ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি চুড়ান্ত

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

দেশের খবর ডেস্ক : আগামীকাল সোমবার দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে পশু কোরবানির পাশাপাশি ।ীদেও নামাজ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে সারা দেশে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদেও পাঠানো খবরঃ
চট্টগ্রামে প্রস্তুত জমিয়তুল ফালাহ ময়দান
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য প্রস্তুত জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ ময়দান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টা এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ অথবা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শনিবার সকালে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতের জন্য জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মুসল্লিদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত ফ্যান এবং শামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’ এ সময় মেয়র বলেন, ‘কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাত ঘণ্টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। পশুর নাড়িভুঁড়ি নেওয়ার জন্য পলিথিন সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা সভা করেছি। আশা করি, এবার চামড়া নষ্ট হয়ে পরিবেশদূষণ হবে না৷’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম প্রমুখ।
দিনাজপুরে প্রস্তুত গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন লাখো মানুষ। পবিত্র ঈদুল আজহার নামজকে ঘিরে প্রস্তুত করা হয়েছে ঈদগাহ মাঠটি। মাঠ ও মিনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। দূরের মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার্থে এবারও থাকছে দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন। আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টায় গোর-এ-শহীদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদগাহ মিনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, মাঠের গর্তে মাটি ভরাট, মাইক টাঙানোসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের ওজুর জন্য রাখা হয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা। নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী বাথরুম। এছাড়াও ঈদের নামাজে আগত মুসল্লিদের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করতে পর্যবেক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার। গতকাল শনিবার গোর-এ শহীদ ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন ঈদগাহ মাঠের উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এ সময় জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। মাঠ পরিদর্শন শেষে ঈদগাহ মাঠের উপদেষ্টা হুইপ ইকবালুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের গেটগুলোতে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ঈদগাহ মাঠটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, এই ঈদগাহ মাঠে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি আশেপাশের জেলাগুলোর মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন দিয়েছেন।
রাজশাহীতে প্রস্তুত হযরত শাহ মখদুম (রহ.) ঈদগাহ
রাজশাহী সংবাদদাতা জানান, রাজশাহীতে এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে বৃষ্টি হলে বা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে একই সময় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা জামে মসজিদে। আর সেক্ষেত্রে মানুষ বেশি হলে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে দরগা মসজিদে পর পর ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা স্টেটের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান ঈদ জামাতের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন মহানগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব আলী। তাকে সহযোগিতা করবেন রাজশাহী শাহ মখুদম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ। আর দরগা মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হলে প্রথমটিতে ইয়াকুব আলী ও দ্বিতীয়টিতে মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ইমামতি করবেন। ঈদ জামাত নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এরই মধ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এদিকে রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায় ও সকাল ৮টায় মহানগর (টিকাপাড়া) ঈদগাহে। এখানে ইমামতি করবেন মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ মতিউর রহমান। এখানে দ্বিতীয় জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে ৮টায়। আর বৃষ্টি হলে একই সময় পাশে থাকা টিকাপাড়া মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে পরপর ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আর সকাল ৮টায় মহানগরীর তৃতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বড় মসজিদ সংলগ্ন সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে (বড় রাস্তায়)। এখানে ইমামতি করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা তৈয়বুর রহমান নিজামী। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা বৃষ্টি হলে একই সময় বড় মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠুভাবে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বলে দেওয়া হয়েছে- সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি বরাবরের মতো আলোচনা করে নিজ নিজ ঈদগাহের ঈদ জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করবে। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবারও ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরাই তাদের সুবিধামতো নামাজের সময় নির্ধারণ করবেন। এরপর ঈদের আগের দিন তা মাইকিং করে জানিয়ে দেবেন। তবে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই রাজশাহীর বেশিরভাগ ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজিত জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা গত বুধবার (১২ জুন) অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ঈদের প্রধান জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবখানেই ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঈদের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ রাজশাহী মহানগরীর ঈদগাহগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে। এদিকে এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে- যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের লক্ষ্যে এবার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় হযরত শাহ খদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি চুড়ান্ত

