ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িতে বুধবার আধাবেলা অবরোধের ডাক

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা : রাঙ্গামাটিতে আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত চার সংগঠন। গতকাল সোমবার বিকেলে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ অবরোধের ডাক দেয়। এদিন বিকেল ৩টায় ইউপিডিএফ সমর্থিত চারটি সংগঠন সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ধর্মঘর এলাকায় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (সিএইচটি) রেগুলেশন ১৯০০ বাতিল, রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারহরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এদিকে, ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার সই করা এক বিবৃতিতে বুধবার খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির বিষয়টি জানানো হয়। সোমবার বিকেলে রাঙ্গামাটির সমাবেশে পিসিপির রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি তনুময় চাকমার সভাপতিত্বে ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি রিমি চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য দেন- গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ধর্মসিং চাকমা, স্থানীয় কার্বারি (গ্রামপ্রধান) শ্যামল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিএইচটি রেগুলেশন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের রক্ষাকবচ। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ তথা স্থায়ী বাসিন্দারা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও প্রথাগত অধিকার ভোগ করে আসছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারকে সুরক্ষা না দিয়ে উল্টো আদালতের মাধ্যমে আইনটি বাতিল বা অকার্যকর করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আইনটি না থাকলে রাজা হেডম্যান, কার্বারির পদবিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে, তাদের আর কোনো ক্ষমতা থাকবে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এ ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না, তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সমাবেশে কুতুকছড়ির আশপাশের গ্রামের প্রায় হাজারো গ্রামবাসী, প্রথাগত কার্বারি ও ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে, একটি বিক্ষোভ মিছিল রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ধর্মঘর এলাকায় গিয়ে সমাবেশে জড়ো হয়। প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ মে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (সিএইচটি) রেগুলেশন ১৯০০ আইন বাতিলে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িতে বুধবার আধাবেলা অবরোধের ডাক

আপডেট সময় : ০১:০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা : রাঙ্গামাটিতে আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত চার সংগঠন। গতকাল সোমবার বিকেলে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ অবরোধের ডাক দেয়। এদিন বিকেল ৩টায় ইউপিডিএফ সমর্থিত চারটি সংগঠন সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ধর্মঘর এলাকায় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (সিএইচটি) রেগুলেশন ১৯০০ বাতিল, রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারহরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এদিকে, ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার সই করা এক বিবৃতিতে বুধবার খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির বিষয়টি জানানো হয়। সোমবার বিকেলে রাঙ্গামাটির সমাবেশে পিসিপির রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি তনুময় চাকমার সভাপতিত্বে ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি রিমি চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য দেন- গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ধর্মসিং চাকমা, স্থানীয় কার্বারি (গ্রামপ্রধান) শ্যামল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিএইচটি রেগুলেশন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের রক্ষাকবচ। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ তথা স্থায়ী বাসিন্দারা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও প্রথাগত অধিকার ভোগ করে আসছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারকে সুরক্ষা না দিয়ে উল্টো আদালতের মাধ্যমে আইনটি বাতিল বা অকার্যকর করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আইনটি না থাকলে রাজা হেডম্যান, কার্বারির পদবিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে, তাদের আর কোনো ক্ষমতা থাকবে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এ ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না, তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সমাবেশে কুতুকছড়ির আশপাশের গ্রামের প্রায় হাজারো গ্রামবাসী, প্রথাগত কার্বারি ও ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে, একটি বিক্ষোভ মিছিল রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ধর্মঘর এলাকায় গিয়ে সমাবেশে জড়ো হয়। প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ মে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (সিএইচটি) রেগুলেশন ১৯০০ আইন বাতিলে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।