ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

গলার স্বর ভেঙে যাওয়া যে রোগের লক্ষণ

  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: স্বরনালির মসৃণতা নষ্ট হয়ে গলার স্বর নষ্ট হয়ে যায়। যাকে আমরা বলি গলার স্বর ভেঙে যাওয়া। যারা গলার স্বর অত্যাধিক পরিমাণে ব্যবহার করেন তাদের গলার স্বর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া যারা অতি-উচ্চস্বরে কথা বলেন তাদের গলার স্বর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। যেমন— বক্তা, কন্ডাকটর, গায়ক, শিক্ষক, উচ্চ স্বরে পড়ে এমন শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। গলার স্বর পরিবর্তনের একটি বড় কারণও রয়েছে। অধ্যাপক ডাক্তার মো. জাকারিয়া সরকার জানিয়েছেন, কারও যদি ভোকাল কর্ডে কোনো ধরনের অসুখ হয় তাহলে গলার স্বর পরিবর্তন হতে পারে। যেমন— ভোকাল কর্ড পলিব, ভোকাল কর্ড নডিউল, ভোকাল কর্ডের কোনো ইনফেকশন। এই রোগের সব থেকে বেশি ভয়াবহ যে কারণটি রয়েছে সেটি হচ্ছে স্বরনালি ক্যানসার। যারা অধিকমাত্রায় ধুমপান করেন তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
গলার স্বরের যত্ন নিতে হবে। কথা বলার সময় বার বার গলাটাকে ভেজাতে হবে। বার বার পানি পান করতে হবে। এতেও সমস্যার সমাধান না হলে ডাক্তারের পরামর্শে সিম্পল কিছু মেডিকেশনের মাধ্যমে গলার স্বরের যত্ন নিশ্চিত করতে হবে। যারা প্রফেশনালি গলার স্বর অতিমাত্রায় ব্যবহার করে থাকেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গলার স্বরকে নমনীয় করতে পারেন। স্মোকার বা বয়ষ্ক ব্যক্তির গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে গেলে অবেহলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, স্বরনালিতে ক্যানসার হলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা গ্রহণ করলে ভালো হয়ে যায়। এই রোগ প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করে গেলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গলার স্বর ভেঙে যাওয়া যে রোগের লক্ষণ

আপডেট সময় : ১০:৪৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: স্বরনালির মসৃণতা নষ্ট হয়ে গলার স্বর নষ্ট হয়ে যায়। যাকে আমরা বলি গলার স্বর ভেঙে যাওয়া। যারা গলার স্বর অত্যাধিক পরিমাণে ব্যবহার করেন তাদের গলার স্বর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া যারা অতি-উচ্চস্বরে কথা বলেন তাদের গলার স্বর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। যেমন— বক্তা, কন্ডাকটর, গায়ক, শিক্ষক, উচ্চ স্বরে পড়ে এমন শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। গলার স্বর পরিবর্তনের একটি বড় কারণও রয়েছে। অধ্যাপক ডাক্তার মো. জাকারিয়া সরকার জানিয়েছেন, কারও যদি ভোকাল কর্ডে কোনো ধরনের অসুখ হয় তাহলে গলার স্বর পরিবর্তন হতে পারে। যেমন— ভোকাল কর্ড পলিব, ভোকাল কর্ড নডিউল, ভোকাল কর্ডের কোনো ইনফেকশন। এই রোগের সব থেকে বেশি ভয়াবহ যে কারণটি রয়েছে সেটি হচ্ছে স্বরনালি ক্যানসার। যারা অধিকমাত্রায় ধুমপান করেন তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
গলার স্বরের যত্ন নিতে হবে। কথা বলার সময় বার বার গলাটাকে ভেজাতে হবে। বার বার পানি পান করতে হবে। এতেও সমস্যার সমাধান না হলে ডাক্তারের পরামর্শে সিম্পল কিছু মেডিকেশনের মাধ্যমে গলার স্বরের যত্ন নিশ্চিত করতে হবে। যারা প্রফেশনালি গলার স্বর অতিমাত্রায় ব্যবহার করে থাকেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গলার স্বরকে নমনীয় করতে পারেন। স্মোকার বা বয়ষ্ক ব্যক্তির গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে গেলে অবেহলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, স্বরনালিতে ক্যানসার হলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা গ্রহণ করলে ভালো হয়ে যায়। এই রোগ প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করে গেলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।