ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

চাকরির নামে মানবপাচার, র‌্যাবের অভিযানে আটক ৪

  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা ও গাজীপুর সদর এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৩। তারা ফিজি, ইতালি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ নানা দেশে উচ্চ বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতেন। পরে তাদের ইন্ডিয়া, নেপাল পাঠিয়ে পাসপোর্ট আটকে আদায় করতেন লাখ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকালে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বীণা রানী দাস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার কদমতলী গ্রামের মো. আলমগীর, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার ভাংবাড়ীয়া হাটবোয়ালিয়া গ্রামের মো. মামুনুর রশিদ, মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার নওপাড়া গ্রামের মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান এবং নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বড় মির্জাপুর গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব-৩ এর দল বুধবার দিবাগত রাত একটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর ভাটারা ও গাজীপুর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, আটককৃতরা ফিজি, ইতালি,কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকৈ পাসপোর্ট জমা নিতেন। এরপর ভিসা প্রসেস, মেডিকেল, ওয়ার্ক পারমিট, বিমানের টিকিট এর অজুহাতে ধাপে ধাপে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। পরে ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট এবং মেডিকেল ভিসায় ভারতের দিল্লি, বোম্বে ও নেপাল নিয়ে যেতেন। সেখানে ফ্লাইট দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট জমা নিয়ে আবার টাকা আদায় করতেন। ভুক্তভোগীরা বিরক্ত হয়ে দেশে ফিরতে চাইলে দুই থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করতেন। ভুক্তভোগীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ভারতীয় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন তারা। তখন তারা বাংলাদেশ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ওভার স্টে ফি পরিশোধ করে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসেন। দেশে এসে ভুক্তভোগীরা ক্ষতিপূরণ চাইলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, তারা ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বেকার ব্যক্তিদের উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে ভুয়া ডিমান্ড লেটার, ওয়ার্ক পারমিট দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জন করে টাকা অর্থ আদায় করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তারা ধাপে ধাপে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করতেন। প্রায় চার শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
আটক মো. আলমগীরের বিরুদ্ধে ডিএমপি ভাটারা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও আটককৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাকরির নামে মানবপাচার, র‌্যাবের অভিযানে আটক ৪

আপডেট সময় : ০২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা ও গাজীপুর সদর এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৩। তারা ফিজি, ইতালি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ নানা দেশে উচ্চ বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতেন। পরে তাদের ইন্ডিয়া, নেপাল পাঠিয়ে পাসপোর্ট আটকে আদায় করতেন লাখ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকালে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বীণা রানী দাস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার কদমতলী গ্রামের মো. আলমগীর, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার ভাংবাড়ীয়া হাটবোয়ালিয়া গ্রামের মো. মামুনুর রশিদ, মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার নওপাড়া গ্রামের মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান এবং নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বড় মির্জাপুর গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব-৩ এর দল বুধবার দিবাগত রাত একটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর ভাটারা ও গাজীপুর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, আটককৃতরা ফিজি, ইতালি,কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকৈ পাসপোর্ট জমা নিতেন। এরপর ভিসা প্রসেস, মেডিকেল, ওয়ার্ক পারমিট, বিমানের টিকিট এর অজুহাতে ধাপে ধাপে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। পরে ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট এবং মেডিকেল ভিসায় ভারতের দিল্লি, বোম্বে ও নেপাল নিয়ে যেতেন। সেখানে ফ্লাইট দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট জমা নিয়ে আবার টাকা আদায় করতেন। ভুক্তভোগীরা বিরক্ত হয়ে দেশে ফিরতে চাইলে দুই থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করতেন। ভুক্তভোগীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ভারতীয় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন তারা। তখন তারা বাংলাদেশ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ওভার স্টে ফি পরিশোধ করে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসেন। দেশে এসে ভুক্তভোগীরা ক্ষতিপূরণ চাইলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, তারা ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বেকার ব্যক্তিদের উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে ভুয়া ডিমান্ড লেটার, ওয়ার্ক পারমিট দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জন করে টাকা অর্থ আদায় করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তারা ধাপে ধাপে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করতেন। প্রায় চার শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
আটক মো. আলমগীরের বিরুদ্ধে ডিএমপি ভাটারা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও আটককৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।