ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ গাছের ‘সঙ্গী খুঁজছে’ এআই

  • আপডেট সময় : ১১:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিপন্ন এক পুরুষ গাছের জন্য নারী সঙ্গী খোঁজার মিশনে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটনের করা এ গবেষণা প্রকল্পে দক্ষিণ আফ্রিকার হাজার হাজার একর বনভূমিতে অভিযান চালানো হচ্ছে, যেখানে বিশ্বের একমাত্র ‘এনসেফালার্টোস উডি’ নামের গাছটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
বিবিসি বলছে, এ প্রজাতির সকল সদস্য আসলে বিশ্বের একমাত্র পরিচিত ‘ই. উডি’ গাছের পুরুষ ক্লোন। আর এটি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন করে জন্মাতেও পারে না। এর আদিম প্রজাতি ডাইনোসর যুগেরও আগের সময়ের। ধারণা করা হয়, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন প্রাণগুলোর একটি।
এদিকে, নারী ই. উডি’র খোঁজে এই প্রথম কোনো প্রকল্পে ড্রোন ও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটন-এর রিসার্চ ফেলো ড. লরা সিনটি। তিনি বলেন, “আমি ই.উডি’র গল্প শুনে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম, অনেকটা অনুপস্থিত প্রেমের ক্লাসিক গল্পের মতো।”
“আমি আশাবাদী, কোথাও না কোথাও এ প্রজাতির একটি নারী গাছ আছে। আর বিলুপ্তির এত কাছাকাছি থাকা একটি গাছের প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন করে বংশ বিস্তারের বিষয়টিও খুবই রোমাঞ্চকর হবে।”
বিশ্বের একমাত্র পরিচিত ই. উডি গাছটির সন্ধান মিলেছিল ১৮৯৫ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এনগোয়ে ফরেস্ট’ অঞ্চলে। তবে যেহেতু এর শুধু পুরুষ প্রজাতিই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, তাই যেসব নমুনার খোঁজ মিলেছে, সেগুলো সবই আসলে পুরুষ ক্লোন। এর মানে, গাছটি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন করে জন্মানোর আর পথ নেই। এর নারী সঙ্গী শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন ইমেজিং প্রযুক্তি, যা বনের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। আর তা বিশ্লেষণ করবে এআই। এ পরীক্ষা চালানো বনাঞ্চলটির আয়তন ১০ হাজার একর, এখন পর্যন্ত যার কেবল দুই শতাংশই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।
“এআইয়ের সহায়তায়, আমরা একটি ইমেজ রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করছি যাতে গাছগুলোকে এদের আকারের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়,” বলেছেন ড. সিনটি। “এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে আমরা বিভিন্ন গাছের ছবি বানিয়ে সেগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বসিয়ে দেখেছি।”
এর আগে কখনোই বন নিয়ে এমন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়নি, তাও কোনো নারী গাছের সম্ভাব্য অস্তিত্ব খুঁজে পেতে। গাছটি এখনও বড় হচ্ছে, যা বসানো হয়েছে লন্ডনের ‘রয়্যাল বোটানিকাল গার্ডেনস’-এ। একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে একাকী গাছ’ বলে ব্যাখ্যা করছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ গাছের ‘সঙ্গী খুঁজছে’ এআই

আপডেট সময় : ১১:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিপন্ন এক পুরুষ গাছের জন্য নারী সঙ্গী খোঁজার মিশনে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটনের করা এ গবেষণা প্রকল্পে দক্ষিণ আফ্রিকার হাজার হাজার একর বনভূমিতে অভিযান চালানো হচ্ছে, যেখানে বিশ্বের একমাত্র ‘এনসেফালার্টোস উডি’ নামের গাছটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
বিবিসি বলছে, এ প্রজাতির সকল সদস্য আসলে বিশ্বের একমাত্র পরিচিত ‘ই. উডি’ গাছের পুরুষ ক্লোন। আর এটি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন করে জন্মাতেও পারে না। এর আদিম প্রজাতি ডাইনোসর যুগেরও আগের সময়ের। ধারণা করা হয়, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন প্রাণগুলোর একটি।
এদিকে, নারী ই. উডি’র খোঁজে এই প্রথম কোনো প্রকল্পে ড্রোন ও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটন-এর রিসার্চ ফেলো ড. লরা সিনটি। তিনি বলেন, “আমি ই.উডি’র গল্প শুনে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম, অনেকটা অনুপস্থিত প্রেমের ক্লাসিক গল্পের মতো।”
“আমি আশাবাদী, কোথাও না কোথাও এ প্রজাতির একটি নারী গাছ আছে। আর বিলুপ্তির এত কাছাকাছি থাকা একটি গাছের প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন করে বংশ বিস্তারের বিষয়টিও খুবই রোমাঞ্চকর হবে।”
বিশ্বের একমাত্র পরিচিত ই. উডি গাছটির সন্ধান মিলেছিল ১৮৯৫ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এনগোয়ে ফরেস্ট’ অঞ্চলে। তবে যেহেতু এর শুধু পুরুষ প্রজাতিই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, তাই যেসব নমুনার খোঁজ মিলেছে, সেগুলো সবই আসলে পুরুষ ক্লোন। এর মানে, গাছটি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন করে জন্মানোর আর পথ নেই। এর নারী সঙ্গী শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন ইমেজিং প্রযুক্তি, যা বনের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। আর তা বিশ্লেষণ করবে এআই। এ পরীক্ষা চালানো বনাঞ্চলটির আয়তন ১০ হাজার একর, এখন পর্যন্ত যার কেবল দুই শতাংশই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।
“এআইয়ের সহায়তায়, আমরা একটি ইমেজ রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করছি যাতে গাছগুলোকে এদের আকারের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়,” বলেছেন ড. সিনটি। “এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে আমরা বিভিন্ন গাছের ছবি বানিয়ে সেগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বসিয়ে দেখেছি।”
এর আগে কখনোই বন নিয়ে এমন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়নি, তাও কোনো নারী গাছের সম্ভাব্য অস্তিত্ব খুঁজে পেতে। গাছটি এখনও বড় হচ্ছে, যা বসানো হয়েছে লন্ডনের ‘রয়্যাল বোটানিকাল গার্ডেনস’-এ। একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে একাকী গাছ’ বলে ব্যাখ্যা করছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।