ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সুখ তুমি কী-বড় জানতে ইচ্ছে করে

  • আপডেট সময় : ১১:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

১. কৃতজ্ঞ থাকুন: আধুনিক জীবনে তাড়াহুড়োতে জড়িয়ে পড়া এবং ছোট ছোট জিনিসের প্রশংসা করতে ভুলে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কৃতজ্ঞ থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। এতে আপনার জীবনের ছোট ছোট ঘটনাও আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে। অন্যের যেকোনো কাজ কিংবা প্রচেষ্টায় যখন আপনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন তখন তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক সুন্দর হয়ে উঠবে। কৃতজ্ঞতা আপনাকে পরিতৃপ্ত করবে।
২. নিজের যত্ন নিন: নিজের যত্ন নেওয়া কোনো বিলাসিতা নয়; এটি একটি সুখী জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামগ্রিক সুখ বজায় রাখার জন্য আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের জন্য কিছুটা হলেও সময় রাখুন। নিজের সৃজনশীল কাজগুলোর দিকে মনোনিবেশ করুন। শখের কাজগুলো করার চেষ্টা করুন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটান।
৩. ইতিবাচক সম্পর্ক লালন করুন: নিজের চারপাশে ইতিবাচক এবং সহায়ক ব্যক্তিদের রাখুন। তারা আপনার সুখকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সমমনা ব্যক্তিদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলুন। যারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে তাদের আশেপাশে থাকুন। আনন্দের মুহূর্তগুলো তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। কঠিন সময়েও তাদের পাশে থাকুন। পারস্পারিক এই সমর্থনই আপনাদের সুখী মানুষ হতে সাহায্য করবে।
৪. ভুলে যেতে শিখুন: ক্ষোভ, অতীতের ভুল বা নেতিবাচক আবেগ ধরে রাখলে তা আপনাকে ভারাক্রান্ত করতে পারে এবং আপনার সুখকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। নিজেকে এবং অন্যদেরকে ক্ষমা করতে শিখুন। এটি আপনাকে অপ্রয়োজনীয় বোঝা বয়ে বেড়ানো থেকে মুক্তি দেবে। আপনি জীবনে আরও ইতিবাচকতা এবং সমৃদ্ধির জন্য জায়গা তৈরি করতে পারবেন।
৫. উপকারী হোন: অন্যদের সাহায্য করা এবং দয়ালু স্বভাব আপনাকে সুখী করতে সাহায্য করবে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেত পারেন। কিন্তু যে কারও প্রতি বাড়িয়ে দিতে পারেন সাহায্যের হাত। কেউ আপনার কাছে সাহায্যপ্রার্থী হলে তাকে ফিরিয়ে না দিয়ে বরং তার জন্য যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করুন। এতে তাদের তো উপকার হবেই সেইসঙ্গে তা আপনার সুখ এবং পরিপূর্ণতার অনুভূতিকেও বাড়িয়ে তুলবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সুখ তুমি কী-বড় জানতে ইচ্ছে করে

আপডেট সময় : ১১:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

১. কৃতজ্ঞ থাকুন: আধুনিক জীবনে তাড়াহুড়োতে জড়িয়ে পড়া এবং ছোট ছোট জিনিসের প্রশংসা করতে ভুলে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কৃতজ্ঞ থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। এতে আপনার জীবনের ছোট ছোট ঘটনাও আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে। অন্যের যেকোনো কাজ কিংবা প্রচেষ্টায় যখন আপনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন তখন তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক সুন্দর হয়ে উঠবে। কৃতজ্ঞতা আপনাকে পরিতৃপ্ত করবে।
২. নিজের যত্ন নিন: নিজের যত্ন নেওয়া কোনো বিলাসিতা নয়; এটি একটি সুখী জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামগ্রিক সুখ বজায় রাখার জন্য আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের জন্য কিছুটা হলেও সময় রাখুন। নিজের সৃজনশীল কাজগুলোর দিকে মনোনিবেশ করুন। শখের কাজগুলো করার চেষ্টা করুন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটান।
৩. ইতিবাচক সম্পর্ক লালন করুন: নিজের চারপাশে ইতিবাচক এবং সহায়ক ব্যক্তিদের রাখুন। তারা আপনার সুখকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সমমনা ব্যক্তিদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলুন। যারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে তাদের আশেপাশে থাকুন। আনন্দের মুহূর্তগুলো তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। কঠিন সময়েও তাদের পাশে থাকুন। পারস্পারিক এই সমর্থনই আপনাদের সুখী মানুষ হতে সাহায্য করবে।
৪. ভুলে যেতে শিখুন: ক্ষোভ, অতীতের ভুল বা নেতিবাচক আবেগ ধরে রাখলে তা আপনাকে ভারাক্রান্ত করতে পারে এবং আপনার সুখকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। নিজেকে এবং অন্যদেরকে ক্ষমা করতে শিখুন। এটি আপনাকে অপ্রয়োজনীয় বোঝা বয়ে বেড়ানো থেকে মুক্তি দেবে। আপনি জীবনে আরও ইতিবাচকতা এবং সমৃদ্ধির জন্য জায়গা তৈরি করতে পারবেন।
৫. উপকারী হোন: অন্যদের সাহায্য করা এবং দয়ালু স্বভাব আপনাকে সুখী করতে সাহায্য করবে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেত পারেন। কিন্তু যে কারও প্রতি বাড়িয়ে দিতে পারেন সাহায্যের হাত। কেউ আপনার কাছে সাহায্যপ্রার্থী হলে তাকে ফিরিয়ে না দিয়ে বরং তার জন্য যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করুন। এতে তাদের তো উপকার হবেই সেইসঙ্গে তা আপনার সুখ এবং পরিপূর্ণতার অনুভূতিকেও বাড়িয়ে তুলবে।