আপডেট সময় : ০১:৪০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

দেশের খবর ডেস্ক : আগামীকাল সোমবার দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে পশু কোরবানির পাশাপাশি ।ীদেও নামাজ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে সারা দেশে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদেও পাঠানো খবরঃ
চট্টগ্রামে প্রস্তুত জমিয়তুল ফালাহ ময়দান
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য প্রস্তুত জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ ময়দান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টা এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ অথবা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শনিবার সকালে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতের জন্য জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মুসল্লিদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত ফ্যান এবং শামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’ এ সময় মেয়র বলেন, ‘কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাত ঘণ্টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। পশুর নাড়িভুঁড়ি নেওয়ার জন্য পলিথিন সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা সভা করেছি। আশা করি, এবার চামড়া নষ্ট হয়ে পরিবেশদূষণ হবে না৷’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম প্রমুখ।
দিনাজপুরে প্রস্তুত গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন লাখো মানুষ। পবিত্র ঈদুল আজহার নামজকে ঘিরে প্রস্তুত করা হয়েছে ঈদগাহ মাঠটি। মাঠ ও মিনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। দূরের মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার্থে এবারও থাকছে দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন। আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টায় গোর-এ-শহীদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদগাহ মিনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, মাঠের গর্তে মাটি ভরাট, মাইক টাঙানোসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের ওজুর জন্য রাখা হয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা। নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী বাথরুম। এছাড়াও ঈদের নামাজে আগত মুসল্লিদের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করতে পর্যবেক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার। গতকাল শনিবার গোর-এ শহীদ ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন ঈদগাহ মাঠের উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এ সময় জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। মাঠ পরিদর্শন শেষে ঈদগাহ মাঠের উপদেষ্টা হুইপ ইকবালুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের গেটগুলোতে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ঈদগাহ মাঠটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, এই ঈদগাহ মাঠে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি আশেপাশের জেলাগুলোর মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন দিয়েছেন।
রাজশাহীতে প্রস্তুত হযরত শাহ মখদুম (রহ.) ঈদগাহ
রাজশাহী সংবাদদাতা জানান, রাজশাহীতে এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে বৃষ্টি হলে বা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে একই সময় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা জামে মসজিদে। আর সেক্ষেত্রে মানুষ বেশি হলে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে দরগা মসজিদে পর পর ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা স্টেটের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান ঈদ জামাতের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন মহানগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব আলী। তাকে সহযোগিতা করবেন রাজশাহী শাহ মখুদম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ। আর দরগা মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হলে প্রথমটিতে ইয়াকুব আলী ও দ্বিতীয়টিতে মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ইমামতি করবেন। ঈদ জামাত নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এরই মধ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এদিকে রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায় ও সকাল ৮টায় মহানগর (টিকাপাড়া) ঈদগাহে। এখানে ইমামতি করবেন মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ মতিউর রহমান। এখানে দ্বিতীয় জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে ৮টায়। আর বৃষ্টি হলে একই সময় পাশে থাকা টিকাপাড়া মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে পরপর ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আর সকাল ৮টায় মহানগরীর তৃতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বড় মসজিদ সংলগ্ন সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে (বড় রাস্তায়)। এখানে ইমামতি করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা তৈয়বুর রহমান নিজামী। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা বৃষ্টি হলে একই সময় বড় মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠুভাবে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বলে দেওয়া হয়েছে- সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি বরাবরের মতো আলোচনা করে নিজ নিজ ঈদগাহের ঈদ জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করবে। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবারও ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরাই তাদের সুবিধামতো নামাজের সময় নির্ধারণ করবেন। এরপর ঈদের আগের দিন তা মাইকিং করে জানিয়ে দেবেন। তবে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই রাজশাহীর বেশিরভাগ ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজিত জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা গত বুধবার (১২ জুন) অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ঈদের প্রধান জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবখানেই ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঈদের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ রাজশাহী মহানগরীর ঈদগাহগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে। এদিকে এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে- যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের লক্ষ্যে এবার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় হযরত শাহ খদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।