ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের ‘অলিখিত নিষেধাজ্ঞাকে’ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর বলে মনে করে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ।
গতকাল মঙ্গলবার নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ ও সম্পাদক পরিষদ সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম এই যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন। বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশ দ্রæততার সঙ্গে নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছেন না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সাংবাদিকদের অস্থায়ী পাস ইস্যু বন্ধ রাখা হয়েছে। অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ জানিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে উলেøখ করা হয় বিবৃতিতে। তিনি বলেছেন, ‘এখন থেকে সাংবাদিকেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সে ক্ষেত্রে শুধু সেই কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যাবে। তবে আগের মতো সাংবাদিকেরা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুখপাত্রের বক্তব্যে উলেøখিত এ পদক্ষেপ সাংবাদিক প্রবেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞারই বহিঃপ্রকাশ বলে উলেøখ করা হয় নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যাংক ও আর্থিক খাত তথা দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা জানার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হবে। প্রকারান্তরে এটি এ খাত নিয়ে জনমনের অনাস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। একই সঙ্গে তা ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে। বিবৃতিতে বলা হয়, যেকোনো দেশের অর্থনীতি ও গণমানুষের আস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ব্যাংক খাত বিনির্মাণ এবং এ খাতের ওপর জনগণের আস্থাকে সুদৃঢ় করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছর সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জনসাধারণের তথ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে জবাবদিহি নিশ্চিতে ভ‚মিকা রেখে এসেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ÿুব্ধ সাংবাদিকেরা ২৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন। বিষয়টি সমাধানে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উলøাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতেও কোনো সমাধান হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গত শুক্র ও শনিবার সাংবাদিকদের চারটি সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ডিইউজের অপর অংশ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হবে ১৫ অক্টোবর

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর

আপডেট সময় : ০২:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের ‘অলিখিত নিষেধাজ্ঞাকে’ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর বলে মনে করে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ।
গতকাল মঙ্গলবার নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ ও সম্পাদক পরিষদ সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম এই যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন। বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশ দ্রæততার সঙ্গে নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছেন না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সাংবাদিকদের অস্থায়ী পাস ইস্যু বন্ধ রাখা হয়েছে। অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ জানিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে উলেøখ করা হয় বিবৃতিতে। তিনি বলেছেন, ‘এখন থেকে সাংবাদিকেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সে ক্ষেত্রে শুধু সেই কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যাবে। তবে আগের মতো সাংবাদিকেরা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুখপাত্রের বক্তব্যে উলেøখিত এ পদক্ষেপ সাংবাদিক প্রবেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞারই বহিঃপ্রকাশ বলে উলেøখ করা হয় নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যাংক ও আর্থিক খাত তথা দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা জানার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হবে। প্রকারান্তরে এটি এ খাত নিয়ে জনমনের অনাস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। একই সঙ্গে তা ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে। বিবৃতিতে বলা হয়, যেকোনো দেশের অর্থনীতি ও গণমানুষের আস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ব্যাংক খাত বিনির্মাণ এবং এ খাতের ওপর জনগণের আস্থাকে সুদৃঢ় করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছর সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জনসাধারণের তথ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে জবাবদিহি নিশ্চিতে ভ‚মিকা রেখে এসেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ÿুব্ধ সাংবাদিকেরা ২৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন। বিষয়টি সমাধানে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উলøাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতেও কোনো সমাধান হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গত শুক্র ও শনিবার সাংবাদিকদের চারটি সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ডিইউজের অপর অংশ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।