ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কায় খামারিরা

  • আপডেট সময় : ১২:১৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে হবিগঞ্জের বিভিন্ন পশুরহাট। ইতিমধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা পশু বাজারে তুলছেন খামারিরা। তবে ভারতীয় পশু প্রবেশ করার শঙ্কা ও গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারিরা। সরেজমিনে বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, হবিগঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন পশুরহাটে ও খামারে পশু বিক্রি করছেন খামারিরা। মাধবপুরের আন্দিউরা গ্রামের পিওর অ্যান্ড অর্গানিক ডেইরি ফার্ম, নবীগঞ্জের এমবি অ্যাগ্রো ফার্ম, গ্রিন বাংলা অ্যাগ্রোসহ কয়েকটি খামারে কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। শাহিওয়াল, নেপালি ও ফিজিয়ানসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের লাল-কালো-সাদা রঙের এসব একেকটি গরুর ওজন ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য সম্মত পরিচর্যার পাশাপাশি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করা হয়েছে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে- গমের ভূষি, খৈল, ভুট্টাসহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার। উত্তর দেবপাড়া এলাকায় এমবি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করেন আতাউর রহমান। গত বছর নানা সমস্যায় ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে এই খামারিকে। আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ বছর ৮৪টি গরুকে স্বাস্থ্য সম্মত পরিচর্যার পাশাপাশি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছেন। ক্রেতা মিটু বলেন, এই খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করা হয়- এ জন্য এসেছি গরু কিনতে। পশুরহাটের ভিড় এড়াতে ও নিরিবিলি পরিবেশ কোরবানির পশু ক্রয় করার জন্য খামার একটি ভালো জায়গা। প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনের দায়িত্ব থাকে নিজের ওপরে। তাই খামারে এসে আত্মীয়-স্বজনের জন্য চারটি ও নিজের জন্য একটি গরু কিনেছি।
কামারগাঁও গ্রামের আবুল কালাম বলেন, অত্যন্ত ভালো পরিবেশ, আমি দুটি গরু ক্রয় কিনেছি। আরও কেনার ইচ্ছে আছে। আমি আমার আত্মীয়-স্বজনকেও নিরিবিলি পরিবেশে খামার থেকে গরু ক্রয় করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। এমবি অ্যাগ্রোর পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, ভারতীয় পশু প্রবেশ করলে খামারিরা ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবো। ইতিমধ্যে শুনছি বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে গরু ঢুকছে। সেই তথ্য আমাদের কাছে আতঙ্কের। বিগত এক বছর গরু লালন-পালন করতে গিয়ে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গরুর পেছনে ব্যয় বেড়েছে। ফলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। তিনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রদান ও গো খাদ্যের দাম খামারিদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, হবিগঞ্জ জেলায় এ বছর কোরবারিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে এক লাখ। আমাদের চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার। ফলে আমাদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় গবাদিপশু সরবরাহ করা যাবে। তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কা নেই। ফলে দেশীয় গরু বিক্রি করে খামারিরা অনেকটাই লাভবান হবেন ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কায় খামারিরা

আপডেট সময় : ১২:১৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে হবিগঞ্জের বিভিন্ন পশুরহাট। ইতিমধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা পশু বাজারে তুলছেন খামারিরা। তবে ভারতীয় পশু প্রবেশ করার শঙ্কা ও গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারিরা। সরেজমিনে বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, হবিগঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন পশুরহাটে ও খামারে পশু বিক্রি করছেন খামারিরা। মাধবপুরের আন্দিউরা গ্রামের পিওর অ্যান্ড অর্গানিক ডেইরি ফার্ম, নবীগঞ্জের এমবি অ্যাগ্রো ফার্ম, গ্রিন বাংলা অ্যাগ্রোসহ কয়েকটি খামারে কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। শাহিওয়াল, নেপালি ও ফিজিয়ানসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের লাল-কালো-সাদা রঙের এসব একেকটি গরুর ওজন ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য সম্মত পরিচর্যার পাশাপাশি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করা হয়েছে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে- গমের ভূষি, খৈল, ভুট্টাসহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার। উত্তর দেবপাড়া এলাকায় এমবি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করেন আতাউর রহমান। গত বছর নানা সমস্যায় ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে এই খামারিকে। আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ বছর ৮৪টি গরুকে স্বাস্থ্য সম্মত পরিচর্যার পাশাপাশি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছেন। ক্রেতা মিটু বলেন, এই খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করা হয়- এ জন্য এসেছি গরু কিনতে। পশুরহাটের ভিড় এড়াতে ও নিরিবিলি পরিবেশ কোরবানির পশু ক্রয় করার জন্য খামার একটি ভালো জায়গা। প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনের দায়িত্ব থাকে নিজের ওপরে। তাই খামারে এসে আত্মীয়-স্বজনের জন্য চারটি ও নিজের জন্য একটি গরু কিনেছি।
কামারগাঁও গ্রামের আবুল কালাম বলেন, অত্যন্ত ভালো পরিবেশ, আমি দুটি গরু ক্রয় কিনেছি। আরও কেনার ইচ্ছে আছে। আমি আমার আত্মীয়-স্বজনকেও নিরিবিলি পরিবেশে খামার থেকে গরু ক্রয় করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। এমবি অ্যাগ্রোর পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, ভারতীয় পশু প্রবেশ করলে খামারিরা ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবো। ইতিমধ্যে শুনছি বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে গরু ঢুকছে। সেই তথ্য আমাদের কাছে আতঙ্কের। বিগত এক বছর গরু লালন-পালন করতে গিয়ে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গরুর পেছনে ব্যয় বেড়েছে। ফলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। তিনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রদান ও গো খাদ্যের দাম খামারিদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, হবিগঞ্জ জেলায় এ বছর কোরবারিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে এক লাখ। আমাদের চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার। ফলে আমাদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় গবাদিপশু সরবরাহ করা যাবে। তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কা নেই। ফলে দেশীয় গরু বিক্রি করে খামারিরা অনেকটাই লাভবান হবেন ।