ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

প্রকাশ্যে ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম

  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ সংবাদদাতা : নওগাঁয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার মধ্য দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামে এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, মোশারফ হোসেন শান্ত নামে এক যুবক ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেয় শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুতর জখম বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যায় সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারধর করে শান্তর অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটি ঘটে ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বাসস্ট্যান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামে একটি মুদিখানার দোকানীকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারধর শুরু করেন শান্ত ও তাঁর অনুসারীরা। পুরো এ ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহূর্তে বাধা দিতে গেলে সাজ্জাদের ওপর চড়াও হয় শান্ত ও তাঁর অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তাঁরা শুরু করে অস্ত্রের মহড়া। হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের ওপর। নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর মামলার প্রধান আসামি শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজ্জাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রকাশ্যে ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় : ১২:৩৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

নওগাঁ সংবাদদাতা : নওগাঁয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার মধ্য দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামে এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, মোশারফ হোসেন শান্ত নামে এক যুবক ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেয় শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুতর জখম বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যায় সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারধর করে শান্তর অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটি ঘটে ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বাসস্ট্যান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামে একটি মুদিখানার দোকানীকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারধর শুরু করেন শান্ত ও তাঁর অনুসারীরা। পুরো এ ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহূর্তে বাধা দিতে গেলে সাজ্জাদের ওপর চড়াও হয় শান্ত ও তাঁর অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তাঁরা শুরু করে অস্ত্রের মহড়া। হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের ওপর। নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর মামলার প্রধান আসামি শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজ্জাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।