আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর থেকে এক সপ্তাহে ১৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৪ থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে তাদের সরানো হয়। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এই তথ্য জানিয়েছে।
গত শনিবার পেন্টাগনের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মার্কিন বাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম টেলর জানান, গত সপ্তাহে সরিয়ে নেওয়া ১৭ হাজার জনের মধ্যে আড়াই হাজার আমেরিকান ছিলেন। আর জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে মোট ২২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, তার কাছে এমন কোনও ‘নিখুঁত পরিসংখ্যান’ নেই যা থেকে বোঝা যায় ঠিক কতজন আমেরিকান বর্তমানে কাবুল ও আফগানিস্তানের অন্যান্য অংশে রয়েছে।
গত শুক্রবার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, মোট সংখ্যাটি নির্ভর করছে বেশ কিছু বিষয়ের ওপর। পররাষ্ট্র দফতর এমন সব মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে, যারা ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একইসঙ্গে সেসব আফগানদেরও সহায়তা করা হবে, যারা মার্কিন সহায়তা চাইছে। যতদিন, যত মানুষের জন্য যতটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করে যাবো সাহায্য করতে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির বিষয়ে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যতক্ষণ না সব আমেরিকান নাগরিক যারা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে চায় এবং সেইসব আফগান নাগরিক যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংঘাতের সময়গুলোতে মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে তাদের সরিয়ে নেওয়া না হচ্ছে ততক্ষণ দেশটিতে মার্কিন উপস্থিতি অব্যাহত থাকবে।
হোয়াইট হাউসে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে সঙ্গে নিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘যেকোনও আমেরিকান যে দেশে আসতে চায়, আমরা তাকে ফিরিয়ে আনবো। ভুল বুঝবেন না, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ঝুঁকি রয়েছে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে এটি পরিচালিত হচ্ছে।’ সূত্র: ভিওএ।