ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

উখিয়ায় প্রস্তুত ২৫ হাজার কোরবানির পশু

  • আপডেট সময় : ১২:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা :ঈদ সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন খামারি ও স্থানীয়দের প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সৈয়দ হোসেন।
এবারের ঈদে উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০টি। সূত্র জানায়, ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশু প্রস্তুত ২৫ হাজার ৫০০টি। এরমধ্যে ১৬ হাজার ১৯টি গরু, মহিষ এক হাজার ৮০০টি এবং ছয় হাজার ৫০০টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু ঈদ বাজারে বিক্রি করা হবে। গেল বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে খামারিরা বেশ তৎপর ছিলেন। ফলে উখিয়ায় এবার পশুর সংকট নেই। উখিয়া ছয়তারা অ্যাগ্রো ফার্মের পরিচালক রেজাউল কবির জানান, অ্যাগ্রো ফার্মে একশ ২৮টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ খামারের সবচেয়ে বড় গরুটির মূল্য ৬ লাখ টাকা। গেল বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্যের দাম অনেকটা বেশি হওয়ায় পশু পালনে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান তিনি। রত্নাপালং ইউনিয়নের খামারি আলাউদ্দিন জানান, চলতি বছর কোরবানের সময় সরবরাহের জন্য ২৫টি গরু বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। এ খামারের সবগুলো দেশীয় জাতের গরু। এগুলো ওজন পরিমাপ করে বিক্রি করা হবে, যাতে ক্রেতার চাহিদা মেটানো যায়। তবে পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম বেশি রাখতে হবে বলে জানান তিনি। উখিয়া বাদশা অ্যাগ্রো ফার্মে দুই শতাধিক গরু ঈদ বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব গরুর চাহিদা অনুসারে গোখাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা দেখা শোনার জন্য তিনজন সেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এদের সবাইকে গরুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা নিয়মিত গরুর পরিচর্যা করছেন। উখিয়া বাজারের ইজারাদার আব্দুর রহিম জানান, ইতোমধ্যে উখিয়া বাজারের পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। এই বাজারে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ও রাত ১২টা নাগাদ গবাদিপশু বেচা-কেনা হয়। উখিয়ার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্তা আবুল কাশেম জানান, উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিটি গবাদিপশুর হাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সেবা প্রদান করবে। পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এবারও চাহিদার চেয়ে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা উপজেলার চাহিদা মেটাতে সক্ষম। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, প্রতিটি বাজারে সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ থাকবে। কোথাও গোলযোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পশু প্রবেশে নজরদারি রাখা হয়েছে। সীমান্ত চৌকিতে দায়িত্বরত বিজিবির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। খামারিরা যাতে ন্যায্য আয় করতে পারে সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, উখিয়াতে তিনটি স্থানীয় গরুর বাজার রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও কয়েকটি অস্থায়ী গরু বাজার বসার ব্যবস্থা করা হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২৬

উখিয়ায় প্রস্তুত ২৫ হাজার কোরবানির পশু

আপডেট সময় : ১২:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

কক্সবাজার সংবাদদাতা :ঈদ সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন খামারি ও স্থানীয়দের প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সৈয়দ হোসেন।
এবারের ঈদে উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০টি। সূত্র জানায়, ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশু প্রস্তুত ২৫ হাজার ৫০০টি। এরমধ্যে ১৬ হাজার ১৯টি গরু, মহিষ এক হাজার ৮০০টি এবং ছয় হাজার ৫০০টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু ঈদ বাজারে বিক্রি করা হবে। গেল বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে খামারিরা বেশ তৎপর ছিলেন। ফলে উখিয়ায় এবার পশুর সংকট নেই। উখিয়া ছয়তারা অ্যাগ্রো ফার্মের পরিচালক রেজাউল কবির জানান, অ্যাগ্রো ফার্মে একশ ২৮টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ খামারের সবচেয়ে বড় গরুটির মূল্য ৬ লাখ টাকা। গেল বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্যের দাম অনেকটা বেশি হওয়ায় পশু পালনে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান তিনি। রত্নাপালং ইউনিয়নের খামারি আলাউদ্দিন জানান, চলতি বছর কোরবানের সময় সরবরাহের জন্য ২৫টি গরু বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। এ খামারের সবগুলো দেশীয় জাতের গরু। এগুলো ওজন পরিমাপ করে বিক্রি করা হবে, যাতে ক্রেতার চাহিদা মেটানো যায়। তবে পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম বেশি রাখতে হবে বলে জানান তিনি। উখিয়া বাদশা অ্যাগ্রো ফার্মে দুই শতাধিক গরু ঈদ বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব গরুর চাহিদা অনুসারে গোখাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা দেখা শোনার জন্য তিনজন সেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এদের সবাইকে গরুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা নিয়মিত গরুর পরিচর্যা করছেন। উখিয়া বাজারের ইজারাদার আব্দুর রহিম জানান, ইতোমধ্যে উখিয়া বাজারের পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। এই বাজারে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ও রাত ১২টা নাগাদ গবাদিপশু বেচা-কেনা হয়। উখিয়ার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্তা আবুল কাশেম জানান, উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিটি গবাদিপশুর হাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সেবা প্রদান করবে। পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এবারও চাহিদার চেয়ে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা উপজেলার চাহিদা মেটাতে সক্ষম। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, প্রতিটি বাজারে সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ থাকবে। কোথাও গোলযোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পশু প্রবেশে নজরদারি রাখা হয়েছে। সীমান্ত চৌকিতে দায়িত্বরত বিজিবির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। খামারিরা যাতে ন্যায্য আয় করতে পারে সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, উখিয়াতে তিনটি স্থানীয় গরুর বাজার রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও কয়েকটি অস্থায়ী গরু বাজার বসার ব্যবস্থা করা হবে।