ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোদি-শাহের জনপ্রিয়তায় ধস, সমর্থন বেড়েছে রাহুল-মমতার

  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নেমেছে। গত এক বছরে তার প্রতি সমর্থন কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অপরদিকে রাহুল গান্ধী ও মমতা ব্যানার্জির জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৬৬ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির বিকল্প কাউকে পাননি। ২০২১ এর আগস্টে তা কমে ২৪ শতাংশে এসে ঠেকেছে। পরবর্তী পছন্দের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। তার সঙ্গে চতুর্থস্থানে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।গত বছর যথাক্রমে সপ্তম ও ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন তারা।
‘মুড অব দ্য নেশন’ নামে প্রত্যেক বছর জানুয়ারি এবং আগস্ট মাসে সমীক্ষা চালায় ইন্ডিয়া টুডে। তাতে দেশের রাজনীতিকদের নিয়ে সাধারণ মানুষদের মতামত তুলে ধরে তারা। চলতি মাসে যে সমীক্ষা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে পছন্দ দেশের ২৪ শতাংশ মানুষের।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না, সে নিয়ে জল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই। তিনি তালিকায় রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। হাথরস থেকে কৃষক বিক্ষোভ, পেগাসাস থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লাগাতার সরকারের বিরোধিতার ফল পেয়েছেন রাহুল। গত বছর তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন ৮ শতাংশ। এ বছর জানুয়ারিতে তা কমে ৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ভূমিধস জয় মমতাকেও প্রথম পাঁচে তুলে এনেছে। বিধানসভা ভোটপর্ব মেটার পর থেকেই দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। গত বছর মাত্র ২ শতাংশ মানুষ তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৪ শতাংশ। আগস্টে সেই সংখ্যাটা ৮ শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যেই দিল্লিতে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কেজরিওয়ালের প্রতিও সমর্থন বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর ৩ শতাংশ মানুষ তাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৫ শতাংশ। আগস্টে সেটাই ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

মোদি-শাহের জনপ্রিয়তায় ধস, সমর্থন বেড়েছে রাহুল-মমতার

আপডেট সময় : ০১:৫১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নেমেছে। গত এক বছরে তার প্রতি সমর্থন কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অপরদিকে রাহুল গান্ধী ও মমতা ব্যানার্জির জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৬৬ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির বিকল্প কাউকে পাননি। ২০২১ এর আগস্টে তা কমে ২৪ শতাংশে এসে ঠেকেছে। পরবর্তী পছন্দের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। তার সঙ্গে চতুর্থস্থানে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।গত বছর যথাক্রমে সপ্তম ও ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন তারা।
‘মুড অব দ্য নেশন’ নামে প্রত্যেক বছর জানুয়ারি এবং আগস্ট মাসে সমীক্ষা চালায় ইন্ডিয়া টুডে। তাতে দেশের রাজনীতিকদের নিয়ে সাধারণ মানুষদের মতামত তুলে ধরে তারা। চলতি মাসে যে সমীক্ষা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে পছন্দ দেশের ২৪ শতাংশ মানুষের।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না, সে নিয়ে জল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই। তিনি তালিকায় রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। হাথরস থেকে কৃষক বিক্ষোভ, পেগাসাস থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লাগাতার সরকারের বিরোধিতার ফল পেয়েছেন রাহুল। গত বছর তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন ৮ শতাংশ। এ বছর জানুয়ারিতে তা কমে ৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ভূমিধস জয় মমতাকেও প্রথম পাঁচে তুলে এনেছে। বিধানসভা ভোটপর্ব মেটার পর থেকেই দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। গত বছর মাত্র ২ শতাংশ মানুষ তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৪ শতাংশ। আগস্টে সেই সংখ্যাটা ৮ শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যেই দিল্লিতে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কেজরিওয়ালের প্রতিও সমর্থন বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর ৩ শতাংশ মানুষ তাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৫ শতাংশ। আগস্টে সেটাই ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।