ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

মেটা বলছে, ফেসবুকের ভবিষ্যৎ ইয়াং অ্যাডাল্টস

  • আপডেট সময় : ১০:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০ বছর বয়সী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়ে ভাবনায় স্বাভাবিকভাবেই কিশোর বয়সী ব্যবহারকারীদের কথা খুব একটা মাথায় আসার কথা নয়। তবে, এটিই পরিবর্তন করতে চাইছে মালিক কোম্পানি মেটা।
মেটার ভাষায় “ইয়াং অ্যাডাল্টস” বা কিশোর শ্রেণির জনসংখ্যার ব্যবহারকারীদের ওপরভিত্তি করেই নিজেদের প্ল্যাটফর্মটি সাজাতে চায় তারা। সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি অন্য ব্যবহারকারীদের তুলনায় ‘ইয়াং অ্যাডাল্ট’ শ্রেণীর ওপরে বাড়তি নজর দেবে। বিষয়টি মেটার ফেইসবুক অ্যাপের প্রধান টম অ্যালিসন জানিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
“ফেসবুক এখনও সবার জন্য। তবে, পরবর্তী প্রজন্মের সোশাল মিডিয়া গ্রাহকদের জন্য, আমরা ইয়াং অ্যাডাল্টস শ্রেণীর ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে প্ল্যাটফর্মে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছি।” – লিখেছেন তিনি। বিষয়টি আগেও শুনেছেন মনে হতে পারে, এর কারণ, আরেক সোশাল প্ল্যাটফর্ম টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য অনেক বছর ধরেই ‘ইয়াং অ্যাডাল্ট’দের নিয়ে কাজ করার কথা বলছেন মেটার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মার্ক জাকারবার্গ তিন বছর আগেই বলেছিলেন, তিনি এ শ্রেণির ব্যবহারকারীদের কোম্পানির “নর্থ স্টার” বা দিকনির্দেশক বানাতে চান। এ পরিবর্তন এখন পুরোদমে চলছে। কোম্পানির এআই অগ্রগতি এরইমধ্যে ‘রিলস’ ও ‘ফেসবুক ফিড’-এর রিকমেন্ডেশন বা সুপারিশ উন্নত করেছে বলে জানিয়েছেন অ্যালিসন। এ ছাড়া, আগামী বছর উন্নত রেকমেন্ডেশন প্রযুক্তি আরও পণ্যকে শক্তিশালী করবে বলে যোগ করেন তিনি। তবে, অ্যালিসনের নোটে “মেটাভার্স” কথাটির কোনো উল্লেখ ছিলনা বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। মেটাভার্সকে জাকারবার্গও কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বড় অংশ হিসেবে দেখছিলেন। এর পরিবর্তে কম বয়সী ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি এআইয়ের মাধ্যমে নতুন পণ্যের সক্ষমতা বাড়ানোই তাদের উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন অ্যালিসন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। সম্প্রতি কোম্পানির মেটাভার্স বিষয়ক পরিকল্পনাকে এআইয়ের অগ্রগতি হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করেছে মেটা ও জাকারবার্গ। ইয়াং অ্যাডাল্ট ব্যবহারকারীদের জয় করার বিষয়ে মেটা কতটা সফল হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও অ্যালিসন বলেছেন, চার কোটি দৈনিক সক্রিয় তরুণ ব্যবহারকারী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ইয়াং অ্যাডাল্টদের ফেইসবুক ব্যবহার ১২৫ শতাংশ বেড়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেটা বলছে, ফেসবুকের ভবিষ্যৎ ইয়াং অ্যাডাল্টস

আপডেট সময় : ১০:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০ বছর বয়সী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়ে ভাবনায় স্বাভাবিকভাবেই কিশোর বয়সী ব্যবহারকারীদের কথা খুব একটা মাথায় আসার কথা নয়। তবে, এটিই পরিবর্তন করতে চাইছে মালিক কোম্পানি মেটা।
মেটার ভাষায় “ইয়াং অ্যাডাল্টস” বা কিশোর শ্রেণির জনসংখ্যার ব্যবহারকারীদের ওপরভিত্তি করেই নিজেদের প্ল্যাটফর্মটি সাজাতে চায় তারা। সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি অন্য ব্যবহারকারীদের তুলনায় ‘ইয়াং অ্যাডাল্ট’ শ্রেণীর ওপরে বাড়তি নজর দেবে। বিষয়টি মেটার ফেইসবুক অ্যাপের প্রধান টম অ্যালিসন জানিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
“ফেসবুক এখনও সবার জন্য। তবে, পরবর্তী প্রজন্মের সোশাল মিডিয়া গ্রাহকদের জন্য, আমরা ইয়াং অ্যাডাল্টস শ্রেণীর ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে প্ল্যাটফর্মে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছি।” – লিখেছেন তিনি। বিষয়টি আগেও শুনেছেন মনে হতে পারে, এর কারণ, আরেক সোশাল প্ল্যাটফর্ম টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য অনেক বছর ধরেই ‘ইয়াং অ্যাডাল্ট’দের নিয়ে কাজ করার কথা বলছেন মেটার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মার্ক জাকারবার্গ তিন বছর আগেই বলেছিলেন, তিনি এ শ্রেণির ব্যবহারকারীদের কোম্পানির “নর্থ স্টার” বা দিকনির্দেশক বানাতে চান। এ পরিবর্তন এখন পুরোদমে চলছে। কোম্পানির এআই অগ্রগতি এরইমধ্যে ‘রিলস’ ও ‘ফেসবুক ফিড’-এর রিকমেন্ডেশন বা সুপারিশ উন্নত করেছে বলে জানিয়েছেন অ্যালিসন। এ ছাড়া, আগামী বছর উন্নত রেকমেন্ডেশন প্রযুক্তি আরও পণ্যকে শক্তিশালী করবে বলে যোগ করেন তিনি। তবে, অ্যালিসনের নোটে “মেটাভার্স” কথাটির কোনো উল্লেখ ছিলনা বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। মেটাভার্সকে জাকারবার্গও কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বড় অংশ হিসেবে দেখছিলেন। এর পরিবর্তে কম বয়সী ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি এআইয়ের মাধ্যমে নতুন পণ্যের সক্ষমতা বাড়ানোই তাদের উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন অ্যালিসন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। সম্প্রতি কোম্পানির মেটাভার্স বিষয়ক পরিকল্পনাকে এআইয়ের অগ্রগতি হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করেছে মেটা ও জাকারবার্গ। ইয়াং অ্যাডাল্ট ব্যবহারকারীদের জয় করার বিষয়ে মেটা কতটা সফল হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও অ্যালিসন বলেছেন, চার কোটি দৈনিক সক্রিয় তরুণ ব্যবহারকারী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ইয়াং অ্যাডাল্টদের ফেইসবুক ব্যবহার ১২৫ শতাংশ বেড়েছে।