ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

অপরাধীদের ছাড়িয়ে নিতে তদবির হচ্ছে, বড় বড় জায়গার ফোন আসছে : এমপি আজিমের মেয়ে

  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার বিচার কোনো চাপে যেন বন্ধ না হয়-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। জড়িতদের ছাড়িয়ে নিতে তদবির হচ্ছে, বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে-এমন কথা শুনেছেন বলেও জানান তিনি।
গতকাল বুধবার (১২ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান এমপি আনারের কন্যা। ডরিন বলেন, ‘আমি আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এজন্য এসেছি যে আমার বাবা যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, সেটার যাতে সঠিক বিচার হয়। সঠিক বিচারটা যাতে আমাকে নিশ্চিত করেন, সেই দাবি জানাতে।’ তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এরই মধ্যে অনেককে আটক করা হয়েছে। আমি শুনেছি, অপরাধীদের বাঁচাতে অনেক জায়গা থেকে তদবির করা হচ্ছে। তাদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়, সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ‘কোনো তদবিরের চাপে পড়ে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে বন্ধ করার চেষ্টা না হয়, চাপের মুখে যাতে সঠিক তদন্ত বন্ধ করা না হয়, সেই দাবি জানিয়েছি। আমি সঠিক বিচার চাই।’
এমপি আনারের কন্যা বলেন, ‘আমি বলতে চাই, গ্যাস বাবু নামে যাকে আটক করা হয়েছে, তিনি আমার বাবার প্রতিপক্ষ নয়। আমাদের সঙ্গে তার কোনো শত্রুতাও নেই। আমার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। গত ১৭ তারিখ (১৭ মে) তার সঙ্গে ভাঙ্গায় দেখা হয়েছে, সেখানে একটা টাকা দেওয়ার লেনদেনের কথা উঠেছে, যা আমি খবরে শুনেছি।’
মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, ‘আমার কথা হলো, এই টাকার জোগানদাতা কে? কেন তারা এটা করিয়েছে? আপনারা দেখেছেন, তাকে আটকের আগে থানায় তিনি জিডি করেছেন যে তার তিনটি ফোন হারিয়ে গেছে। একই দিনে একজন মানুষের তিনটি ফোন কীভাবে হারিয়ে যায়, সেটাও আমার প্রশ্ন। এগুলো কী পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে, সে তো আমার বাবার শত্রু নয়। এই কাজগুলো কে করাচ্ছে, সেটা আমি বারবার বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি নিয়ে গেছে। অবশ্যই তাদের কাছে সত্যিকারের কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে, সেটা আমি নিজেও জানি। সেই প্রমাণের সাপেক্ষেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ ‘আসলে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে যাতে আমার বাবার হত্যার বিচার করা হয়, আমি সেই দাবি জানিয়েছি। আমি শুনেছি, অনেক তদবির করা হচ্ছে। অনেক বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে, তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য।’ সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেটা আইনে আসবে, যেটা সত্য, সেটার বিচার হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপরাধীদের তিল পরিমাণ ছাড় দেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে কোনো চাপ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে কোনো চাপ বা তদবির নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।’ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনারের মেয়ে বাবা হত্যার বিচার চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। তদন্তে কেউ যাতে পার পেয়ে না যায় তিনি সেই অনুরোধ করেছেন। এই হত্যার তদন্তে কোনো তদবির বা চাপ নেই। কে চাপ দেবে? তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে সেভাবেই বিচার প্রক্রিয়া আগাবে।
মিন্টু সদুত্তর দিতে না পারলে গ্রেফতার: সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে। ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা (গ্রেফতার) নেবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গতকাল বুধবার (১২ জুন) বিকেলে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর কাছে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণের পরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুল করিম মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। মিন্টুর কাছে তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যদি মিন্টু সদুত্তর দিতে পারেন তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর যদি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারেন তবে তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করার তাই করা হবে।’ মিন্টুকে গ্রেফতার না দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে আসি। আমরা যখন কাউকে নিয়ে আসি অবশ্যই কিছু তথ্য-উপাত্ত থাকে। প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু অকপটে স্বীকার করেন যে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া ঘাতক শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন। শিমুল ভূঁইয়া গ্যাস বাবুকে এমপি আনার হত্যার পর ছবি দেখিয়েছেন।’ ১৬ তারিখেই (১৬ মে) যদি হত্যাকাণ্ডের তথ্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু জেনে থাকেন তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা কেন জানালেন না? এটিও অপরাধ। এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘হ্যাঁ এটি সঠিক। কেন তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয় গোপন করলেন এটিই জানতে চাওয়া হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অপরাধীদের ছাড়িয়ে নিতে তদবির হচ্ছে, বড় বড় জায়গার ফোন আসছে : এমপি আজিমের মেয়ে

আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার বিচার কোনো চাপে যেন বন্ধ না হয়-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। জড়িতদের ছাড়িয়ে নিতে তদবির হচ্ছে, বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে-এমন কথা শুনেছেন বলেও জানান তিনি।
গতকাল বুধবার (১২ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান এমপি আনারের কন্যা। ডরিন বলেন, ‘আমি আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এজন্য এসেছি যে আমার বাবা যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, সেটার যাতে সঠিক বিচার হয়। সঠিক বিচারটা যাতে আমাকে নিশ্চিত করেন, সেই দাবি জানাতে।’ তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এরই মধ্যে অনেককে আটক করা হয়েছে। আমি শুনেছি, অপরাধীদের বাঁচাতে অনেক জায়গা থেকে তদবির করা হচ্ছে। তাদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়, সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ‘কোনো তদবিরের চাপে পড়ে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে বন্ধ করার চেষ্টা না হয়, চাপের মুখে যাতে সঠিক তদন্ত বন্ধ করা না হয়, সেই দাবি জানিয়েছি। আমি সঠিক বিচার চাই।’
এমপি আনারের কন্যা বলেন, ‘আমি বলতে চাই, গ্যাস বাবু নামে যাকে আটক করা হয়েছে, তিনি আমার বাবার প্রতিপক্ষ নয়। আমাদের সঙ্গে তার কোনো শত্রুতাও নেই। আমার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। গত ১৭ তারিখ (১৭ মে) তার সঙ্গে ভাঙ্গায় দেখা হয়েছে, সেখানে একটা টাকা দেওয়ার লেনদেনের কথা উঠেছে, যা আমি খবরে শুনেছি।’
মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, ‘আমার কথা হলো, এই টাকার জোগানদাতা কে? কেন তারা এটা করিয়েছে? আপনারা দেখেছেন, তাকে আটকের আগে থানায় তিনি জিডি করেছেন যে তার তিনটি ফোন হারিয়ে গেছে। একই দিনে একজন মানুষের তিনটি ফোন কীভাবে হারিয়ে যায়, সেটাও আমার প্রশ্ন। এগুলো কী পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে, সে তো আমার বাবার শত্রু নয়। এই কাজগুলো কে করাচ্ছে, সেটা আমি বারবার বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি নিয়ে গেছে। অবশ্যই তাদের কাছে সত্যিকারের কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে, সেটা আমি নিজেও জানি। সেই প্রমাণের সাপেক্ষেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ ‘আসলে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে যাতে আমার বাবার হত্যার বিচার করা হয়, আমি সেই দাবি জানিয়েছি। আমি শুনেছি, অনেক তদবির করা হচ্ছে। অনেক বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে, তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য।’ সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেটা আইনে আসবে, যেটা সত্য, সেটার বিচার হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপরাধীদের তিল পরিমাণ ছাড় দেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে কোনো চাপ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে কোনো চাপ বা তদবির নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।’ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনারের মেয়ে বাবা হত্যার বিচার চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। তদন্তে কেউ যাতে পার পেয়ে না যায় তিনি সেই অনুরোধ করেছেন। এই হত্যার তদন্তে কোনো তদবির বা চাপ নেই। কে চাপ দেবে? তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে সেভাবেই বিচার প্রক্রিয়া আগাবে।
মিন্টু সদুত্তর দিতে না পারলে গ্রেফতার: সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে। ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা (গ্রেফতার) নেবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গতকাল বুধবার (১২ জুন) বিকেলে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর কাছে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণের পরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুল করিম মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। মিন্টুর কাছে তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যদি মিন্টু সদুত্তর দিতে পারেন তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর যদি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারেন তবে তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করার তাই করা হবে।’ মিন্টুকে গ্রেফতার না দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে আসি। আমরা যখন কাউকে নিয়ে আসি অবশ্যই কিছু তথ্য-উপাত্ত থাকে। প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু অকপটে স্বীকার করেন যে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া ঘাতক শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন। শিমুল ভূঁইয়া গ্যাস বাবুকে এমপি আনার হত্যার পর ছবি দেখিয়েছেন।’ ১৬ তারিখেই (১৬ মে) যদি হত্যাকাণ্ডের তথ্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু জেনে থাকেন তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা কেন জানালেন না? এটিও অপরাধ। এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘হ্যাঁ এটি সঠিক। কেন তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয় গোপন করলেন এটিই জানতে চাওয়া হবে।’