ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ট্রাফিকে এআইয়ের ব্যবহার অনিয়ম শনাক্ত ও মামলা হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে

  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কম্পিউটার ভিশন এআই প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কোন রাস্তায় কোন ধরনের গাড়ি কতক্ষণ দাঁড়াতে পারবে তাও নিরুপণ করে দেওয়া সম্ভব। ফলে কোনো যানবাহন এর ব্যতিক্রম করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। ফলে রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান সিগমাইন্ড এআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবু আনাস একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, হুইকেল ডিটেকশন, হুইকেল নাম্বার ডি, হুইকেল ক্রাসিফিকেশন, হুইকের ডিরেকশন ডিটেকশন, হুইকেল স্পিড স্টিমেশন অন্যান্য ফিচারগুলো সফটওয়্যারের মধ্যে প্রভাইড করে। এবং এই সফটওয়্যারটা একটি হার্ডওয়্যার ইন্ট্রিগেটর সিস্টেম যা নরমাল আইপি ক্যামেরাকে স্মার্ট ক্যামেরায় রূপান্তর করে এই ধরনের এনালাইটিসকে প্রভাইড করতে পারবে। এআই বেইজ কম্পিউটার ভিশন টেকনোলজির উপর বেইজ করে যে প্রোডাক্টগুলো ডেভেলপ করেছি সেটা বিভিন্ন গভর্নমেন্ট এবং এন্টারপ্রাইজগুলোতে এপ্লাই করেছি সাফল্যের সঙ্গে চলছে। এর মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও ফুটেজ দেখে খুঁজতে হবে না, সহজেই তা বের করা যাবে।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রনি আহমেদের বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থাটি জানায়, এখন থেকে এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে স্বয়ংক্রিয় মামলা হবে। যদি লালবাতি জ্বলা অবস্থায় কেউ সাদা দাগটি অতিক্রম করে তাহলেই স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক আইনে মামলা হবে। এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতন হয়েছেন অনেকেই । এতে শিগগির ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমে যাবে ৯৯ শতাংশ। লালবাতি জ্বললেই সবাই সতর্ক হয়ে যাবেন। এআইয়ের এই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আধুনিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের কষ্টও লাঘব হচ্ছে। সিগমাইন্ড এআইয়ের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হাসিব মো. ইবনে রফিক বলেন, এই সিস্টেমটা আমরা একদম লাইভ মনিটরিং করতে পারি। লাইভ ক্যামেরা দেখাচ্ছে সেখান থেকে আমাদের লাইভ ফিড যদি চলে আসে। লাইভ ফিডকে এআই সিস্টেম দিয়ে আমরা এনালাইস্ট করতে পারবো। বিভিন্ন ধরনের রূলস অ্যান্ড রেগুলেশন যদি আমরা আমাদের সফটওয়্যারের মধ্যে যদি পুট করে দেই তাহলে ওইভাবে আমাদেরকে ডিসিশন জানাতে থাকবে। ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ইপিজেড, ডিএইচএল, কুমিল্লা স্মার্ট সিটিসহ ১৫টির বেশি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। লাইভ ট্র্যাকিংয়ের এই প্রযুক্তিতে প্রচুর ডেটা উৎপন্ন হয়। গুরুত্বপূর্ণ এসব ডেটার সাইবার সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিকের একাধিক সূত্র বলছে, ট্রাফিক জ্যামের কারণে বছরে ক্ষতি প্রায় ৭০ কোটি টাকা। একজন যাত্রীর গড়ে ক্ষতি প্রায় ১৮ হাজার টাকা। ডিজিটাল এই প্রযুক্তির ব্যবহারে ট্রাফিক জ্যাম কমবে এবং কমবে ক্ষতির পরিমাণও।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাফিকে এআইয়ের ব্যবহার অনিয়ম শনাক্ত ও মামলা হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে

আপডেট সময় : ০৯:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : কম্পিউটার ভিশন এআই প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কোন রাস্তায় কোন ধরনের গাড়ি কতক্ষণ দাঁড়াতে পারবে তাও নিরুপণ করে দেওয়া সম্ভব। ফলে কোনো যানবাহন এর ব্যতিক্রম করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। ফলে রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান সিগমাইন্ড এআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবু আনাস একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, হুইকেল ডিটেকশন, হুইকেল নাম্বার ডি, হুইকেল ক্রাসিফিকেশন, হুইকের ডিরেকশন ডিটেকশন, হুইকেল স্পিড স্টিমেশন অন্যান্য ফিচারগুলো সফটওয়্যারের মধ্যে প্রভাইড করে। এবং এই সফটওয়্যারটা একটি হার্ডওয়্যার ইন্ট্রিগেটর সিস্টেম যা নরমাল আইপি ক্যামেরাকে স্মার্ট ক্যামেরায় রূপান্তর করে এই ধরনের এনালাইটিসকে প্রভাইড করতে পারবে। এআই বেইজ কম্পিউটার ভিশন টেকনোলজির উপর বেইজ করে যে প্রোডাক্টগুলো ডেভেলপ করেছি সেটা বিভিন্ন গভর্নমেন্ট এবং এন্টারপ্রাইজগুলোতে এপ্লাই করেছি সাফল্যের সঙ্গে চলছে। এর মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও ফুটেজ দেখে খুঁজতে হবে না, সহজেই তা বের করা যাবে।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রনি আহমেদের বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থাটি জানায়, এখন থেকে এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে স্বয়ংক্রিয় মামলা হবে। যদি লালবাতি জ্বলা অবস্থায় কেউ সাদা দাগটি অতিক্রম করে তাহলেই স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক আইনে মামলা হবে। এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতন হয়েছেন অনেকেই । এতে শিগগির ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমে যাবে ৯৯ শতাংশ। লালবাতি জ্বললেই সবাই সতর্ক হয়ে যাবেন। এআইয়ের এই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আধুনিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের কষ্টও লাঘব হচ্ছে। সিগমাইন্ড এআইয়ের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হাসিব মো. ইবনে রফিক বলেন, এই সিস্টেমটা আমরা একদম লাইভ মনিটরিং করতে পারি। লাইভ ক্যামেরা দেখাচ্ছে সেখান থেকে আমাদের লাইভ ফিড যদি চলে আসে। লাইভ ফিডকে এআই সিস্টেম দিয়ে আমরা এনালাইস্ট করতে পারবো। বিভিন্ন ধরনের রূলস অ্যান্ড রেগুলেশন যদি আমরা আমাদের সফটওয়্যারের মধ্যে যদি পুট করে দেই তাহলে ওইভাবে আমাদেরকে ডিসিশন জানাতে থাকবে। ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ইপিজেড, ডিএইচএল, কুমিল্লা স্মার্ট সিটিসহ ১৫টির বেশি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। লাইভ ট্র্যাকিংয়ের এই প্রযুক্তিতে প্রচুর ডেটা উৎপন্ন হয়। গুরুত্বপূর্ণ এসব ডেটার সাইবার সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিকের একাধিক সূত্র বলছে, ট্রাফিক জ্যামের কারণে বছরে ক্ষতি প্রায় ৭০ কোটি টাকা। একজন যাত্রীর গড়ে ক্ষতি প্রায় ১৮ হাজার টাকা। ডিজিটাল এই প্রযুক্তির ব্যবহারে ট্রাফিক জ্যাম কমবে এবং কমবে ক্ষতির পরিমাণও।