মহানগর প্রতিবেদন : কয়েক বছর আগেও পরিবহন শ্রমিকদের হাঁকডাকে সরগরম থাকতো গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। ঈদের সময় যেখানে পা ফেলার জায়গাও পাওয়া যেতো না, সেখানে এখন কাউন্টারের সামনে অলস দাঁড়িয়ে আছেন পরিবহন শ্রমিকরা। একই চিত্র দেখা গেছে কল্যাণপুরেও। সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকলেও আশানুরূপ যাত্রী নেই।
গতকাল রোববার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল ও কল্যাণপুর ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। ঈদযাত্রা কয়েকদিন আগে শুরু হলেও গাবতলী বাস টার্মিনাল ও কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডে এখনও তেমন যাত্রীর চাপ নেই। কাউন্টারগুলো অনেকটাই ফাঁকা। আসন খালি রেখেই ছাড়ছে বাস। তবে পরিবহন শ্রমিকরা ধারণা করছেন, আজ বিকাল থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। এছাড়া ৮ ও ৯ এপ্রিল সবচেয়ে বেশি চাপ থাকবে।
একাধিক পরিবহন শ্রমিক বলেন, “গত শুক্রবার ও শনিবার যে ভিড় ছিল তা এখন নেই। তবে আগামীকাল ভিড় হবে। কারণ, আগামীকাল পোশাক কারখানা ছুটি হবে। পোশাক কারখানায় যারা কাজ করেন তারা আগামীকাল ও পরশু রওনা দেবেন। এতে মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে।” এছাড়া যানজটের আশঙ্কাও করছেন তারা।
এসবি সুপার ডিলাক্সের গাবতলীর কাউন্টার মাস্টার জিল্লু বলেন, “অনেকেই ট্রেনে যাতায়াত করছেন। আবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপারে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাস কাউন্টার থেকেও অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রী কমেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে যাত্রী চাপ কম থাকায় ঝামেলা ছাড়াই অনেকেই টিকিট কেটে ধীরেসুস্থে ও নির্বিঘেœ গন্তব্যে যেতে পারছেন।”
গাবতলী ও কল্যাণপুরে অলস সময় কাটছে পরিবহন শ্রমিকদের
জনপ্রিয় সংবাদ