৫ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এখন কারিগরি কমিটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। হোঁচট খায় টিকাদান কর্মসূচি। পরে আমেরিকা, চীন ও জাপান এগিয়ে আসে বাংলাদেশের দিকে। আমেরিকা উপহার দিয়েছে ৫৫ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা। জাপান এখন পর্যন্ত মোট ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। মোট ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেবে দেশটি। এছাড়া চীন উপহার হিসেবে ২১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দিয়েছে। দেশটি থেকে সাত কোটি ডোজ কেনার কথা রয়েছে সরকারের। ইতোমধ্যে ৭০ লাখের বেশি ডোজ এসেছে। অন্যদিকে কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখের বেশি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৬০ লাখ ডোজ আসবে। টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাত থেকে আট কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখন পর্যন্ত ২১ দফায় ৪ ধরনের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, সিনোফার্ম, ফাইজার) সর্বমোট ৩ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ করোনার টিকার ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জন। প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ আর নারী ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ১১৪ আর নারী ২৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ২২ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৯ ডোজ। এ ছাড়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৪ হাজার ৬৩৮ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৬ ডোজ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সম্ভব হলে দুই ডোজের ব্যবধান কমানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান আরও কমিয়ে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আনা যায় কি না, সেটা দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, করোনার টিকার প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের সময় ১৫ বা ২০ দিন করা যায় কি না প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয় সেটা করা হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে ১৫ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এখন কারিগরি কমিটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। হোঁচট খায় টিকাদান কর্মসূচি। পরে আমেরিকা, চীন ও জাপান এগিয়ে আসে বাংলাদেশের দিকে। আমেরিকা উপহার দিয়েছে ৫৫ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা। জাপান এখন পর্যন্ত মোট ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। মোট ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেবে দেশটি। এছাড়া চীন উপহার হিসেবে ২১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দিয়েছে। দেশটি থেকে সাত কোটি ডোজ কেনার কথা রয়েছে সরকারের। ইতোমধ্যে ৭০ লাখের বেশি ডোজ এসেছে। অন্যদিকে কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখের বেশি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৬০ লাখ ডোজ আসবে। টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাত থেকে আট কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখন পর্যন্ত ২১ দফায় ৪ ধরনের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, সিনোফার্ম, ফাইজার) সর্বমোট ৩ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ করোনার টিকার ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জন। প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ আর নারী ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ১১৪ আর নারী ২৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ২২ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৯ ডোজ। এ ছাড়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৪ হাজার ৬৩৮ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৬ ডোজ।